চবির প্রশাসনিক ভবনে দুই উপ-উপাচার্য অবরুদ্ধ

চবির প্রশাসনিক ভবনে দুই উপ-উপাচার্য অবরুদ্ধ
চবির প্রশাসনিক ভবনে 'সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য' ব্যানারে এ তালা দেওয়া হয়। ছবি: চরচা

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. শামীম উদ্দিন খানের মন্তব্যের প্রতিবাদে তার পদত্যাগের দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা দেওয়ায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই উপ-উপাচার্য অধ্যাপক কামাল উদ্দিন ও অধ্যাপক শামীম উদ্দিন খান।

আজ সোমবার দুপুর ১২ টা ৫০ মিনিটের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তালা দেয় শিক্ষার্থীরা। ‘সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের’ ব্যানারে তালা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল ও বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর নেতাকর্মীরা। পদক্ষেপ না নেওয়া পর্যন্ত তালা খোলা হবে না বলে জানান তারা।

চবি ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, “তিনি বুদ্ধিজীবীদের বিরুদ্ধে কথা বলেছে এটার প্রতিবাদ করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিকের টাকায় বিশ্ববিদ্যালয় চলে কোন রাজাকারের টাকায় বিশ্ববিদ্যালয় চলে না। তিনি বুদ্ধিজীবীদের বিরুদ্ধে এ ধরনের মন্তব্য করতে পারেন না তাকে পদত্যাগ করতে হবে।”

গতকাল রোববার পাকিস্তানি বাহিনীর বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করার বিষয়টি ‘অবান্তর’ বলে মন্তব্য করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) শামীম উদ্দিন খান।

শামীম উদ্দিন খান বলেন, “আমার প্রশ্ন যে সময় আমি দেশ থেকে পালানোর চেষ্টা করছি, জীবিত থাকবো নাকি মৃত থাকবো, সে বিষয়ে কোনো ফয়সালা হয়নি; সেই সময়ে পাকিস্তানের যোদ্ধারা বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করবে এটা আমি মনে করি রীতিমতো অবান্তর।”

কয়েকজন শিক্ষার্থী জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত গোলাম আজমের কার্টুন এঁকে প্রতিবাদ জানায়।

কয়েকজন শিক্ষার্থী জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত গোলাম আজমের কার্টুন এঁকে প্রতিবাদ জানায়। ছবি: চরচা
কয়েকজন শিক্ষার্থী জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত গোলাম আজমের কার্টুন এঁকে প্রতিবাদ জানায়। ছবি: চরচা

এদিকে উপ-উপাচার্যের এমন মন্তব্যের প্রতিবাদে ইতিহাস বিভাগ তাদের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে তাকে বয়কট করেছে। পাশাপাশি ইতিহাস ও ইংরেজি দুটি বিভাগ বক্তব্যের প্রতিবাদ জানায়।

এ বিষয়ে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক কামাল উদ্দিন বলেন, “এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই, একজন উপ-উপাচার্যের বিষয়ে কী বলব।”

এ বিষয়ে উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. শামীম উদ্দিন খানের সাথে বারবার যোগাযোগ চেষ্টা করলেও তিনি সাড়া দেননি। তার অফিস সহকারী মোহাম্মদ আনসারুল হক বলেন , “এ বিষয়ে উপ-উপাচার্য অফিসিয়ালি সবাইকে জানিয়ে দেবেন।”

সম্পর্কিত