চরচা ডেস্ক

২০২৫ সালে বাংলাদেশের সামগ্রিক মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)। সংস্থাটি জানিয়েছে, বিদায়ী বছরে দেশের নাগরিকরা এক চরম ‘অনুমাননির্ভর’ ও নিরাপত্তাহীন জীবন অতিবাহিত করেছেন। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, রাজনৈতিক সহিংসতা, গণপিটুনি এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতাহীনতার কারণে নাগরিক অধিকারের কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি এ বছর পরিলক্ষিত হয়নি। আজ বুধবার এমএসএফ-এর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা চরম আকার ধারণ করেছে। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পরদিন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এছাড়া চট্টগ্রামের সারোয়ার হোসেন বাবলা এবং গাজীপুরের তানজীর আহমদ আবিদ সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন। রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এসব হত্যাকাণ্ডের পাশাপাশি সরকার বিরোধী নেতা-কর্মীদের ওপর ‘গণগ্রেপ্তার’ অভিযান চালাচ্ছে, যা গণতান্ত্রিক পরিবেশকে আরও সংকীর্ণ করছে।
এমএসএফ বলছে, ২০২৫ সালের অন্যতম ভয়ংকর দিক ছিল আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার প্রবণতা বা মব সন্ত্রাস। ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা এবং রাজশাহীতে পুলিশ হেফাজতে ওমর ফারুকের মৃত্যুর ঘটনাকে আইনের শাসনের চরম অবনতি হিসেবে চিহ্নিত করেছে এমএসএফ। সংস্থাটির তথ্যমতে, এ বছর মব জাস্টিসের কারণে জননিরাপত্তা চরমভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
জুলাই মাসে গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও সেনাসদস্যদের সঙ্গে হামলাকারীদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের কথা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এই ঘটনায় ৫ জন নিহত এবং ৮ জন গুলিবিদ্ধ হন। গোয়েন্দা রিপোর্ট থাকা সত্ত্বেও সরকার এ সহিংসতা ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে বলে এমএসএফ দাবি করেছে।
সংস্থাটি বলছে, ২০২৫ সালে গুম, হেফাজতে নির্যাতন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ হয়নি। বিশেষ করে অজ্ঞাতনামা লাশ উদ্ধারের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল প্রায় ৫৮৬ জন, যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি।
এমএসএফের প্রতিবেদনে বলা হয়, সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের অপব্যবহার করে সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ এবং ‘অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা’ বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে। এ বছর ৩ জন সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন এবং শত শত সাংবাদিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
সংস্থাটি বলছে, ধর্ষণ, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের হার ২০২৫ সালে উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কর্তৃক বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা ও শারীরিক নির্যাতন অব্যাহত ছিল।
এমএসএফের প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের বিভিন্ন স্থানে মাজারে হামলা, ভাঙচুর এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনাগুলোকে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনের শেষে এমএসএফ উল্লেখ করেছে যে, শাসনব্যবস্থায় স্বচ্ছতার অভাব এবং সরকার ও নাগরিক সমাজের ভূমিকার অস্পষ্টতার কারণে সমাজে এক অসাড়তা তৈরি হয়েছে। মানুষ নিজের জীবনের সিদ্ধান্ত নিজে নিতে পারছে না এবং এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ধাবিত হচ্ছে। আগামী ২০২৬ সালে রাষ্ট্র তার দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে নাগরিকদের জন্য একটি ‘ভয়শূন্য ও নিশ্চিত জীবন’ নিশ্চিত করবে এমনটাই প্রত্যাশা করছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন।

২০২৫ সালে বাংলাদেশের সামগ্রিক মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)। সংস্থাটি জানিয়েছে, বিদায়ী বছরে দেশের নাগরিকরা এক চরম ‘অনুমাননির্ভর’ ও নিরাপত্তাহীন জীবন অতিবাহিত করেছেন। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, রাজনৈতিক সহিংসতা, গণপিটুনি এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতাহীনতার কারণে নাগরিক অধিকারের কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি এ বছর পরিলক্ষিত হয়নি। আজ বুধবার এমএসএফ-এর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা চরম আকার ধারণ করেছে। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পরদিন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এছাড়া চট্টগ্রামের সারোয়ার হোসেন বাবলা এবং গাজীপুরের তানজীর আহমদ আবিদ সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন। রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এসব হত্যাকাণ্ডের পাশাপাশি সরকার বিরোধী নেতা-কর্মীদের ওপর ‘গণগ্রেপ্তার’ অভিযান চালাচ্ছে, যা গণতান্ত্রিক পরিবেশকে আরও সংকীর্ণ করছে।
এমএসএফ বলছে, ২০২৫ সালের অন্যতম ভয়ংকর দিক ছিল আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার প্রবণতা বা মব সন্ত্রাস। ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা এবং রাজশাহীতে পুলিশ হেফাজতে ওমর ফারুকের মৃত্যুর ঘটনাকে আইনের শাসনের চরম অবনতি হিসেবে চিহ্নিত করেছে এমএসএফ। সংস্থাটির তথ্যমতে, এ বছর মব জাস্টিসের কারণে জননিরাপত্তা চরমভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
জুলাই মাসে গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও সেনাসদস্যদের সঙ্গে হামলাকারীদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের কথা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এই ঘটনায় ৫ জন নিহত এবং ৮ জন গুলিবিদ্ধ হন। গোয়েন্দা রিপোর্ট থাকা সত্ত্বেও সরকার এ সহিংসতা ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে বলে এমএসএফ দাবি করেছে।
সংস্থাটি বলছে, ২০২৫ সালে গুম, হেফাজতে নির্যাতন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ হয়নি। বিশেষ করে অজ্ঞাতনামা লাশ উদ্ধারের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল প্রায় ৫৮৬ জন, যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি।
এমএসএফের প্রতিবেদনে বলা হয়, সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের অপব্যবহার করে সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ এবং ‘অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা’ বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে। এ বছর ৩ জন সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন এবং শত শত সাংবাদিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
সংস্থাটি বলছে, ধর্ষণ, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের হার ২০২৫ সালে উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কর্তৃক বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা ও শারীরিক নির্যাতন অব্যাহত ছিল।
এমএসএফের প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের বিভিন্ন স্থানে মাজারে হামলা, ভাঙচুর এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনাগুলোকে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনের শেষে এমএসএফ উল্লেখ করেছে যে, শাসনব্যবস্থায় স্বচ্ছতার অভাব এবং সরকার ও নাগরিক সমাজের ভূমিকার অস্পষ্টতার কারণে সমাজে এক অসাড়তা তৈরি হয়েছে। মানুষ নিজের জীবনের সিদ্ধান্ত নিজে নিতে পারছে না এবং এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ধাবিত হচ্ছে। আগামী ২০২৬ সালে রাষ্ট্র তার দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে নাগরিকদের জন্য একটি ‘ভয়শূন্য ও নিশ্চিত জীবন’ নিশ্চিত করবে এমনটাই প্রত্যাশা করছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন।