রাজশাহী প্রতিনিধি

ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগের প্রতীক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইতিহাসে নির্মিত প্রথম শহীদ মিনারটি দীর্ঘদিনের অবহেলা ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এখন জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীসহ সকল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ দ্রুত এর (শহীদ মিনার) সংস্কার দাবি জানিয়েছে।
তৎকালীন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) উদ্যোগে নির্মিত এই ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভটি (শহীদ মিনার) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা আন্দোলনের চেতনার প্রথম আনুষ্ঠানিক নিদর্শন হলেও বর্তমানে তার মর্যাদা হারাতে বসেছে।
শহীদুল্লাহ কলা ভবনের সামনে অবস্থিত শহীদ মিনারটির নির্মাণকাজ শুরু হয় ১৯৬৪ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি এবং শেষ হয় ১৯৬৭ সালে। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এটি (শহীদ মিনার) ধ্বংস করে দিলেও স্বাধীনতার পর পুনর্নির্মাণ করা হয়। তবে বর্তমানে স্মৃতিস্তম্ভটির চারপাশ অপরিষ্কার, রং বিবর্ণ এবং কাঠামোর বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় রয়েছে।
শহীদ মিনারটির এমন দুরবস্থায় ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতারা। রাকসুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক তোফায়েল আহমেদ তোফা বলেন, “রাকসুর প্রথম উদ্যোগ হিসেবে এটি (শহীদ মিনার) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি (শহীদ মিনার) দ্রুত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সংস্কার করা জরুরি। নতুন প্রজন্মের কাছে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে স্মৃতিস্তম্ভটির পরিচর্যা নিশ্চিত করতে হবে।”
ছাত্র ইউনিয়নের রাবি সংসদের কোষাধ্যক্ষ মো. কাওসার আহমেদ বলেন, “শহীদ মিনারটি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাতিঘর। আমরা মনে করি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদাসীনতার কারণেই এমনটি হয়েছে। দ্রুত এর সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি আমরা।”
ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী নাজিফা জামান বলেন, এই শহীদ মিনার আমাদের ইতিহাস ও ভাষা আন্দোলনের চেতনার প্রতীক। এর এমন অবস্থা আমাদের গভীরভাবে মর্মাহত করে।
অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. রিয়াত হোসেন বলেন, ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হলে এমন ঐতিহাসিক স্থাপনার যথাযথ পরিচর্যা নিশ্চিত করতে হবে।
এ বিষয়ে আশ্বাস দিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ড. আমিরুল ইসলাম বলেন, “আমরা শহীদ মিনারটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব সম্পর্কে অবগত। এটার (শহীদ মিনার) এমন অবস্থা হওয়া কাম্য নয়। আমি নিশ্চিত করছি, দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং ইতিহাস সংরক্ষণের জন্য আমরা বদ্ধপরিকর।”

ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগের প্রতীক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইতিহাসে নির্মিত প্রথম শহীদ মিনারটি দীর্ঘদিনের অবহেলা ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এখন জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীসহ সকল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ দ্রুত এর (শহীদ মিনার) সংস্কার দাবি জানিয়েছে।
তৎকালীন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) উদ্যোগে নির্মিত এই ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভটি (শহীদ মিনার) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা আন্দোলনের চেতনার প্রথম আনুষ্ঠানিক নিদর্শন হলেও বর্তমানে তার মর্যাদা হারাতে বসেছে।
শহীদুল্লাহ কলা ভবনের সামনে অবস্থিত শহীদ মিনারটির নির্মাণকাজ শুরু হয় ১৯৬৪ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি এবং শেষ হয় ১৯৬৭ সালে। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এটি (শহীদ মিনার) ধ্বংস করে দিলেও স্বাধীনতার পর পুনর্নির্মাণ করা হয়। তবে বর্তমানে স্মৃতিস্তম্ভটির চারপাশ অপরিষ্কার, রং বিবর্ণ এবং কাঠামোর বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় রয়েছে।
শহীদ মিনারটির এমন দুরবস্থায় ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতারা। রাকসুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক তোফায়েল আহমেদ তোফা বলেন, “রাকসুর প্রথম উদ্যোগ হিসেবে এটি (শহীদ মিনার) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি (শহীদ মিনার) দ্রুত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সংস্কার করা জরুরি। নতুন প্রজন্মের কাছে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে স্মৃতিস্তম্ভটির পরিচর্যা নিশ্চিত করতে হবে।”
ছাত্র ইউনিয়নের রাবি সংসদের কোষাধ্যক্ষ মো. কাওসার আহমেদ বলেন, “শহীদ মিনারটি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাতিঘর। আমরা মনে করি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদাসীনতার কারণেই এমনটি হয়েছে। দ্রুত এর সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি আমরা।”
ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী নাজিফা জামান বলেন, এই শহীদ মিনার আমাদের ইতিহাস ও ভাষা আন্দোলনের চেতনার প্রতীক। এর এমন অবস্থা আমাদের গভীরভাবে মর্মাহত করে।
অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. রিয়াত হোসেন বলেন, ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হলে এমন ঐতিহাসিক স্থাপনার যথাযথ পরিচর্যা নিশ্চিত করতে হবে।
এ বিষয়ে আশ্বাস দিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ড. আমিরুল ইসলাম বলেন, “আমরা শহীদ মিনারটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব সম্পর্কে অবগত। এটার (শহীদ মিনার) এমন অবস্থা হওয়া কাম্য নয়। আমি নিশ্চিত করছি, দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং ইতিহাস সংরক্ষণের জন্য আমরা বদ্ধপরিকর।”

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনায় চবি উপ-উপাচার্য (অ্যাকাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খানের দেওয়া বক্তব্যের কিছু অংশ খণ্ডিতভাবে প্রচার করে একটি মহল উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে বলে দাবি করে বিবৃতি দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০১ শিক্ষক।