চিত্রনায়ক সালমান শাহ হত্যা মামলার প্রতিবেদন ১৩ জানুয়ারি

চরচা প্রতিবেদক
চরচা প্রতিবেদক
চিত্রনায়ক সালমান শাহ হত্যা মামলার প্রতিবেদন ১৩ জানুয়ারি
সালমান শাহ। ছবি: সংগৃহীত

চিত্রনায়ক সালমান শাহ হত্যার ঘটনায় দায়ের করা রমনা থানায় মামলায় সাবেক স্ত্রী সামিরা হকসহ ১১ জনের নামে প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়েছে। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল রানার আদালত আজ রোববার প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ আগামী ১৩ জানুয়ারি ধার্য করেন।

আজ মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিলো। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা মডেল থানার ইন্সপেক্টর আতিকুল ইসলাম খন্দকার এই প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি।

ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের উপপরিদর্শক জিন্নাত আলী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, গত ২০ অক্টোবর মধ্যরাতে সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরীর পক্ষে তার ভাই মোহাম্মদ আলমগীর কুমকুম মামলাটি দায়ের করেন। এরপর এই মামলার এজাহার গ্রহণ করে ঢাকার রমনা মডেল থানার ইন্সপেক্টর আতিকুল ইসলাম খন্দকারকে ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন সামিরা হকের মা লতিফা হক লুসি, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই, খলনায়ক ডন, ডেবিড, জাভেদ, ফারুক, রুবী, আ. ছাত্তার, সাজু ও রেজভি আহমেদ ওরফে ফরহাদ।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ‘‘বাদীর ভাগনে চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার ইমন সালমান শাহ (২৫) বাংলাদেশের স্বনামধন্য চিত্রনায়ক। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৯টায় আমার বোন নিলুফার জামান চৌধুরী ওরফে নীলা চৌধুরী এবং আমার বোন জামাতা কমর উদ্দীন আহমদ চৌধুরী ও তার ছোটোছেলে শাহরান শাহসহ নিউ ইস্কাটনের বাসায় সালমান শাহর সঙ্গে দেখা করতে যায়। নীলা চৌধুরী ও শাহরানসহ তাদের গ্রামের বাড়ী সিলেট যাওয়ার কথা ছিল। আমার বোন ও বোন জামাতা গ্রীন রোডের বাসায় পৃথকভাবে বসবাস করতেন। তারা সালমানের ইস্কাটনের বাসায় যাওয়ার পর স্ত্রী সামিরা এবং কর্মচারী আবুল তাদেরকে জানায়, সালমান ঘুমাচ্ছে। ওই সময় চলচ্চিত্র প্রযোজক সিদ্দিক সালমান শাহের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। ঘুমে শুনে তার বাবা-মা সালমানের স্ত্রী সামিরাকে বলেন, সিলেটে যাওয়ার পথে সালমানের সাথে দেখা করে যাবো। এরপর তার বোন জামাতা ও সিদ্দিক তাদের গাড়িতে করে ইস্কাটনের বাসা ত্যাগ করেন। ঘটনার দিন সাড়ে ১১টার সময় প্রডাকশন ম্যানেজার সেলিম ফোন করে সালমান শাহর বাবাকে জানান, সালমানের যেন কী হয়েছে। খবর পেয়েই তারা বাসায় ছুটে যান। বাসায় গিয়ে দেখতে পান, সালমান তার বেড রুমে পড়ে আছে।’’

অভিযোগে আরও বলা হয়, ‘‘দুই-একজন বহিরাগত মহিলা তার হাতে, পায়ে তেল মালিশ করছে। রুবী নামে একটি মেয়ে বসে আছে। ওই সময় সামিরা সালমানের মাকে বলেন—বাসা থেকে বেরিয়ে যেতে। সালমানের বাবা ও মা সালমানকে নিয়ে হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে যাওয়ার পথে গলায় দড়ির দাগ এবং তার মুখমন্ডল ও পা নীল দেখতে পায়। তখন সালমানের মা সালমানকে হলি ফ্যামিলি থেকে তাড়াহুড়া করে ঢাকা মেডিকেলে নেয়। পরে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হলে সালমান শাহ বেশ কিছুক্ষণ আগে মারা গেছে বলে ডাক্তার নিশ্চিত করেন।’’

সম্পর্কিত