চরচা ডেস্ক

দৈনন্দিন জীবনে হঠাৎ বড় কোনো খরচ সামনে এলে অনেকেই দ্রুত টাকার জন্য ব্যাংকের ব্যক্তিগত ঋণ বা ক্রেডিট কার্ড ইএমআই-এর ওপর নির্ভর করেন। দুই কিস্তিতেই টাকা পরিশোধের সুযোগ দেওয়া হয়, তবে কোনটি আর্থিকভাবে বেশি লাভজনক বা সাশ্রয়ী–তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্যক্তিগত ঋণ তুলনামূলকভাবে নিরাপদ ও সাশ্রয়ী, আর ক্রেডিট কার্ড ইএমআই দ্রুত ও সহজে পাওয়া যায়। তবে সুদের হার ও মেয়াদের দিক থেকে এই দুই বিকল্পের মধ্যে বড় পার্থক্য রয়েছে।
ব্যক্তিগত ঋণ: স্থির কিস্তি ও কম সুদের হার
ব্যক্তিগত ঋণ সাধারণত ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পাওয়া যায়। এটি চিকিৎসা, বাড়ি সংস্কার, বিয়ে বা ভ্রমণসহ নানা প্রয়োজনে ব্যবহার করা যায়। ঋণের পরিমাণ নির্দিষ্ট এবং নির্ধারিত সময় এক থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে মাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করতে হয়।
এই ঋণের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো তুলনামূলকভাবে কম সুদের হার। সাধারণত বার্ষিক সুদের হার ১০ শতাংশ থেকে ২৪ শতাংশ এর মধ্যে থাকে, যা নির্ভর করে আবেদনকারীর ক্রেডিট স্কোর ও পরিশোধের ইতিহাসের ওপর। সময়কাল তুলনামূলক বড় হওয়ায় মাসিক কিস্তি নির্দিষ্ট ও বাজেটের মধ্যে রাখা যায়, ফলে ঋণ পরিশোধে চাপ কম পড়ে।
ক্রেডিট কার্ড ইএমআই: সহজ কিন্তু ব্যয়বহুল বিকল্প
ক্রেডিট কার্ড ইএমআই সাধারণত বড় কোনো কেনাকাটা–যেমন স্মার্টফোন, টিভি, ফ্রিজ বা অন্য ইলেকট্রনিক পণ্য–কিস্তিতে পরিশোধের জন্য ব্যবহৃত হয়। এতে তাৎক্ষণিকভাবে অর্থের জোগান পাওয়া যায়, যা অনেকের কাছে সুবিধাজনক মনে হয়।
তবে সমস্যা হলো এর সুদের হার। যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণ বকেয়া পরিশোধ না করা হয়, তাহলে সুদ বার্ষিক ৩৬ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। এতে দীর্ঘমেয়াদে খরচ বেড়ে যায় এবং ক্রেডিট কার্ডের দেনা দ্রুত বাড়তে পারে। এ ছাড়া বারবার ক্রেডিট ব্যালেন্স ঘুরিয়ে ব্যবহার করলে দেনার ফাঁদে পড়ার ঝুঁকি তৈরি হয়।
কোনটি বেশি লাভজনক?
সাধারণভাবে দেখা যায়, ব্যক্তিগত ঋণ ক্রেডিট কার্ড ইএমআইয়ের তুলনায় বেশি সাশ্রয়ী। কারণ এতে সুদের হার কম এবং পরিশোধের সময় বেশি থাকে। বড় অঙ্কের খরচের জন্য এটি উপযুক্ত, কারণ এখানে ক্রেডিট লিমিটের কোনো সীমাবদ্ধতা নেই।
অন্যদিকে, ক্রেডিট কার্ড ইএমআই কম খরচ বা স্বল্পমেয়াদি আর্থিক প্রয়োজন মেটাতে কার্যকর। যেমন, হঠাৎ কোনো গৃহস্থালি জিনিস কেনা বা জরুরি বিল মেটানো। তবে এটি দীর্ঘমেয়াদে ব্যয়বহুল হতে পারে, বিশেষ করে যদি সময়মতো পরিশোধ না করা হয়।
ফিন্যান্স বিশেষজ্ঞ জেসমিন আনন্দ বলেন, বড় অঙ্কের খরচের জন্য ব্যক্তিগত ঋণ নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। এতে কিস্তি স্থিতিশীল থাকে এবং মোট খরচ তুলনামূলকভাবে কম পড়ে। তবে কম খরচ বা তাৎক্ষণিক প্রয়োজন মেটাতে ক্রেডিট কার্ড ইএমআই দ্রুত সমাধান দিতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ঋণ নেওয়ার আগে অবশ্যই সুদের হার, প্রসেসিং ফি ও পরিশোধের সময়সীমা ভালোভাবে যাচাই করা উচিত। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, যতটুকু ধার নেওয়া হবে, তা যেন সহজে পরিশোধ করা যায়।
সর্বশেষ বলা যায়, ধার নেওয়ার ক্ষেত্রে পরিকল্পনা ও সময়মতো কিস্তি পরিশোধ করাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, সঠিক আর্থিক ব্যবস্থাপনাই পারে একজন মানুষকে দেনার চাপ থেকে মুক্ত রাখতে।
সূত্র: ইনডিয়া টুডে

দৈনন্দিন জীবনে হঠাৎ বড় কোনো খরচ সামনে এলে অনেকেই দ্রুত টাকার জন্য ব্যাংকের ব্যক্তিগত ঋণ বা ক্রেডিট কার্ড ইএমআই-এর ওপর নির্ভর করেন। দুই কিস্তিতেই টাকা পরিশোধের সুযোগ দেওয়া হয়, তবে কোনটি আর্থিকভাবে বেশি লাভজনক বা সাশ্রয়ী–তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্যক্তিগত ঋণ তুলনামূলকভাবে নিরাপদ ও সাশ্রয়ী, আর ক্রেডিট কার্ড ইএমআই দ্রুত ও সহজে পাওয়া যায়। তবে সুদের হার ও মেয়াদের দিক থেকে এই দুই বিকল্পের মধ্যে বড় পার্থক্য রয়েছে।
ব্যক্তিগত ঋণ: স্থির কিস্তি ও কম সুদের হার
ব্যক্তিগত ঋণ সাধারণত ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পাওয়া যায়। এটি চিকিৎসা, বাড়ি সংস্কার, বিয়ে বা ভ্রমণসহ নানা প্রয়োজনে ব্যবহার করা যায়। ঋণের পরিমাণ নির্দিষ্ট এবং নির্ধারিত সময় এক থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে মাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করতে হয়।
এই ঋণের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো তুলনামূলকভাবে কম সুদের হার। সাধারণত বার্ষিক সুদের হার ১০ শতাংশ থেকে ২৪ শতাংশ এর মধ্যে থাকে, যা নির্ভর করে আবেদনকারীর ক্রেডিট স্কোর ও পরিশোধের ইতিহাসের ওপর। সময়কাল তুলনামূলক বড় হওয়ায় মাসিক কিস্তি নির্দিষ্ট ও বাজেটের মধ্যে রাখা যায়, ফলে ঋণ পরিশোধে চাপ কম পড়ে।
ক্রেডিট কার্ড ইএমআই: সহজ কিন্তু ব্যয়বহুল বিকল্প
ক্রেডিট কার্ড ইএমআই সাধারণত বড় কোনো কেনাকাটা–যেমন স্মার্টফোন, টিভি, ফ্রিজ বা অন্য ইলেকট্রনিক পণ্য–কিস্তিতে পরিশোধের জন্য ব্যবহৃত হয়। এতে তাৎক্ষণিকভাবে অর্থের জোগান পাওয়া যায়, যা অনেকের কাছে সুবিধাজনক মনে হয়।
তবে সমস্যা হলো এর সুদের হার। যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণ বকেয়া পরিশোধ না করা হয়, তাহলে সুদ বার্ষিক ৩৬ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। এতে দীর্ঘমেয়াদে খরচ বেড়ে যায় এবং ক্রেডিট কার্ডের দেনা দ্রুত বাড়তে পারে। এ ছাড়া বারবার ক্রেডিট ব্যালেন্স ঘুরিয়ে ব্যবহার করলে দেনার ফাঁদে পড়ার ঝুঁকি তৈরি হয়।
কোনটি বেশি লাভজনক?
সাধারণভাবে দেখা যায়, ব্যক্তিগত ঋণ ক্রেডিট কার্ড ইএমআইয়ের তুলনায় বেশি সাশ্রয়ী। কারণ এতে সুদের হার কম এবং পরিশোধের সময় বেশি থাকে। বড় অঙ্কের খরচের জন্য এটি উপযুক্ত, কারণ এখানে ক্রেডিট লিমিটের কোনো সীমাবদ্ধতা নেই।
অন্যদিকে, ক্রেডিট কার্ড ইএমআই কম খরচ বা স্বল্পমেয়াদি আর্থিক প্রয়োজন মেটাতে কার্যকর। যেমন, হঠাৎ কোনো গৃহস্থালি জিনিস কেনা বা জরুরি বিল মেটানো। তবে এটি দীর্ঘমেয়াদে ব্যয়বহুল হতে পারে, বিশেষ করে যদি সময়মতো পরিশোধ না করা হয়।
ফিন্যান্স বিশেষজ্ঞ জেসমিন আনন্দ বলেন, বড় অঙ্কের খরচের জন্য ব্যক্তিগত ঋণ নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। এতে কিস্তি স্থিতিশীল থাকে এবং মোট খরচ তুলনামূলকভাবে কম পড়ে। তবে কম খরচ বা তাৎক্ষণিক প্রয়োজন মেটাতে ক্রেডিট কার্ড ইএমআই দ্রুত সমাধান দিতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ঋণ নেওয়ার আগে অবশ্যই সুদের হার, প্রসেসিং ফি ও পরিশোধের সময়সীমা ভালোভাবে যাচাই করা উচিত। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, যতটুকু ধার নেওয়া হবে, তা যেন সহজে পরিশোধ করা যায়।
সর্বশেষ বলা যায়, ধার নেওয়ার ক্ষেত্রে পরিকল্পনা ও সময়মতো কিস্তি পরিশোধ করাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, সঠিক আর্থিক ব্যবস্থাপনাই পারে একজন মানুষকে দেনার চাপ থেকে মুক্ত রাখতে।
সূত্র: ইনডিয়া টুডে