তাসীন মল্লিক

পোস্টার বাংলাদেশের নির্বাচনী সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ এক অনুষঙ্গ। স্থানীয় বা জাতীয় যেকোনো ভোটের সময়ই প্রিন্টিং প্রেস থেকে শুরু করে নানা পর্যায়ে পোস্টারকে কেন্দ্র করে উৎসবের আমেজ ওঠে। গত বেশ কয়েক বছর ভোটের সময় পোস্টারের ব্যবহার নিয়ে কিছু বিধি-নিষেধ আরোপ করা হলেও, পোস্টার সাঁটানো নিষিদ্ধ করা হয়নি। এবারে পুরোপুরি পোস্টারই নিষিদ্ধ করা হলো।
এদিকে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রচার এরইমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় আগামী ফেব্রুয়ারিতে ভোটের কথা বারবার বলা হচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলোও প্রার্থী ঘোষণা করছে। দেশের প্রায় সব সংসদীয় আসন পোস্টার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে। বিভিন্ন দল ও প্রার্থীর পক্ষে এমন প্রচারের মধ্যেই গত ১০ নভেম্বর রাতে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য নতুন আচরণবিধির গেজেট প্রকাশ করে ইসি। সেখানে বিধি সংশোধন করে নির্বাচনে পোস্টারের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসির যুক্তি পরিবেশ দূষণ কমাতে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রশ্ন উঠছে, দূষণ সীমিত করতে এ উদ্যোগ কতটা সফল হবে? এরইমধ্যে চারদিক পোস্টারে ভরে গেছে।
নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সংশোধতি আচরণ বিধি জারির পরেই চরচাকে জানান, ভোটের তফসিল ঘোষণার আগেই রাজনৈতিক দলগুলোকে সব পোস্টার অপসরাণের আহ্বান জানানো হবে।

তফসিল ঘোষণার পর এর ব্যতয় হলে সংশোধিত বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে সাংবিধানিক সংস্থাটি।
ইসির উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা, তবে সংস্থাটি এ সিদ্ধান্ত কতটুকু কার্যকর করতে পারবেন তা নিয়ে সংশয় রয়েছে তাদের।
নির্বাচন বিশেষজ্ঞ আব্দুল আলীম চরচাকে বলেন, “ইতোমধ্যে পোস্টারের ছড়াছড়ি দেখতে পাচ্ছি। তফসিল ঘোষণার পর ইসিকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।”
পোস্টার নিষিদ্ধ: দূষণ নিয়ন্ত্রণে জোর
ভোটে পোস্টার, তোরণ এবং গেইটের ব্যবহার বন্ধের সুপারিশ করেছিল নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন।
গত ১৯ জুন ইসির সপ্তম কমিশন সভায় সুপারিশের আলোকে পোস্টার ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাব করে খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
গেজেট অনুযায়ী কোন প্রকার পোস্টার ব্যবহার করা যাবে না। পোষ্টারসহ প্রচারপণ্যে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কোন উপদান, অপচনশীল দ্রব্য (রেক্সিন, পলিথিন প্লাস্টিক) ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
এছাড়া শহর ও গ্রামাঞ্চলের ভিজ্যুয়াল দূষণ নিয়ন্ত্রণ বলা হয়েছে, কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে কেউ নির্বাচনী এলাকায় কোনো দালান, দেয়াল, গাছ, বেড়া, বিদ্যুৎ বা টেলিফোনের খুঁটি, সরকারি বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের স্থাপনাসমূহে কিংবা বাস, ট্রাক, ট্রেন, স্টিমার, লঞ্চ, রিকশা, অটোরিকশা, লেগুনা, ট্যাক্সি, বেবিট্যাক্সি বা অন্য কোনো যানবাহনে লিফলেট, হ্যান্ডবিল, ফেস্টুন বা ব্যানার সাঁটাতে পারবে না।
বিলবোর্ড ও ডিজিটাল বিলবোর্ডে
পোস্টার ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দিলেও সীমিত আকারে বিলবোর্ড এবং ডিজিটাল বিলবোর্ড ব্যবহারের সুযোগ রাখা হয়েছে নতুন বিধিমালায়। সংশোধিত আচরণবিধিতে বলা হয়েছে, একজন প্রার্থী তার নির্বাচনী এলাকায় সর্বোচ্চ ২০টি বিলবোর্ড ব্যবহার করতে পারবেন। প্রতিটি বিলবোর্ডের দৈর্ঘ্য হবে সর্বাধিক ১৬ ফুট এবং প্রস্থ ৯ ফুট।
এদিকে ডিজিটাল বিলবোর্ডে আলোক ব্যবহারের অনুমতি থাকলেও, অন্য কোনো ধরনের আলোকসজ্জা প্রচারে ব্যবহৃত হলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। নির্বাচনী প্রচারণায় নতুন কারিগরি মানদণ্ডও নির্ধারণ করে বিধিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে, ইলেকট্রনিক ও ডিজিটাল মাধ্যম ব্যতীত ব্যবহৃত ব্যানার, লিফলেট, হ্যান্ডবিল ও ফেস্টুন অবশ্যই সাদা-কালো রঙের হবে।
ব্যানারের সর্বাধিক আয়তন ১০ ফুট বাই ৪ ফুট, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল এ-ফোর সাইজের (৮.২৭ ইঞ্চি বাই ১১.৬৯ ইঞ্চি) এবং ফেস্টুনের আয়তন ১৮ ইঞ্চি বাই ২৪ ইঞ্চির বেশি হতে পারবে না।
ব্যানার, লিফলেট বা ফেস্টুনে প্রার্থীর নিজস্ব প্রতীক ও ছবি ছাড়া অন্য কারও ছবি ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থী তার দলীয় প্রধানের একটি পোর্ট্রেট আকারের ছবি ব্যবহার করতে পারবেন, কিন্তু সেই ছবিতে ওই প্রধানকে জনসভা পরিচালনা বা প্রার্থনারত অবস্থায় প্রদর্শন করা যাবে না।

শাস্তি নিশ্চিত করবে ইসি
দেশজুড়ে নির্বাচনের পোস্টারে সয়লাবের বিষয় নিয়ে নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, “ইতিমধ্যে আমরা রাজনৈতিক দলগুলোকে বলেছি আচরণবিধিতে কিন্তু এটি নেই।”
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে কঠোর শাস্তির বিধানও রাখা হয়েছে নতুন সংশোধনীতে। কোনো প্রার্থী বা দল বিধি ভঙ্গ করলে সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড বা দেড় লাখ টাকা জরিমানা, অথবা উভয় দণ্ডই দেওয়া হতে পারে। দলের ক্ষেত্রেও দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এমনকি তদন্তে প্রমাণিত হলে প্রার্থিতাও বাতিল করার ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের হাতে রয়েছে।
আনোয়ারুল ইসলাম সরকার চরচাকে বলেন, “পোস্টার ব্যানার এগুলো যেগুলো আছে এগুলো আচরণ পরিপন্থি। দলগুলোকে আহ্বান জানাব দয়া করে এগুলো তফসিল ঘোষণার আগে আপনারা নিজ দায়িত্বে সরায়ে নিবেন। তফসিল ঘোষণার পর এগুলো থাকলে আচরণ বিধি ভঙ্গের কারণে যে সাজা-শাস্তি তাই প্রয়োগ হবে।”
ইসি বলছে, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে শুরু হতে যাওয়া সংলাপে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবে তারা। তবে দীর্ঘদিনের ভোটের সংস্কৃতিতে পোস্টার নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত দলগুলো মেনে নেবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। কিংবা পোস্টার ছাপানো থেকে শুরু করে নানা পর্যায়ে যুক্ত মানুষগুলোর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে যে প্রভাব পড়বে তা কীভাবে সামলানো হবে তা নিয়েও অনেক প্রশ্ন রয়ে গেছে। ইসির সঙ্গে দলগুলোর সংলাপে এ নিয়ে কী ধরনের আলোচনা ওঠে তা নিয়ে অপেক্ষা করতে হবে।

পোস্টার বাংলাদেশের নির্বাচনী সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ এক অনুষঙ্গ। স্থানীয় বা জাতীয় যেকোনো ভোটের সময়ই প্রিন্টিং প্রেস থেকে শুরু করে নানা পর্যায়ে পোস্টারকে কেন্দ্র করে উৎসবের আমেজ ওঠে। গত বেশ কয়েক বছর ভোটের সময় পোস্টারের ব্যবহার নিয়ে কিছু বিধি-নিষেধ আরোপ করা হলেও, পোস্টার সাঁটানো নিষিদ্ধ করা হয়নি। এবারে পুরোপুরি পোস্টারই নিষিদ্ধ করা হলো।
এদিকে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রচার এরইমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় আগামী ফেব্রুয়ারিতে ভোটের কথা বারবার বলা হচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলোও প্রার্থী ঘোষণা করছে। দেশের প্রায় সব সংসদীয় আসন পোস্টার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে। বিভিন্ন দল ও প্রার্থীর পক্ষে এমন প্রচারের মধ্যেই গত ১০ নভেম্বর রাতে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য নতুন আচরণবিধির গেজেট প্রকাশ করে ইসি। সেখানে বিধি সংশোধন করে নির্বাচনে পোস্টারের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসির যুক্তি পরিবেশ দূষণ কমাতে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রশ্ন উঠছে, দূষণ সীমিত করতে এ উদ্যোগ কতটা সফল হবে? এরইমধ্যে চারদিক পোস্টারে ভরে গেছে।
নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সংশোধতি আচরণ বিধি জারির পরেই চরচাকে জানান, ভোটের তফসিল ঘোষণার আগেই রাজনৈতিক দলগুলোকে সব পোস্টার অপসরাণের আহ্বান জানানো হবে।

তফসিল ঘোষণার পর এর ব্যতয় হলে সংশোধিত বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে সাংবিধানিক সংস্থাটি।
ইসির উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা, তবে সংস্থাটি এ সিদ্ধান্ত কতটুকু কার্যকর করতে পারবেন তা নিয়ে সংশয় রয়েছে তাদের।
নির্বাচন বিশেষজ্ঞ আব্দুল আলীম চরচাকে বলেন, “ইতোমধ্যে পোস্টারের ছড়াছড়ি দেখতে পাচ্ছি। তফসিল ঘোষণার পর ইসিকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।”
পোস্টার নিষিদ্ধ: দূষণ নিয়ন্ত্রণে জোর
ভোটে পোস্টার, তোরণ এবং গেইটের ব্যবহার বন্ধের সুপারিশ করেছিল নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন।
গত ১৯ জুন ইসির সপ্তম কমিশন সভায় সুপারিশের আলোকে পোস্টার ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাব করে খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
গেজেট অনুযায়ী কোন প্রকার পোস্টার ব্যবহার করা যাবে না। পোষ্টারসহ প্রচারপণ্যে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কোন উপদান, অপচনশীল দ্রব্য (রেক্সিন, পলিথিন প্লাস্টিক) ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
এছাড়া শহর ও গ্রামাঞ্চলের ভিজ্যুয়াল দূষণ নিয়ন্ত্রণ বলা হয়েছে, কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে কেউ নির্বাচনী এলাকায় কোনো দালান, দেয়াল, গাছ, বেড়া, বিদ্যুৎ বা টেলিফোনের খুঁটি, সরকারি বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের স্থাপনাসমূহে কিংবা বাস, ট্রাক, ট্রেন, স্টিমার, লঞ্চ, রিকশা, অটোরিকশা, লেগুনা, ট্যাক্সি, বেবিট্যাক্সি বা অন্য কোনো যানবাহনে লিফলেট, হ্যান্ডবিল, ফেস্টুন বা ব্যানার সাঁটাতে পারবে না।
বিলবোর্ড ও ডিজিটাল বিলবোর্ডে
পোস্টার ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দিলেও সীমিত আকারে বিলবোর্ড এবং ডিজিটাল বিলবোর্ড ব্যবহারের সুযোগ রাখা হয়েছে নতুন বিধিমালায়। সংশোধিত আচরণবিধিতে বলা হয়েছে, একজন প্রার্থী তার নির্বাচনী এলাকায় সর্বোচ্চ ২০টি বিলবোর্ড ব্যবহার করতে পারবেন। প্রতিটি বিলবোর্ডের দৈর্ঘ্য হবে সর্বাধিক ১৬ ফুট এবং প্রস্থ ৯ ফুট।
এদিকে ডিজিটাল বিলবোর্ডে আলোক ব্যবহারের অনুমতি থাকলেও, অন্য কোনো ধরনের আলোকসজ্জা প্রচারে ব্যবহৃত হলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। নির্বাচনী প্রচারণায় নতুন কারিগরি মানদণ্ডও নির্ধারণ করে বিধিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে, ইলেকট্রনিক ও ডিজিটাল মাধ্যম ব্যতীত ব্যবহৃত ব্যানার, লিফলেট, হ্যান্ডবিল ও ফেস্টুন অবশ্যই সাদা-কালো রঙের হবে।
ব্যানারের সর্বাধিক আয়তন ১০ ফুট বাই ৪ ফুট, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল এ-ফোর সাইজের (৮.২৭ ইঞ্চি বাই ১১.৬৯ ইঞ্চি) এবং ফেস্টুনের আয়তন ১৮ ইঞ্চি বাই ২৪ ইঞ্চির বেশি হতে পারবে না।
ব্যানার, লিফলেট বা ফেস্টুনে প্রার্থীর নিজস্ব প্রতীক ও ছবি ছাড়া অন্য কারও ছবি ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থী তার দলীয় প্রধানের একটি পোর্ট্রেট আকারের ছবি ব্যবহার করতে পারবেন, কিন্তু সেই ছবিতে ওই প্রধানকে জনসভা পরিচালনা বা প্রার্থনারত অবস্থায় প্রদর্শন করা যাবে না।

শাস্তি নিশ্চিত করবে ইসি
দেশজুড়ে নির্বাচনের পোস্টারে সয়লাবের বিষয় নিয়ে নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, “ইতিমধ্যে আমরা রাজনৈতিক দলগুলোকে বলেছি আচরণবিধিতে কিন্তু এটি নেই।”
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে কঠোর শাস্তির বিধানও রাখা হয়েছে নতুন সংশোধনীতে। কোনো প্রার্থী বা দল বিধি ভঙ্গ করলে সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড বা দেড় লাখ টাকা জরিমানা, অথবা উভয় দণ্ডই দেওয়া হতে পারে। দলের ক্ষেত্রেও দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এমনকি তদন্তে প্রমাণিত হলে প্রার্থিতাও বাতিল করার ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের হাতে রয়েছে।
আনোয়ারুল ইসলাম সরকার চরচাকে বলেন, “পোস্টার ব্যানার এগুলো যেগুলো আছে এগুলো আচরণ পরিপন্থি। দলগুলোকে আহ্বান জানাব দয়া করে এগুলো তফসিল ঘোষণার আগে আপনারা নিজ দায়িত্বে সরায়ে নিবেন। তফসিল ঘোষণার পর এগুলো থাকলে আচরণ বিধি ভঙ্গের কারণে যে সাজা-শাস্তি তাই প্রয়োগ হবে।”
ইসি বলছে, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে শুরু হতে যাওয়া সংলাপে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবে তারা। তবে দীর্ঘদিনের ভোটের সংস্কৃতিতে পোস্টার নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত দলগুলো মেনে নেবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। কিংবা পোস্টার ছাপানো থেকে শুরু করে নানা পর্যায়ে যুক্ত মানুষগুলোর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে যে প্রভাব পড়বে তা কীভাবে সামলানো হবে তা নিয়েও অনেক প্রশ্ন রয়ে গেছে। ইসির সঙ্গে দলগুলোর সংলাপে এ নিয়ে কী ধরনের আলোচনা ওঠে তা নিয়ে অপেক্ষা করতে হবে।