
২১ নভেম্বর (২০২৫) সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির তীব্রতা ছিল ৫ দশমিক ৫। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল নরসিংদী। বাংলাদেশ কতটা ঝুঁকিতে রয়েছে? আমাদের করণীয় কী? এসব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক রাকিব হাসান।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মোমেনুল ইসলাম বলেন, সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিট ৪ সেকেন্ডে রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় উৎপত্তি হওয়া ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৩.৭ । এর ১ সেকেন্ড পরই নরসিংদী এলাকায় আরেকটি ভূমিকম্প হয়। যার মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৪.৩।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ সন্ধ্যার পর অনুভূত ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৪ দশমিক ৩। উৎপত্তিস্থল নরসিংদী থেকে ১১ কিলোমিটার পশ্চিমে। এর উৎপত্তি ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে।

শুক্রবারের ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পটি হয়েছিল সকাল ১০টা ৩৮ মিনিট ২৬ সেকেন্ডে; আর আজ শনিবারের ভূমিকম্প অনুভূত হয় সকাল ১০টা ৩৬ মিনিট ১২ সেকেন্ডে।

নরসিংদীতে আজ শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে সংঘটিত ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সঙ্গে জেলার বিভিন্ন স্থানে শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। জেলার সদর ও পলাশ উপজেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক।

নরসিংদী শহরের বেশকিছু ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে। ভূমিকম্পে পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সাবস্টেশনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

শিশুর চাচা জাকির জানান, ভূমিকম্পের সময় তারা বাবা-ছেলে বাসায় ছিলেন। ওই সময় বাসার দেয়াল চাপা পড়ে বাবা এবং ছেলে গুরুতর আহত হয়। পরে প্রথমে তাদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে চিকিৎসক শিশু ওমরকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে এই ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পটি কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী ছিল।

স্বামী ফরিদ মিয়া গত বুধবার রাত ৩টার দিকে স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের ছয়জনের শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যান। ফরিদ মিয়া পেশায় একজন পিকআপ চালক।

স্বামী ফরিদ মিয়া গত বুধবার রাত ৩টার দিকে স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের ছয়জনের শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যান। ফরিদ মিয়া পেশায় একজন পিকআপ চালক।

আজ ভোররাতে নরসিংদী থেকে এক নারী ও তার দুই সন্তানকে দগ্ধ অবস্থায় বার্ন ইউনিটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। তাদের মধ্যে রিনা বেগমের শরীরের ৫৮ শতাংশ, তৌহিদের শরীরের ১৬ শতাংশ এবং ফরহাদ এর শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।

আজ ভোররাতে নরসিংদী থেকে এক নারী ও তার দুই সন্তানকে দগ্ধ অবস্থায় বার্ন ইউনিটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। তাদের মধ্যে রিনা বেগমের শরীরের ৫৮ শতাংশ, তৌহিদের শরীরের ১৬ শতাংশ এবং ফরহাদ এর শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।