চরচা প্রতিবেদক

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান শরিফ হাদিকে হত্যার ঘটনায় ভারতে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার এস এন মো. নজরুল ইসলাম।
আজ রোববার রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘‘ঘটনার দিনই হাদিকে গুলি করা ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ ওরফে রাহুল ও মোটরসাইকেল চালক আলমগীর শেখকে শনাক্ত করা হয়। তাৎক্ষণিক তাদের গ্রেপ্তারের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক টিম সাভার, হেমায়েতপুর, আগারগাঁও, নরসিংদীতে অভিযান পরিচালনা করে। ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে ডিএমপির একটি টিম ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের সীমান্তবর্তী এলাকা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে।’’
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘‘আসামিদের চিহ্নিত করার আগেই তারা সীমান্ত অতিক্রম করতে সক্ষম হয়। হালুয়াঘাটের আগে মুন ফিলিং স্টেশনে ফিলিপ এবং সঞ্জয় তাদেরকে গ্রহণ করার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। ফিলিপ তাদের সীমান্ত পার করার পর ভারতের মেঘালয় রাজ্যের জনৈক পুত্তির কাছে হস্তান্তর করে। পুত্তি ট্যাক্সি ড্রাইভার সামীরের কাছে তাদের হস্তান্তর করে। সামী মেঘালয় রাজ্যের তুরা নামক জায়গায় তাদের পৌঁছে দেয়।’’
এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমরা অনানুষ্ঠানিক চ্যানেলে মেঘালয় পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে জানতে পেরেছি, তারা ইতোমধ্যে পুত্তি ও সামীকে গ্রেপ্তার করেছে। আমরা সন্দেহ করি আসামীরা অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করেছে।’’
এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘এই ঘটনায় বিভিন্নভাবে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ৬ জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়া ৪ জন সাক্ষী ১৬৪ ধারায় সাক্ষ্য দিয়েছেন। চাঞ্চল্যকর এই মামলাটি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি। মামলাটির তদন্ত শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আগামী ৭-১০ দিনের মধ্যে আমরা চার্জশিট দিতে সক্ষম হবো।’’
হত্যাকাণ্ডের মোটিভ কি জানতে চাইলে ডিবি প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমরা কয়েকজনের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছি। এটা রাজনৈতিক কারণে হতে পারে। তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ করছি না।’’
গত ১২ ডিসেম্বর দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বিজয়নগরের বক্সকালভার্ট রোড দিয়ে অটোরিকশায় যাওয়ার সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হন শরীফ ওসমান হাদি। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর মারা যান হাদি।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান শরিফ হাদিকে হত্যার ঘটনায় ভারতে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার এস এন মো. নজরুল ইসলাম।
আজ রোববার রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘‘ঘটনার দিনই হাদিকে গুলি করা ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ ওরফে রাহুল ও মোটরসাইকেল চালক আলমগীর শেখকে শনাক্ত করা হয়। তাৎক্ষণিক তাদের গ্রেপ্তারের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক টিম সাভার, হেমায়েতপুর, আগারগাঁও, নরসিংদীতে অভিযান পরিচালনা করে। ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে ডিএমপির একটি টিম ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের সীমান্তবর্তী এলাকা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে।’’
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘‘আসামিদের চিহ্নিত করার আগেই তারা সীমান্ত অতিক্রম করতে সক্ষম হয়। হালুয়াঘাটের আগে মুন ফিলিং স্টেশনে ফিলিপ এবং সঞ্জয় তাদেরকে গ্রহণ করার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। ফিলিপ তাদের সীমান্ত পার করার পর ভারতের মেঘালয় রাজ্যের জনৈক পুত্তির কাছে হস্তান্তর করে। পুত্তি ট্যাক্সি ড্রাইভার সামীরের কাছে তাদের হস্তান্তর করে। সামী মেঘালয় রাজ্যের তুরা নামক জায়গায় তাদের পৌঁছে দেয়।’’
এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমরা অনানুষ্ঠানিক চ্যানেলে মেঘালয় পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে জানতে পেরেছি, তারা ইতোমধ্যে পুত্তি ও সামীকে গ্রেপ্তার করেছে। আমরা সন্দেহ করি আসামীরা অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করেছে।’’
এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘এই ঘটনায় বিভিন্নভাবে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ৬ জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়া ৪ জন সাক্ষী ১৬৪ ধারায় সাক্ষ্য দিয়েছেন। চাঞ্চল্যকর এই মামলাটি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি। মামলাটির তদন্ত শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আগামী ৭-১০ দিনের মধ্যে আমরা চার্জশিট দিতে সক্ষম হবো।’’
হত্যাকাণ্ডের মোটিভ কি জানতে চাইলে ডিবি প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমরা কয়েকজনের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছি। এটা রাজনৈতিক কারণে হতে পারে। তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ করছি না।’’
গত ১২ ডিসেম্বর দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বিজয়নগরের বক্সকালভার্ট রোড দিয়ে অটোরিকশায় যাওয়ার সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হন শরীফ ওসমান হাদি। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর মারা যান হাদি।