চরচা ডেস্ক

প্রতিদিন মোজা পরুন আর না পরুন, এ নিয়ে কিছু তথ্য জেনে রাখা জরুরি। গবেষণা বলছে, রাতে ঘুমানোর সময় মোজা পরলে ঘুমটা একটু তাড়াতাড়িই আসে। শুধু তা–ই নয় ঘুমটাও বেশ ভালো হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঠান্ডা পা কিছুটা উষ্ণ হলে শরীরের মূল তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে আসে। গভীর ও আরামদায়ক ঘুমের জন্য যা বেশ সহায়ক।
আমেরিকার ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের ওয়েবসাইটে এ নিয়ে লিখেছেন আচরণগত ঘুম সংক্রান্ত রোগ বিশেষজ্ঞ মিশেল ড্রেরাপ।
তার মতে, মোজা পরে ঘুমালে শুধুই পা–ই গরম থাকে না, এতে ত্বকের যত্ন নেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়, এমনকি ব্যক্তিগত সম্পর্কেও ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
মোজা পরে ঘুমানো কেন ভালো?
ঠান্ডা পা নিয়ে ঘুমানো যে অস্বস্তিকর, তা সবাই জানেন। এমনকি পা ঠান্ডা হলে মাঝরাতেও ঘুম ভেঙে যেতে পারে। তবে এর পেছনে একটি গুরুত্বপূর্ণ শারীরিক কারণ রয়েছে, যাকে বলা হয় ডিস্টাল ভ্যাসোডাইলেশন।
ডা. মিশেল বলেন, রাতে ঘুমানোর সময় শরীর স্বাভাবিকভাবেই তার মূল তাপমাত্রা কমানোর চেষ্টা করে। এটি আমাদের সার্কাডিয়ান রিদমের অংশ, যেটি ঘুম ও জেগে ওঠার সময় নিয়ন্ত্রণ করে। এ কারণেই ঘুমের জন্য ঠান্ডা পরিবেশ বেশি উপযোগী।
কিন্তু পা যদি অতিরিক্ত ঠান্ডা থাকে, তাহলে শরীরের মূল অংশে উল্টোভাবে বেশি রক্ত প্রবাহ হতে থাকে, ফলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
এই বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, মোজা পরলে পা উষ্ণ হয়, রক্তনালিগুলো প্রসারিত হয় এবং সারা শরীরে রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায়। এর ফলে শরীর অতিরিক্ত তাপ সহজে বের করে দিতে পারে। এর ফলে মূল তাপমাত্রা কমে আসে। এ ছাড়াও রাতে মোজা পরে ঘুমানোর আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে।

ডা. মিশেলের ভাষ্য, রেনোডস রোগের উপসর্গ কমাতে সহায়ক হতে পারে রাতে মোজা পরে ঘুমানোর অভ্যাস। এই রোগে পা ও আঙুলে রক্ত চলাচল কমে যায়, ফলে সেগুলো ঠান্ডা ও বিবর্ণ হয়ে পড়ে। রাতে মোজা পরলে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে এবং উপসর্গ কমাতে পারে।
সেইসঙ্গে মেনোপজে হঠাৎ শরীর গরম হয়ে যাওয়ার সমস্যা বা ‘হট ফ্ল্যাশ’ ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। মোজা পরে ঘুমালে শরীরের তাপমাত্রা স্থিতিশীল থাকে, যা এসব সমস্যা কিছুটা কমাতে পারে।
২০০৫ সালের একটি গবেষণার বরাত দিয়ে এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোজা পরে থাকলে দাম্পত্য সম্পর্কও ভালো কাটতে পারে। কারণ ঠান্ডা পা নিশ্চয়ই আকষর্ণীয় নয়।
রাতের মোজা পরে ঘুমানো ত্বকের যত্নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ঘুমানোর আগে পায়ে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে তুলার মোজা পরলে ত্বকে রাতভর আর্দ্রতা ধরে রাখা যায়। এতে পায়ের চামড়া শুকিয়ে যাওয়া ও গোড়ালি ফাটার সমস্যা কমে বলে জানিয়েছেন ডা. মিশেল।
কোন ধরনের মোজা ভালো?
বিশেষজ্ঞেরা ঢিলেঢালা ও আরামদায়ক মোজা পরার পরামর্শ দেন। তুলা, ক্যাশমিয়ার বা মেরিনো উলের মতো প্রাকৃতিক তন্তুর মোজা সবচেয়ে ভালো, কারণ এগুলো উষ্ণ হলেও বাতাস চলাচলের সুযোগ দেয়। পলিয়েস্টারের মতো কৃত্রিম কাপড় এড়িয়ে চলাই ভালো।
ডা. মিশেল বলেছেন, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কমপ্রেশন মোজা পরে ঘুমানো উচিত নয়। এছাড়া প্রতিদিন পরিষ্কার মোজা ব্যবহার এবং পা পরিষ্কার রাখাও জরুরি।
খালি পায়ে ঘুমানো কি ক্ষতিকর?
ডা. মিশেল বলেছেন, খালি পায়ে ঘুমানো মোটেও ক্ষতিকর নয়। অনেকেই এভাবেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। তবে যদি ঘুমের সমস্যা থাকে, তাহলে মোজা পরে দেখাটা সহজ ও কম খরচের একটি উপায় হতে পারে।
তবে এই বিশেষজ্ঞ সতর্ক করে বলেন, “মোজা কোনো জাদুকরী সমাধান নয়। এটি দুশ্চিন্তা বা মানসিক চাপ দূর করবে না। তবে চেষ্টা করে দেখলে ক্ষতির কিছু নেই। কাজ করলে ভালো, না করলে মোজা না পরলেও খুব যে সমস্যা হবে, ব্যাপারটা তা নয় ।”

প্রতিদিন মোজা পরুন আর না পরুন, এ নিয়ে কিছু তথ্য জেনে রাখা জরুরি। গবেষণা বলছে, রাতে ঘুমানোর সময় মোজা পরলে ঘুমটা একটু তাড়াতাড়িই আসে। শুধু তা–ই নয় ঘুমটাও বেশ ভালো হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঠান্ডা পা কিছুটা উষ্ণ হলে শরীরের মূল তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে আসে। গভীর ও আরামদায়ক ঘুমের জন্য যা বেশ সহায়ক।
আমেরিকার ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের ওয়েবসাইটে এ নিয়ে লিখেছেন আচরণগত ঘুম সংক্রান্ত রোগ বিশেষজ্ঞ মিশেল ড্রেরাপ।
তার মতে, মোজা পরে ঘুমালে শুধুই পা–ই গরম থাকে না, এতে ত্বকের যত্ন নেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়, এমনকি ব্যক্তিগত সম্পর্কেও ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
মোজা পরে ঘুমানো কেন ভালো?
ঠান্ডা পা নিয়ে ঘুমানো যে অস্বস্তিকর, তা সবাই জানেন। এমনকি পা ঠান্ডা হলে মাঝরাতেও ঘুম ভেঙে যেতে পারে। তবে এর পেছনে একটি গুরুত্বপূর্ণ শারীরিক কারণ রয়েছে, যাকে বলা হয় ডিস্টাল ভ্যাসোডাইলেশন।
ডা. মিশেল বলেন, রাতে ঘুমানোর সময় শরীর স্বাভাবিকভাবেই তার মূল তাপমাত্রা কমানোর চেষ্টা করে। এটি আমাদের সার্কাডিয়ান রিদমের অংশ, যেটি ঘুম ও জেগে ওঠার সময় নিয়ন্ত্রণ করে। এ কারণেই ঘুমের জন্য ঠান্ডা পরিবেশ বেশি উপযোগী।
কিন্তু পা যদি অতিরিক্ত ঠান্ডা থাকে, তাহলে শরীরের মূল অংশে উল্টোভাবে বেশি রক্ত প্রবাহ হতে থাকে, ফলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
এই বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, মোজা পরলে পা উষ্ণ হয়, রক্তনালিগুলো প্রসারিত হয় এবং সারা শরীরে রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায়। এর ফলে শরীর অতিরিক্ত তাপ সহজে বের করে দিতে পারে। এর ফলে মূল তাপমাত্রা কমে আসে। এ ছাড়াও রাতে মোজা পরে ঘুমানোর আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে।

ডা. মিশেলের ভাষ্য, রেনোডস রোগের উপসর্গ কমাতে সহায়ক হতে পারে রাতে মোজা পরে ঘুমানোর অভ্যাস। এই রোগে পা ও আঙুলে রক্ত চলাচল কমে যায়, ফলে সেগুলো ঠান্ডা ও বিবর্ণ হয়ে পড়ে। রাতে মোজা পরলে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে এবং উপসর্গ কমাতে পারে।
সেইসঙ্গে মেনোপজে হঠাৎ শরীর গরম হয়ে যাওয়ার সমস্যা বা ‘হট ফ্ল্যাশ’ ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। মোজা পরে ঘুমালে শরীরের তাপমাত্রা স্থিতিশীল থাকে, যা এসব সমস্যা কিছুটা কমাতে পারে।
২০০৫ সালের একটি গবেষণার বরাত দিয়ে এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোজা পরে থাকলে দাম্পত্য সম্পর্কও ভালো কাটতে পারে। কারণ ঠান্ডা পা নিশ্চয়ই আকষর্ণীয় নয়।
রাতের মোজা পরে ঘুমানো ত্বকের যত্নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ঘুমানোর আগে পায়ে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে তুলার মোজা পরলে ত্বকে রাতভর আর্দ্রতা ধরে রাখা যায়। এতে পায়ের চামড়া শুকিয়ে যাওয়া ও গোড়ালি ফাটার সমস্যা কমে বলে জানিয়েছেন ডা. মিশেল।
কোন ধরনের মোজা ভালো?
বিশেষজ্ঞেরা ঢিলেঢালা ও আরামদায়ক মোজা পরার পরামর্শ দেন। তুলা, ক্যাশমিয়ার বা মেরিনো উলের মতো প্রাকৃতিক তন্তুর মোজা সবচেয়ে ভালো, কারণ এগুলো উষ্ণ হলেও বাতাস চলাচলের সুযোগ দেয়। পলিয়েস্টারের মতো কৃত্রিম কাপড় এড়িয়ে চলাই ভালো।
ডা. মিশেল বলেছেন, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কমপ্রেশন মোজা পরে ঘুমানো উচিত নয়। এছাড়া প্রতিদিন পরিষ্কার মোজা ব্যবহার এবং পা পরিষ্কার রাখাও জরুরি।
খালি পায়ে ঘুমানো কি ক্ষতিকর?
ডা. মিশেল বলেছেন, খালি পায়ে ঘুমানো মোটেও ক্ষতিকর নয়। অনেকেই এভাবেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। তবে যদি ঘুমের সমস্যা থাকে, তাহলে মোজা পরে দেখাটা সহজ ও কম খরচের একটি উপায় হতে পারে।
তবে এই বিশেষজ্ঞ সতর্ক করে বলেন, “মোজা কোনো জাদুকরী সমাধান নয়। এটি দুশ্চিন্তা বা মানসিক চাপ দূর করবে না। তবে চেষ্টা করে দেখলে ক্ষতির কিছু নেই। কাজ করলে ভালো, না করলে মোজা না পরলেও খুব যে সমস্যা হবে, ব্যাপারটা তা নয় ।”