আল জাজিরার প্রতিবেদন

বাংলাদেশে শাসক নতুন, খুনি সেই একই!

চরচা ডেস্ক
চরচা ডেস্ক
বাংলাদেশে শাসক নতুন, খুনি সেই একই!
অস্ত্র হাতে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) সদস্যরা। ছবি: রয়টার্স

ছাত্রদের নেতৃত্বাধীন আন্দোলনে ২০২৪ সালের আগস্টে ক্ষমতাচ্যুত হন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের অনেকই তখন বিশ্বাস করেছিলেন, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার অন্ধকার দিনগুলোর শেষ হবে।

২০২৪ সালের ৮ আগস্ট শপথ নেন নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়া মুহাম্মদ ইউনূস। তখন তিনি ন্যায়বিচার, সংস্কার এবং রাষ্ট্রীয় সহিংসতা বন্ধের প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু এক বছরের বেশি সময় কেটে গেলেও, সেই প্রতিশ্রুতিগুলো এখন প্রশ্নের মুখে।

বাংলাদেশি মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, যদিও হত্যার সংখ্যা নাটকীয়ভাবে কমেছে, তবে দায়মুক্তির যে সংস্কৃতি নিপীড়নের উত্থান ঘটিয়েছিল, তা এখনও মূলত অক্ষত রয়ে গেছে।

২০০৯ সালে শেখ হাসিনা আট বছরের বিরতির পর ক্ষমতায় ফিরে আসেন। ২০২২ সাল পর্যন্ত মানবাধিকার সংগঠনগুলোর হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী অন্তত ২ হাজার ৫৯৭ জনকে বিচারবহির্ভূতভাবে নির্যাতন বা গুলি করে হত্যা করেছে।

হাসিনার শাসনে এই মানবাধিকার লঙ্ঘনই ছিল তীব্র আন্দোলনের কারণ। এই আন্দোলনই শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা হারানোর দিকে নিয়ে যায়।

কিন্তু অধিকারের সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অস্থায়ী সরকারের শাসনকালে (অগাস্ট ২০২৪ – সেপ্টেম্বর ২০২৫) অন্তত ৪০টি বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনা ঘটেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের গুলি, নির্যাতন বা পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে, যার সঙ্গে আগের সরকারের কর্মকাণ্ডের ভয়ঙ্করভাবে মিল রয়েছে। ভুক্তভোগীদের মধ্যে ছিলেন রাজনৈতিক কর্মী, সন্দেহভাজন অপরাধী এবং নিরাপত্তা অভিযান চলাকালীন ধরা পড়া সাধারণ নাগরিক।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: বাসস
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: বাসস

যদিও হত্যার পরিমাণ শেখ হাসিনার সময়ের তুলনায় কম। তবে এসব ঘটনা মানবাধিকার কর্মীদের উদ্বেগের মধ্যে ফেলেছে।

গুম তদন্ত কমিশনের অন্যতম সদস্য ও মানবাধিকারকর্মী নূর খান লিটন বলেন, “আমরা দেখছি বিচারবহির্ভূত হত্যার সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে, যা আমরা আশা করিনি।”

গুম কমিশন ২০২৪ সালের ২৭ আগস্ট ইউনূস প্রশাসনের অধীনে গঠিত একটি সরকারি তদন্ত সংস্থা। এটি আগের সরকারের সময় হওয়া গুমের অভিযোগ, দায়ীদের সনাক্তকরণ এবং ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছে।

ক্ষমতা নিয়ে ইউনূস নিজেও ভয়ের বাইরে একটি বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি দেন। মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, তবুও পুলিশ, র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) এবং গোয়েন্দা ইউনিটের মতো বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থা কোনো তদারকি ছাড়া কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

কয়েকটি ক্ষেত্রে দেখা গেছে, আটক ব্যক্তিদের নিরাপত্তা বাহিনীর মাধ্যমে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের সেনা ক্যাম্প, র‍্যাব ক্যাম্প বা পুলিশ স্টেশনে রাখা হয় এবং পরে হাসপাতালে মৃত ঘোষণা করা হয়।

সাবেক ছাত্রদল নেতা আসিফ শিকদার গত জুলাইয়ে মিরপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই মারা যান। তাকে অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে আটক করা হয়েছিল। পরিবার ও দল বলেছে, অভিযোগগুলো মনগড়া।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে কুমিল্লার ইটাল্লা গ্রাম থেকে আটক হন ৪০ বছর বয়সী যুবদল নেতা তৌহিদুল ইসলাম। যৌথ বাহিনী আটক করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে স্থানীয় একটি হাসপাতালে তিনি মারা যান। পরিবারের সদস্য ও চিকিৎসকরা তার দেহে স্পষ্ট নির্যাতনের চিহ্ন দেখেছেন।

তৌহিদুল চট্টগ্রাম বন্দরের একটি শিপিং কোম্পানিতে কাজ করতেন এবং বাবার জানাজায় অংশ নিতে গ্রামে এসেছিলেন। তৌহিদুলের স্ত্রী ও চার মেয়ে রয়েছে।

এ ঘটনায় জনসমক্ষে ক্ষোভের পর সেনা ক্যাম্প কমান্ডারকে প্রত্যাহার করা হয়, এবং সেনাবাহিনী ন্যায়বিচারের প্রতিশ্রুতি দেয়। ইউনূস প্রশাসনও তদন্ত কমিটি গঠনের ঘোষণা দেয়।

আল জাজিরার প্রশ্নের জবাবে, আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামি উদ দৌলা চৌধুরী বলেন, ‘‘ঘটনার পর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একটি তদন্ত বোর্ড গঠন করেছে। তদন্ত শেষে মোট সাতজনের বিরুদ্ধে যথাযথ প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।’’

অধিকারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অন্তর্বর্তী সরকারের ১৪ মাসে গড়ে তিনটি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হয়েছে। তবে পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। শুধু জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ১১ জন নিহত হয়েছে।

রিপোর্ট অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে ১৯ জনকে ক্রসফায়ার বা এনকাউন্টারে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ১৪ জনকে হেফাজতে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। ৭ জনকে নিরাপত্তা বাহিনীর হেফাজতে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাগুলোতে অন্যায়ভাবে ক্ষমতা প্রয়োগ, অনুমতি ছাড়া গ্রেপ্তার, ন্যায়বিচারের অভাব এবং বিশ্বাসযোগ্য তদন্তের অভাব স্পষ্টভাবে দেখা যায়।

গত বছরের আগস্টে ভোলায় নজরুল ইসলাম নামে চুরির অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। পরে পুলিশ হেফাজতে তিনি মারা যান।

ঢাকার পাশের গাজীপুরে গার্মেন্টস কর্মী হাবিবুর রহমান শ্রমিকদের বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করার সময় পুলিশ গুলিতে নিহত হন। এ ঘটনায় কোনো বিচারিক তদন্ত হয়নি।

অধিকার উল্লেখ করেছে, বাংলাদেশ যদিও জাতিসংঘের নির্যাতন বিরোধী সম্মেলন এবং তার ঐচ্ছিক প্রোটোকল অনুমোদন করেছে, তবুও নিরাপত্তা বাহিনীকে দায়ী করা হচ্ছে না।

অধিকার-এর পরিচালক তাসকিন ফাহমিনা আল জাজিরাকে বলেন, ‘‘এমন হত্যাকাণ্ড অব্যাহত থাকা চিন্তার বিষয়, তবে পুরোপুরি আশ্চর্যজনক নয়। কারণ এটি একটি প্রতিষ্ঠানগত উত্তরাধিকারের ধারাবাহিকতা।’’

ফাহমিনা জানিয়েছেন, হাসিনার শাসনের সময় হত্যাকাণ্ড এবং গুম সরকারের আদেশে কেন্দ্রীয়ভাবে হতো। তবে বর্তমান সরকারের সময় জোরপূর্বক নিখোঁজের ঘটনা দেখা যায়নি, যা একটি ইতিবাচক পরিবর্তন।

তবে জুলাই মাসে গোপালগঞ্জে (হাসিনার নির্বাচনী এলাকা) আওয়ামী লীগ সমর্থকদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়। তাসকিন ফাহমিনা বলেন, এটি প্রমাণ করে নিরাপত্তা বাহিনী এখনও মারাত্মক শক্তি ব্যবহার করছে।

ফাহমিনা আরও যোগ করেন, সেনাবাহিনীর দীর্ঘ সময় ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা তাদের পেশাদারত্ব ক্ষয় করেছে। তারা গত বছরের জুলাই থেকে সড়কে রয়েছে। এটির প্রয়োজন ছিল, কারণ সেসময় আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ে।

সেনাবাহিনী সাধারণ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রশিক্ষিত নয়। ছবি: বাসস
সেনাবাহিনী সাধারণ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রশিক্ষিত নয়। ছবি: বাসস

সেনাবাহিনী সাধারণ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রশিক্ষিত নয়, এবং দীর্ঘ সময় রাস্তা-ঘাটে অবস্থান তাদের শৃঙ্খলায় প্রভাব ফেলেছে।

গত ৫ নভেম্বর মিলিটারি অপারেশনস ডিরেক্টরেটের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল দেওয়ান মোহাম্মদ মঞ্জুর হোসাইন জানান, সরকার নির্দেশ দিয়েছে সেনাবাহিনীর ৫০ শতাংশ সদস্যকে মাঠ থেকে প্রত্যাহার করতে।

হাসিনার ১৫ বছর শাসনের সময়, বাংলাদেশে নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে জবাবদিহিতার অভাব ও দায়মুক্তি সংস্কৃতি তৈরি হয়েছিল, যা গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে দুর্বল করে এবং রাষ্ট্রীয় সহিংসতাকে স্বাভাবিক করে তোলে। হাজার হাজার মানুষ তখন নিখোঁজ বা নিহত হন।

তার সরকারের পতনকে এই যুগের প্রতীকী সমাপ্তি হিসেবে দেখা হয়। ইউনূস ক্ষমতায় আসার সময় দেশবাসী ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আশা করেছিলেন, এটি হবে অতীতের ভূমিকা থেকে নৈতিক বিচ্যুতি। তার উপদেষ্টা পরিষদ নিরাপত্তা খাতের সংস্কার, স্বচ্ছতা ও অতীত নির্যাতনের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।

কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন, এই নতুন নৈতিক কর্তৃত্ব কার্যকর নিয়ন্ত্রণে রূপান্তরিত হয়নি।

গুম কমিশন এখন পর্যন্ত হাসিনার সময়ের এক হাজার ৭৫২টি গুমের ঘটনা নথিভুক্ত করেছে। তাদের মধ্যে অনেককে গোপন হেফাজতে রাখা হয়েছে, কয়েকজন নিহত হয়েছেন এবং এখনও ৩৩০ জন নিখোঁজ রয়েছে।

র‍্যাব, পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থা ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিজিএফআই) এই হত্যাকাণ্ড ও নিখোঁজের জন্য অভিযুক্ত। এর মধ্যে ডিজিএফআই মূলত প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের কাছে সরাসরি রিপোর্ট করে।

২০২১ সালে আমেরিকা র‍্যাবকে বিচারবহির্ভূত হত্যার কারণে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরও এই সংস্থা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

ফেব্রুয়ারিতে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে ইউনূস সরকারের কাছে সুপারিশ করা হয়, র‍্যাব ও ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) বিলুপ্ত করার। অন্যান্য আধাসামরিক সংস্থার ক্ষমতা সীমিত করারও পরামর্শ দেওয়া হয়।

কিন্তু এই সুপারিশগুলো বাস্তবায়িত হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নিখোঁজ ও বিচারবহির্ভূত হত্যার অভিযোগে কর্মকর্তাদের বিচারের ভবিষ্যতও এখন অনিশ্চিত।

গত অক্টোবরে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ৩০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। যার মধ্যে শেখ হাসিনা ও ২৫ সেনা কর্মকর্তাও রয়েছেন।

এরই মধ্যে ট্রাইব্যুনাল ১৫ কর্মকর্তার জামিন আবেদন খারিজ করে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। তবে অন্যদের অবস্থান অজানা। তাদের বিচার কার্যক্রম চলছে।

ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা এটিকে ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখেছেন। কিন্তু মানবাধিকারকর্মীরা মনে করেন, বিচারের ভবিষ্যৎ এখনও অনিশ্চিত।

নূর খান লিটন আল জাজিরাকে বলেন, “২০২৪ সালের আন্দোলনের পর, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও জনগণ একে অপরের ওপর বিশ্বাস রাখতে পারেনি। রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিতিশীলতার কারণে কেউ নিশ্চিত নয় যে দেশ কোন দিকে যাচ্ছে।”

বিএনপির সিনিয়র নেতা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: বাসস
বিএনপির সিনিয়র নেতা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: বাসস

পুলিশ সদর দপ্তর মিডিয়ার প্রশ্নের জবাবে বলেছে, “গ্রেপ্তারের পর মৃত্যু বা অভিযান চলাকালীন মৃত্যুকে অভ্যন্তরীণভাবে তদন্ত করে দেখা গেছে। এসব ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা দেওয়া হবে।”

ইউনূসের প্রেস সচিবের পক্ষ থেকে আল জাজিরা কোনো উত্তর পায়নি।

বিএনপির সিনিয়র নেতা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “নির্বাচিত কর্তৃপক্ষ না থাকায় রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান দায়বদ্ধতার বাইরে কাজ করছে। নির্বাচিত সরকার, সংসদ এবং জনপ্রতিনিধি আসলে দায়বদ্ধতা ফিরে আসবে।”

কিন্তু ইতিহাস প্রমাণ করে বাস্তবতা জটিল।

লিটন বলেন, “আমরা ২০০৪ সালে র‍্যাবের ‘ক্রসফায়ার’ নামে বিচারবহির্ভূত হত্যার উদাহরণ দেখেছি। তখন র‍্যাব গঠিত হয়েছিল বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের আমলে।”

ফাহমিনা বলেন, “বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ স্পষ্ট হবে আগামী নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে। বাস্তবতার পরীক্ষা হবে যখন রাজনৈতিক সরকার ফিরে আসবে। তারা সংস্কার চালিয়ে যাবে, নাকি আগের ভুল পুনরায় করবে, সেটি বোঝা যাবে।”

সম্পর্কিত