পাবনায় ৮ কুকুরছানা হত্যায় মামলা, অভিযুক্ত নারী গ্রেপ্তার

চরচা প্রতিবেদক
চরচা প্রতিবেদক
পাবনায় ৮ কুকুরছানা হত্যায় মামলা, অভিযুক্ত নারী গ্রেপ্তার
ছবি: চরচা

পাবনার ঈশ্বরদীতে ৮ কুকুরছানা বস্তাবন্দী করে পুকুরে ডুবিয়ে হত্যায় অভিযুক্ত নিশি রহমানকে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঈশ্বরদী পৌর সদরের রহিমপুর গার্লস স্কুলের পাশের এক বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রণব কুমার আজ বুধবার সকালে তাকে গ্রেপ্তারের তথ্য বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আইনগত প্রক্রিয়া শেষে ক্ষুদ্র কৃষক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা হাসানুর রহমান নয়নের স্ত্রী নিশি রহমানকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ স ম আব্দুন নূর জানান, গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আকলিমা খাতুন বাদী হয়ে ‘প্রাণী কল্যাণ আইন-২০১৯’-এর ধারা ৭-এ নিশির বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আকলিমা খাতুন বলেন, ‘‘ঘটনাটি বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে আলোচিত-সমালোচিত হয়েছে। যে কারণে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার কল করেছিলেন। তিনি বলেছেন, এই ঘটনা অমানবিক। এই ঘটনা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। প্রাণী হত্যায় জড়িতদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। এ ছাড়া মহাপরিচালক স্যারও ফোন করে তার পক্ষে মামলা করার নির্দেশনা দিয়েছেন।’’

ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনিরুজ্জামান জানান, কুকুরছানা হত্যার ঘটনায় হাসানুর রহমান নয়নকে সোমবার (১ ডিসেম্বর) গেজেটেড কোয়ার্টার ছাড়তে লিখিত নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তারা মঙ্গলবার বিকেলে বাসা খালি করে অন্যত্র চলে গেছেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত কর্মকর্তা হাসানুর রহমান নয়নের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।

রোববার (৩০ নভেম্বর) রাতে হাসানুর রহমান নয়ন ও তার স্ত্রী নিশি রহমানের বিরুদ্ধে জীবন্ত ৮টি কুকুরছানাকে বস্তার মধ্যে বেঁধে উপজেলা পরিষদের পুকুরে ফেলে হত্যার অভিযোগ ওঠে।

সম্পর্কিত