বাংলাদেশ ঋণ ফাঁদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে

চরচা ডেস্ক
চরচা ডেস্ক
বাংলাদেশ ঋণ ফাঁদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে
সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ। ছবি: বাসস

ঋণের ফাঁদে পড়ার ঝুঁকি এড়াতে বাংলাদেশের রাজস্ব আয় বাড়ানো, সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং কাঠামোগত সমস্যাগুলো সমাধান করা অত্যন্ত জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) ফেলো মুস্তাফিজুর রহমান।

বার্তা সংস্থা ইউএনবির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, আজ সোমবার বাংলাদেশ প্ল্যানিং কমিশনে এক সেমিনারে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, “দেশের রাজস্ব-জিডিপি অনুপাত কমে ৭.৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা গত বছর ছিল প্রায় ৮ শতাংশ এবং ২০১৫ সালে ছিল ১০.৯ শতাংশ।

মুস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, “এর মানে হলো, জনগণ যা পরিশোধ করছে এবং সরকার যা সংগ্রহ করছে, তার মধ্যে বিশাল ফারাক রয়েছে। এটা শুধু ৭.৭ শতাংশের রাজস্ব এবং জিডিপি অনুপাতের সমস্যা নয়। এটা সরাসরি দুর্নীতির দিকে ইঙ্গিত করে। আমরা কীভাবে এর সমাধান করছি?”

মুস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, “ডিজিটায়ন এবং প্রযুক্তিভিত্তিক সংস্কার অনেক ফাঁকফোকর বন্ধ করতে পারে। তবে আয়ের তথ্যের সঙ্গে ব্যয়ের তথ্যের সংযোগ বা সমন্বয় থাকা অপরিহার্য।

বাংলাদেশ ঋণ ফাঁদে পড়ার বিষয়ে মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, “আমরা হয়ত একটা ঋণের ফাঁদে পড়তে পারি, যা দেশের জন্য একেবারেই ভালো হবে না। রাজস্ব বাজেটে আগে বেতন আর পেনশন দেওয়ার পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ খরচ হতো কৃষি আর শিক্ষায়। কিন্তু এখন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ খরচ হচ্ছে সুদ পরিশোধে।”

সিপিডি'র ফেলো বিভিন্ন বিষয়ে অগ্রগতি নিয়ে বলেন, "যদি আমরা দুটি বিষয়কে মাপকাঠি ধরে অর্থনীতির বিশ্লেষণ করি। যেখানে জুলাই-আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকার যে অবস্থায় দায়িত্ব নিয়েছিল এবং শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে যে পরিস্থিতি হয়েছিল, তাহলে আমরা দেখব স্থিতিশীলতা এসেছে। তবে তার মূল্য দিতে হয়েছে দেশকে।”

বর্তমানে সংস্কারগুলোর সফলতা মূলত নির্ভর করবে পরবর্তী সরকারের অঙ্গীকার এবং সক্ষমতার উপর বলে জানিয়েছেন সিপিডির ফেলো।

সম্পর্কিত