চরচা প্রতিবেদক

সাকিব আল হাসানের রাজত্বটা অবশেষে শেষ হলো। এক যুগ ধরে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ টেস্ট উইকেট শিকারি হয়ে ছিলেন সাকিব। রাজত্বই তো! সেই রাজত্বটা এখন তাইজুল ইসলামের দখলে। তিনি এ মুহূর্তে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি।
সাকিব ২০১৩ সালে রাজত্বটা নিয়েছিলেন মোহাম্মদ রফিকের কাছ থেকে। ২০২৫ সালে সেটি তাইজুলের। বাংলাদেশের ক্রিকেটে বাঁহাতি স্পিনারদের পরম্পরাটা ধরে রাখলেন তাইজুল।

রফিকের আগে আরেক ‘বাঁহাতি’ কিছুদিনের জন্য ছিলেন দেশের হয়ে সর্বোচ্চ টেস্ট উইকেটের মালিক। তিনি অবশ্য বাঁহাতি স্পিনার নন, বাঁহাতি পেসার—মঞ্জুরুল ইসলাম। তার রাজত্বের কাল দুই বছর। ২০০১ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০০৩ সালের নভেম্বর পর্যন্ত। তবে তার উইকেটসংখ্যা ২৭। কারণটা বোধগম্যই। টেস্ট–পরবর্তী যুগে খুব অল্পসংখ্যক টেস্টই খেলার সুযোগ মিলেছিল মঞ্জুরুল। তবে মোহাম্মদ রফিক বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে প্রথম ১০০ উইকেট শিকারি। ২০০০ সালের নভেম্বরে টেস্ট অভিষিক্ত বাংলাদেশের ‘সর্বোচ্চ উইকেট’ ক্লাবের প্রথম সদস্য ছিলেন নাঈমুর রহমান, দ্বিতীয়জন মাশরাফি বিন মুর্তজা।
সাকিব নিজের রাজত্বের এক যুগে নিজের উইকেটসংখ্যা ১০০ থেকে নিয়েছেন ২০০–তে। সেখান থেকে ২৪৬। সাকিব সেই সংখ্যাটা আরও বাড়াতে পারবেন কিনা, সেটি সময়ই বলে দেবে। আনুষ্ঠানিকভাবে যে তার ক্যারিয়ার এখনো শেষ হয়ে যায়নি। তবে রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন। সেই রাজনীতিই তাকে বাংলাদেশের ক্রিকেট থেকে দূর সরিয়ে দিয়েছে অনেকটাই। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের পর তিনি যে আর দেশের হয়ে খেলেননি। তাইজুল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে সাকিবকে ছাড়িয়ে গেলেন। তিনি এ দেশের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম ২৫০ উইকেট তুলে নেওয়া বোলার। সাকিব ও তাইজুলের পর ‘২০০’ উইকেট আছে আর মাত্র একজনেরই—মেহেদী হাসান মিরাজ। রফিকের ১০০ উইকেটের আগে যথাক্রমে ৭৮ ও ৭২ উইকেটে ক্যারিয়ার শেষ হয়েছে মাশরাফি বিন মুর্তজা ও শাহাদাত হোসেনের। ৫০ উইকেটের মাইলফল ছোঁয়ার অপেক্ষায় আছেন তাসকিন আহমেদ (৪৯)। ‘৪০’ উইকেটের ঘরে আছেন নাঈম হাসান (৪৮), এনামুল হক জুনিয়র (৪৪), মাহমুদউল্লাহ (৪৩), ইবাদত হোসেন (৪৩)।

মিরপুরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টটা তাইজুল শুরু করেছিলেন ২৪২ উইকেট নিয়ে। সাকিবকে তিনি ছাড়িয়ে যাবেন—সবার প্রত্যাশা ছিল তেমনই। সাকিবকে তাইজুল ছুঁলেন প্রথম ইনিংসেই। আরও ৪ উইকেট তুলে নিয়ে তার ঝুলিতে ২৫০ উইকেট।
সাকিবের অভিনন্দনটা তিনি পেয়ে গিয়েছিলেন কালই। তাকে অভিনন্দন জানিয়ে ফেসবুকে একটা পোস্টও দিয়েছেন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারে তার পূর্বসূরি, “অভিনন্দন তাইজুল। আমি মনে করি ক্যারিয়ার শেষে তোমার নামের পাশে ৪০০ উইকেট থাকবে।”
সাকিবের সেই প্রত্যাশা তাইজুল পূরণ করতে পারেন কিনা, তা সময়ই বলে দেবে। ২০১৪ সালে অভিষেকের পর তাইজুল টেস্ট খেলেছেন ৫৭টি। ক্যারিয়ারের বাকি সময়টা ৪০০ না হোক ৩০০ তো তিনি ছাড়িয়ে যেতেই পারেন।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ঢাকা টেস্ট মুশফিকুর রহিমের শততম টেস্ট। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে তিনি খেললেন ১০০ টেস্ট। নিজের শততম টেস্টে এক ইনিংসে সেঞ্চুরি, অন্যটায় অপরাজিত ফিফটি—ইনিংস ঘোষণা করায় শততম টেস্টে দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করার মাইলফলকটায় চোখ রাখতে পারেননি তিনি। তবে মুশফিকের মাইলফলকের টেস্টেও তাইজুলের উইকেট শিকারে সাকিবকে ছাড়িয়ে যাওয়াটা বিশেষ কিছুই।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টটি বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাস একটু আলাদা করেই রাখবে সব সময়।

সাকিব আল হাসানের রাজত্বটা অবশেষে শেষ হলো। এক যুগ ধরে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ টেস্ট উইকেট শিকারি হয়ে ছিলেন সাকিব। রাজত্বই তো! সেই রাজত্বটা এখন তাইজুল ইসলামের দখলে। তিনি এ মুহূর্তে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি।
সাকিব ২০১৩ সালে রাজত্বটা নিয়েছিলেন মোহাম্মদ রফিকের কাছ থেকে। ২০২৫ সালে সেটি তাইজুলের। বাংলাদেশের ক্রিকেটে বাঁহাতি স্পিনারদের পরম্পরাটা ধরে রাখলেন তাইজুল।

রফিকের আগে আরেক ‘বাঁহাতি’ কিছুদিনের জন্য ছিলেন দেশের হয়ে সর্বোচ্চ টেস্ট উইকেটের মালিক। তিনি অবশ্য বাঁহাতি স্পিনার নন, বাঁহাতি পেসার—মঞ্জুরুল ইসলাম। তার রাজত্বের কাল দুই বছর। ২০০১ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০০৩ সালের নভেম্বর পর্যন্ত। তবে তার উইকেটসংখ্যা ২৭। কারণটা বোধগম্যই। টেস্ট–পরবর্তী যুগে খুব অল্পসংখ্যক টেস্টই খেলার সুযোগ মিলেছিল মঞ্জুরুল। তবে মোহাম্মদ রফিক বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে প্রথম ১০০ উইকেট শিকারি। ২০০০ সালের নভেম্বরে টেস্ট অভিষিক্ত বাংলাদেশের ‘সর্বোচ্চ উইকেট’ ক্লাবের প্রথম সদস্য ছিলেন নাঈমুর রহমান, দ্বিতীয়জন মাশরাফি বিন মুর্তজা।
সাকিব নিজের রাজত্বের এক যুগে নিজের উইকেটসংখ্যা ১০০ থেকে নিয়েছেন ২০০–তে। সেখান থেকে ২৪৬। সাকিব সেই সংখ্যাটা আরও বাড়াতে পারবেন কিনা, সেটি সময়ই বলে দেবে। আনুষ্ঠানিকভাবে যে তার ক্যারিয়ার এখনো শেষ হয়ে যায়নি। তবে রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন। সেই রাজনীতিই তাকে বাংলাদেশের ক্রিকেট থেকে দূর সরিয়ে দিয়েছে অনেকটাই। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের পর তিনি যে আর দেশের হয়ে খেলেননি। তাইজুল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে সাকিবকে ছাড়িয়ে গেলেন। তিনি এ দেশের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম ২৫০ উইকেট তুলে নেওয়া বোলার। সাকিব ও তাইজুলের পর ‘২০০’ উইকেট আছে আর মাত্র একজনেরই—মেহেদী হাসান মিরাজ। রফিকের ১০০ উইকেটের আগে যথাক্রমে ৭৮ ও ৭২ উইকেটে ক্যারিয়ার শেষ হয়েছে মাশরাফি বিন মুর্তজা ও শাহাদাত হোসেনের। ৫০ উইকেটের মাইলফল ছোঁয়ার অপেক্ষায় আছেন তাসকিন আহমেদ (৪৯)। ‘৪০’ উইকেটের ঘরে আছেন নাঈম হাসান (৪৮), এনামুল হক জুনিয়র (৪৪), মাহমুদউল্লাহ (৪৩), ইবাদত হোসেন (৪৩)।

মিরপুরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টটা তাইজুল শুরু করেছিলেন ২৪২ উইকেট নিয়ে। সাকিবকে তিনি ছাড়িয়ে যাবেন—সবার প্রত্যাশা ছিল তেমনই। সাকিবকে তাইজুল ছুঁলেন প্রথম ইনিংসেই। আরও ৪ উইকেট তুলে নিয়ে তার ঝুলিতে ২৫০ উইকেট।
সাকিবের অভিনন্দনটা তিনি পেয়ে গিয়েছিলেন কালই। তাকে অভিনন্দন জানিয়ে ফেসবুকে একটা পোস্টও দিয়েছেন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারে তার পূর্বসূরি, “অভিনন্দন তাইজুল। আমি মনে করি ক্যারিয়ার শেষে তোমার নামের পাশে ৪০০ উইকেট থাকবে।”
সাকিবের সেই প্রত্যাশা তাইজুল পূরণ করতে পারেন কিনা, তা সময়ই বলে দেবে। ২০১৪ সালে অভিষেকের পর তাইজুল টেস্ট খেলেছেন ৫৭টি। ক্যারিয়ারের বাকি সময়টা ৪০০ না হোক ৩০০ তো তিনি ছাড়িয়ে যেতেই পারেন।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ঢাকা টেস্ট মুশফিকুর রহিমের শততম টেস্ট। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে তিনি খেললেন ১০০ টেস্ট। নিজের শততম টেস্টে এক ইনিংসে সেঞ্চুরি, অন্যটায় অপরাজিত ফিফটি—ইনিংস ঘোষণা করায় শততম টেস্টে দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করার মাইলফলকটায় চোখ রাখতে পারেননি তিনি। তবে মুশফিকের মাইলফলকের টেস্টেও তাইজুলের উইকেট শিকারে সাকিবকে ছাড়িয়ে যাওয়াটা বিশেষ কিছুই।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টটি বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাস একটু আলাদা করেই রাখবে সব সময়।

প্রতারণার শিকার হয়ে একজন শাহজাহানপুর থানায় মামলা করলে সাইবার পুলিশ সেন্টারের ‘সাইবার ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট টিম’ তদন্ত শুরু করে। প্রাথমিক তদন্তে চক্রটির সদস্য লক্ষ্মীপুর জেলার বাসিন্দা মো. সোহাগ হোসেন কে শনাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে তাকে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়।