চরচা ডেস্ক

ঘুম থেকে ওঠার পর শরীর কিছুটা পানিশূন্য থাকে। এমন অবস্থায় পানি বা ক্যাফেইনযুক্ত পানীয়ের বদলে ডাবের পানি পান করলে দ্রুত সেটি শরীরের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে পারে বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে মহারাষ্ট্রের থানেতে অবস্থিত কিমস হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ ডা. আমরিন শেখের এ সম্পর্কিত বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে।
এই পুষ্টিবিদ বলেন, “ডাবের পানিতে প্রাকৃতিক ইলেকট্রোলাইট যেমন পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম থাকে, যা শরীরকে দ্রুত পুনরায় জলীয় ভারসাম্যে ফিরতে সাহায্য করে। এর ফলে দিনের শুরুতেই শরীরে ক্লান্তি ও শুষ্কভাব কম অনুভূত হয়।”
ডাবের পানিতে কী কী উপকার রয়েছে?
ডা. আমরিন শেখ বলেন, ডাবের পানি হালকা এবং পাকস্থলীর জন্য কোমল। সকালে এটি পান করলে হজমতন্ত্র ধীরে ও স্বাভাবিকভাবে সক্রিয় হয়, কোনো চাপ তৈরি করে না। কয়েক সপ্তাহ নিয়মিত পান করলে অনেকেরই পেট ফাঁপার সমস্যা কমে এবং মলত্যাগ আরও স্বাভাবিক হয়। এর প্রধান কারণ হলো পর্যাপ্ত পানিশূন্যতা দূর হলে অন্ত্রের গতিশীলতা উন্নত হয়।
এই পুষ্টিবিদ আরও জানান, ডাবের পানি কোষ পর্যায়ে শরীরকে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। এতে অক্সিজেন ও পুষ্টি উপাদান শরীরের বিভিন্ন অংশে আরও কার্যকরভাবে পৌঁছাতে পারে।
রক্তচাপ ও হৃদস্বাস্থ্যের ওপর ডাবের পানির প্রভাবের বিষয়ে তিনি বলেন, ডাবের পানিতে পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি, যা শরীরে সোডিয়ামের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক। দীর্ঘমেয়াদে এটি রক্তচাপকে স্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রাখতে সহায়তা করতে পারে, বিশেষ করে যারা ফল ও শাকসবজি থেকে পর্যাপ্ত পটাশিয়াম পান না।

ডা. আমরিন শেখ বলেন, ত্বক ও চুলের ক্ষেত্রেও ডাবের প্রভাব রয়েছে। ভালোভাবে শরীর আর্দ্র থাকলে কয়েক সপ্তাহ পর ত্বকের ঔজ্জ্বল্য কিছুটা বাড়তে পারে এবং ঠোঁটের শুষ্কভাব কম অনুভূত হয়। এটি কোনো অলৌকিক ঘটনা নয়, বরং পানি ও খনিজের ভারসাম্য ঠিক থাকার স্বাভাবিক ফল।
ওজন কমানোর বিষয়ে ডা. আমরিন শেখ স্পষ্ট করে বলেন, ডাবের পানি নিজে থেকে চর্বি কমায় না। তবে সকালে অপ্রয়োজনীয় নাস্তা বা অতিরিক্ত মিষ্টি পানীয়ের প্রতি আকর্ষণ কমাতে পারে।
ডাবের পানি পানে সতর্কতা
তবে কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শও দিয়েছেন এই পুষ্টিবিদ। কিডনির সমস্যা আছে এমন ব্যক্তি বা যাদের শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি, তাদের ডাবের পানি পান করার আগে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদেরও পরিমাণের দিকে নজর রাখতে হবে, কারণ ডাবের পানিতে প্রাকৃতিক চিনি থাকে। দিনে এক গ্লাস, অর্থাৎ প্রায় ২০০ থেকে ২৫০ মিলিলিটারই যথেষ্ট।
ডা. আমরিন শেখ বলেন, ডাবের পানি তখনই সবচেয়ে ভালো কাজ করে, যখন এটি সকালে চিনিযুক্ত পানীয়ের বিকল্প হিসেবে নেওয়া হয়, অতিরিক্ত কিছু হিসেবে নয়। তাজা ও কোনো প্রকার মিষ্টি না মেশানো ডাবের পানিই সবচেয়ে ভালো।
টানা ৩০ দিন ডাবের পানি খেলে মূলত শরীরের পানির ভারসাম্য, হজমশক্তি এবং সকালের সামগ্রিক সতেজতা উন্নত হয়। তবে এর প্রকৃত উপকার তখনই পাওয়া যায়, যখন এটি একটি সামগ্রিকভাবে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের অংশ হয়ে ওঠে।

ঘুম থেকে ওঠার পর শরীর কিছুটা পানিশূন্য থাকে। এমন অবস্থায় পানি বা ক্যাফেইনযুক্ত পানীয়ের বদলে ডাবের পানি পান করলে দ্রুত সেটি শরীরের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে পারে বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে মহারাষ্ট্রের থানেতে অবস্থিত কিমস হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ ডা. আমরিন শেখের এ সম্পর্কিত বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে।
এই পুষ্টিবিদ বলেন, “ডাবের পানিতে প্রাকৃতিক ইলেকট্রোলাইট যেমন পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম থাকে, যা শরীরকে দ্রুত পুনরায় জলীয় ভারসাম্যে ফিরতে সাহায্য করে। এর ফলে দিনের শুরুতেই শরীরে ক্লান্তি ও শুষ্কভাব কম অনুভূত হয়।”
ডাবের পানিতে কী কী উপকার রয়েছে?
ডা. আমরিন শেখ বলেন, ডাবের পানি হালকা এবং পাকস্থলীর জন্য কোমল। সকালে এটি পান করলে হজমতন্ত্র ধীরে ও স্বাভাবিকভাবে সক্রিয় হয়, কোনো চাপ তৈরি করে না। কয়েক সপ্তাহ নিয়মিত পান করলে অনেকেরই পেট ফাঁপার সমস্যা কমে এবং মলত্যাগ আরও স্বাভাবিক হয়। এর প্রধান কারণ হলো পর্যাপ্ত পানিশূন্যতা দূর হলে অন্ত্রের গতিশীলতা উন্নত হয়।
এই পুষ্টিবিদ আরও জানান, ডাবের পানি কোষ পর্যায়ে শরীরকে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। এতে অক্সিজেন ও পুষ্টি উপাদান শরীরের বিভিন্ন অংশে আরও কার্যকরভাবে পৌঁছাতে পারে।
রক্তচাপ ও হৃদস্বাস্থ্যের ওপর ডাবের পানির প্রভাবের বিষয়ে তিনি বলেন, ডাবের পানিতে পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি, যা শরীরে সোডিয়ামের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক। দীর্ঘমেয়াদে এটি রক্তচাপকে স্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রাখতে সহায়তা করতে পারে, বিশেষ করে যারা ফল ও শাকসবজি থেকে পর্যাপ্ত পটাশিয়াম পান না।

ডা. আমরিন শেখ বলেন, ত্বক ও চুলের ক্ষেত্রেও ডাবের প্রভাব রয়েছে। ভালোভাবে শরীর আর্দ্র থাকলে কয়েক সপ্তাহ পর ত্বকের ঔজ্জ্বল্য কিছুটা বাড়তে পারে এবং ঠোঁটের শুষ্কভাব কম অনুভূত হয়। এটি কোনো অলৌকিক ঘটনা নয়, বরং পানি ও খনিজের ভারসাম্য ঠিক থাকার স্বাভাবিক ফল।
ওজন কমানোর বিষয়ে ডা. আমরিন শেখ স্পষ্ট করে বলেন, ডাবের পানি নিজে থেকে চর্বি কমায় না। তবে সকালে অপ্রয়োজনীয় নাস্তা বা অতিরিক্ত মিষ্টি পানীয়ের প্রতি আকর্ষণ কমাতে পারে।
ডাবের পানি পানে সতর্কতা
তবে কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শও দিয়েছেন এই পুষ্টিবিদ। কিডনির সমস্যা আছে এমন ব্যক্তি বা যাদের শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি, তাদের ডাবের পানি পান করার আগে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদেরও পরিমাণের দিকে নজর রাখতে হবে, কারণ ডাবের পানিতে প্রাকৃতিক চিনি থাকে। দিনে এক গ্লাস, অর্থাৎ প্রায় ২০০ থেকে ২৫০ মিলিলিটারই যথেষ্ট।
ডা. আমরিন শেখ বলেন, ডাবের পানি তখনই সবচেয়ে ভালো কাজ করে, যখন এটি সকালে চিনিযুক্ত পানীয়ের বিকল্প হিসেবে নেওয়া হয়, অতিরিক্ত কিছু হিসেবে নয়। তাজা ও কোনো প্রকার মিষ্টি না মেশানো ডাবের পানিই সবচেয়ে ভালো।
টানা ৩০ দিন ডাবের পানি খেলে মূলত শরীরের পানির ভারসাম্য, হজমশক্তি এবং সকালের সামগ্রিক সতেজতা উন্নত হয়। তবে এর প্রকৃত উপকার তখনই পাওয়া যায়, যখন এটি একটি সামগ্রিকভাবে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের অংশ হয়ে ওঠে।