চরচা প্রতিবেদক

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের নামে গণভোট আয়োজনের উদ্যোগকে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) কোনো কার্যক্রমে যুক্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল–জাসদ।
আজ বুধবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীনের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এই কথা জানানো হয়। একই দিনে দলটির একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করে বিষয়টি তুলে ধরেন।
জাসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শওকত রায়হান ও ওবায়দুর রহমান চুন্নু স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের মতামত অনুযায়ী অন্তর্বর্তী সরকার শুধু রাষ্ট্রের নির্বাহী কার্য পরিচালনার জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত। সেখানে গণভোট আয়োজনের মতো নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো সাংবিধানিক এখতিয়ার তাদের নেই।
জাসদ আরও বলে, সংবিধানের ৯৪(১)(খ) অনুযায়ী গণভোট বিষয়ক অধ্যাদেশ জারি করাও অসাংবিধানিক।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সংবিধান সংশোধনের জন্য গণভোট আয়োজনের সিদ্ধান্তও অবৈধ। একই সঙ্গে জাসদ নির্বাচন কমিশনকে সতর্ক করে জানায়, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইসির সংবিধান লঙ্ঘনকারী কোনো কার্যক্রমে জড়িত হওয়া উচিত নয়।
জাসদ অভিযোগ করে, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে এক পক্ষকে দায়মুক্তি দিয়ে এবং অন্য পক্ষকে হাজার হাজার গায়েবি মামলায় জর্জরিত করে অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন অসম্ভব করে তোলা হয়েছে।
জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ ফিরবে না বলে দলটির দাবি।
তারা আরও জানায়, দেশের বিভিন্ন জেলায় জাসদ ও অন্যান্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের কার্যালয় এখনো মব সন্ত্রাসীদের দখলে। রাজনৈতিক কার্যালয় দখলমুক্ত না করলে এবং মামলা প্রত্যাহার না করলে নির্বাচন অংশগ্রহণযোগ্য হবে না।
ধর্মভিত্তিক ও সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধনের বিষয়ে জাসদ বলে, সংবিধানের নির্দেশনা অনুযায়ী রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার নিষিদ্ধ–তাই এসব দলের নির্বাচন করার অধিকার নেই। কিন্তু ইসি এই নির্দেশনা অনুসরণ করছে না বলে অভিযোগ তুলে জাসদ।
চিঠিতে বলা হয়, জুলাই–আগস্টে লুণ্ঠিত অস্ত্র উদ্ধার না হওয়া এবং নির্বাচনের আগে গণহারে অস্ত্রের লাইসেন্স বিতরণ সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে বড় বাধা। অস্ত্র উদ্ধার ও মব সন্ত্রাস দমন ছাড়া কোনো নির্বাচনই নিরাপদভাবে আয়োজন করা সম্ভব নয়।

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের নামে গণভোট আয়োজনের উদ্যোগকে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) কোনো কার্যক্রমে যুক্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল–জাসদ।
আজ বুধবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীনের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এই কথা জানানো হয়। একই দিনে দলটির একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করে বিষয়টি তুলে ধরেন।
জাসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শওকত রায়হান ও ওবায়দুর রহমান চুন্নু স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের মতামত অনুযায়ী অন্তর্বর্তী সরকার শুধু রাষ্ট্রের নির্বাহী কার্য পরিচালনার জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত। সেখানে গণভোট আয়োজনের মতো নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো সাংবিধানিক এখতিয়ার তাদের নেই।
জাসদ আরও বলে, সংবিধানের ৯৪(১)(খ) অনুযায়ী গণভোট বিষয়ক অধ্যাদেশ জারি করাও অসাংবিধানিক।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সংবিধান সংশোধনের জন্য গণভোট আয়োজনের সিদ্ধান্তও অবৈধ। একই সঙ্গে জাসদ নির্বাচন কমিশনকে সতর্ক করে জানায়, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইসির সংবিধান লঙ্ঘনকারী কোনো কার্যক্রমে জড়িত হওয়া উচিত নয়।
জাসদ অভিযোগ করে, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে এক পক্ষকে দায়মুক্তি দিয়ে এবং অন্য পক্ষকে হাজার হাজার গায়েবি মামলায় জর্জরিত করে অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন অসম্ভব করে তোলা হয়েছে।
জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ ফিরবে না বলে দলটির দাবি।
তারা আরও জানায়, দেশের বিভিন্ন জেলায় জাসদ ও অন্যান্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের কার্যালয় এখনো মব সন্ত্রাসীদের দখলে। রাজনৈতিক কার্যালয় দখলমুক্ত না করলে এবং মামলা প্রত্যাহার না করলে নির্বাচন অংশগ্রহণযোগ্য হবে না।
ধর্মভিত্তিক ও সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধনের বিষয়ে জাসদ বলে, সংবিধানের নির্দেশনা অনুযায়ী রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার নিষিদ্ধ–তাই এসব দলের নির্বাচন করার অধিকার নেই। কিন্তু ইসি এই নির্দেশনা অনুসরণ করছে না বলে অভিযোগ তুলে জাসদ।
চিঠিতে বলা হয়, জুলাই–আগস্টে লুণ্ঠিত অস্ত্র উদ্ধার না হওয়া এবং নির্বাচনের আগে গণহারে অস্ত্রের লাইসেন্স বিতরণ সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে বড় বাধা। অস্ত্র উদ্ধার ও মব সন্ত্রাস দমন ছাড়া কোনো নির্বাচনই নিরাপদভাবে আয়োজন করা সম্ভব নয়।