ভারতকে হারিয়ে ২২ বছর পর উৎসব বাংলাদেশের

চরচা প্রতিবেদক
চরচা প্রতিবেদক
ভারতকে হারিয়ে ২২ বছর পর উৎসব বাংলাদেশের
মোরছালিনের গোলে ২২ বছর পর উৎসব বাংলাদেশের। ছবি: বাফুফে

ফুটবলে ভারতের বিপক্ষে জয়টা বাংলাদেশের জন্য আরাধ্যই। আন্তর্জাতিক ফুটবলে নির্ধারিত ৯০ মিনিটের মধ্যে বাংলাদেশ সবশেষ ভারতকে হারিয়েছিল ২৬ বছর আগে—১৯৯৯ সালে কাঠমান্ডু সাফ গেমসে। ২০০৩ সালের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ঢাকায় যে জয়টি, সেটি অতিরিক্ত সময়ের গোল্ডেন গোলে। ফিফার পরিসংখ্যানে সেটিকে ‘ড্র’ হিসেবেই ধরা হয়।

২৬ বছর কিংবা ২২ বছর—মঙ্গলবার এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে ভারতকে ১–০ গোলে হারিয়ে আরাধ্য উৎসবটিই করল বাংলাদেশ। আবাক করারই বিষয়, দেশের মাটিতে নির্ধারিত ৯০ মিনিটের মধ্যে এটিই ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম জয়।

একটা সময় বাংলাদেশের জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন ভারতের কয়েকজন তারকা ফুটবলার—শিশির ঘোষ, প্রসূন বন্দোপাধ্যায়, আই এম বিজয়ন, বাইচুং ভুটিয়া কিংবা সুনীল ছেত্রী। এর মধ্যে বাইচুং ভুটিয়া আর সুনীল ছেত্রীই সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছেন বাংলাদেশকে।

কিন্তু হামজা চৌধুরী, শমিত সোম, শেখ মোরছালিন, রাকিব হোসেনদের বাংলাদেশ এবার ছিল অন্য চেহারাতেই। বহু বছর পর ভারতকে নাগালের মধ্যে পেয়ে ঘরের মাঠে এবার আর ভুল করেনি বাংলাদেশ। ম্যাচের ১১ মিনিটে রাকিবের দারুণ এক মুভ থেকে সুযোগের সদ্ব্যবহার করেন শেখ মোরছালিন। বাকি সময়টা দাঁতে দাঁত চেয়ে লড়ে জয়টা ঠিকই তুলে নিয়েছে দল।

এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে এবার বড় সুযোগই হারিয়েছে হাভিয়ের কাবরেরার দল। মার্চে শিলংয়ে ভারতকে বাগে পেয়েও হারানো যায়নি। গোলশূন্য ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে। এরপর জুনে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে দুর্ভাগ্যের হার, অক্টোবরে হংকং চায়নার বিপক্ষে আরেক দুর্ভাগ্য। শেষ মুহূর্তের গোলে ৪–৩–এ হার; অ্যাওয়ে ম্যাচে একই প্রতিপক্ষের সঙ্গে ১–১ গোলে ড্র করে আসার পর আক্ষেপেই পুড়ছিলেন বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীরা।

ভারতের বিপক্ষে তাই জয়টা ছিল খুবই দরকারি। সেই জয়টা শেষ পর্যন্ত হাতের মুঠোতেই। মার্চের ৩১ তারিখ সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে শেষ ম্যাচটি খেলবে বাংলাদেশ। ভারতকে হারিয়ে ৫ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে তৃতীয় স্থানটা পাকাপাকি করারই লক্ষ্য এখন হামজা–শমিত–জামাল–মোরছালিনদের।

সম্পর্কিত