সবশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও আট দিনের জন্য মাঠে নেমেছিল সশস্ত্র বাহিনী। তবে যাতায়াতের জন্য আরও পাঁচ দিন সময় নিয়েছিল। একাদশ সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে ছিল ১০ দিন।
তাসীন মল্লিক

ভোটের মাঠে সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা কী হবে, বিচারিক ক্ষমতা থাকবে কি না তা নিয়ে চলছে আলোচনা। নির্বাচন সংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করে সশস্ত্র বাহিনীকে আবারও ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী’র সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত করায় এই আলোচনা শুরু হয়।
এদিকে, সংজ্ঞা পরিবর্তনের ফলে নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) আর সরকারের মুখাপেক্ষী হতে হবে না। সাংবিধানিক সংস্থাটি এখন নিজের সিদ্ধান্তেই ব্যবস্থা নিতে পারবে।
তবে ভোটের মাঠে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন হলে তাদের ভূমিকা কী হবে তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ চরচাকে বলেছেন, ‘‘আরপিওতে যেভাবে উল্লেখ করা রয়েছে সেভাবেই সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হবে।”
আরপিওতে যে পরিবর্তন
২০০১ সালে প্রথমবারের মতো নির্বাচনে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনী যুক্ত হয়। এর ফলে ভোটকেন্দ্র ও এর চারপাশে ৪০০ গজের মধ্যে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মতই আইন প্রয়োগের সুযোগ মেলে সেনা, বিমান ও নৌবাহিনীর সদস্যদের। যদিও আইন প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার থাকে বেসামরিক প্রশাসনের অধীনেই থাকে।
২০০৯ সালে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞা থেকে সশস্ত্র বাহিনীকে বাদ দেওয়া হয়।
গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর গঠিত নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন সশস্ত্র বাহিনীকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হিসেবে ফিরিয়ে আনার সুপারিশ করে। এর আলোকে বর্তমান এ এম এম নাসির উদ্দিন নেতৃত্বাধীন কমিশন আরপিও সংশোধনের সুপারিশ করে। গত ২৩ অক্টোবর যা অনুমোদন করে উপদেষ্টা পরিষদ।
সংশোধনের ফলে ভোটে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির মতই স্ট্রাইকিং বা মোবাইল ফোর্স হিসেবে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করতে পারবে ইসি। স্ট্রাইকিং ফোর্সের অন্তর্ভুক্ত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা বেসামরিক প্রশাসন তথা রিটার্নিং কর্মকর্তার অধীনে দায়িত্ব পালন করবেন। মোবাইল ফোর্সের ক্ষেত্রে নির্বাচনী এলাকায় টহলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে দায়িত্ব পালন করবেন তারা।

নির্বাচন বিশেষজ্ঞ আব্দুল আলীম চরচাকে বলেন, “সশস্ত্র বাহিনীর ওপর আস্থার বিষয়টি বিভিন্ন পরিসংখ্যানেও এসেছে। আরপিও সংশোধনের পুলিশের ক্ষেত্রে যেসব বিধান প্রযোজ্য হয় সশস্ত্র বাহিনীর ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য হবে।”
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আট দিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের প্রস্তাব এসেছে নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি বৈঠকে।
সবশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও আট দিনের জন্য মাঠে নেমেছিল সশস্ত্র বাহিনী। তবে যাতায়াতের জন্য আরও পাঁচ দিন সময় নিয়েছিল। একাদশ সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে ছিল ১০ দিন।
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে, রোজার আগে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন হবে। তার আগে ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণা করবে ইসি।
সশস্ত্র বাহিনীর প্রস্তাব ‘বিচারিক ক্ষমতা’
গত ২১ অক্টোবর এক সভায় সংসদ নির্বাচনে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যরা বিচারিক (ম্যাজিস্ট্রেসি) ক্ষমতা নিয়ে দায়িত্ব পালনের প্রস্তাব করেন। ইসির সঙ্গে ওই বৈঠকে তাদের প্রস্তাব ছিল, ভোটের মাঠে বিচারিক ক্ষমতা থাকলে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হবে এবং দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
সশস্ত্র বাহিনী যাতে সরাসরি ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে পারে সেজন্য আইন ও বিধিমালায় প্রয়োজনীয় সংশোধনীরও অনুরোধ করেন। যদিও এ বিষয়ে ইসি কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।
সংশোধিত আরপিও উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদনের আগে অনুষ্ঠিত ওই সভায় ইসি নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদেরকে মোতায়েন পরিকল্পনায় তুলে ধরে। যেখানে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ‘ইন এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ার’ অনুযায়ী দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে সশস্ত্র বাহিনী হতে স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছিল বলে উল্লেখ করা হয়।
ইসি বলছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সংজ্ঞায় যুক্ত করায় সশস্ত্র বাহিনীকে আর আলাদাভাবে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। অতীতের মতো এবারও নির্বাচনে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য সশস্ত্র বাহিনীকে নির্বাচনী দায়িত্বে মোতায়েন করা হবে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর কয়েক দফায় সেই ক্ষমতার মেয়াদ বাড়ানো হয়।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের (বিআইপিএসএস) প্রেসিডেন্ট মেজর জেনারেল (অব.) আ ন ম মনিরুজ্জামান চরচাকে বলেন, ‘‘আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যে ঘাটতি আছে, তা পূরণ করতে হবে সেনাবাহিনী দিয়ে। কাজেই সেই ভূমিকায় আসতে গেলে তাদের ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা থাকতে হবে।’’
গত ২০ অক্টোবর রাজধানীর নির্বাচন ভবনে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক প্রাক-প্রস্তুতিমূলক বৈঠক শেষে জানানো হয়, আগামী নির্বাচনে ৯০ হাজার থেকে এক লাখ সেনাসদস্য মোতায়েন করা হবে। ওই বৈঠকেই সশস্ত্র বাহিনীর বিচারিক ক্ষমতার বিষয়টি উঠে আসে। এছাড়া আগে যেখানে ভোটের মাঠে পাঁচ দিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা ছিল, বৈঠকে সেটি বাড়িয়ে আট দিন রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়।

বিচারিক ক্ষমতা নিয়ে ভিন্নমত
সশস্ত্র বাহিনীকে নির্বাচনে বিচারিক ক্ষমতা প্রয়োগের এখতিয়ার দেওয়া নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মতভিন্নতা রয়েছে। বিদ্যমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু ভোট আয়োজনে সশস্ত্র বাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ার পক্ষে কেউ। আবার অনেকে ক্ষমতার অপপ্রয়োগ বা বিরূপ প্রয়োগ নিয়ন্ত্রণে সশস্ত্র বাহিনীকে বেসামরিক প্রশাসনের অধীনেই থাকার পক্ষে মত রয়েছে।
আ ন ম মনিরুজ্জামানের মতে, “পুলিশের জনবল ও সক্ষমতার কারণে তাদের ভূমিকায় বড় ধরনের ঘাটতি থাকবে। এই ঘাটতি পূরণে সেনাবাহিনীকে ভূমিকায় আসতে হচ্ছে এবং আসাটা যৌক্তিক। কাজেই সেই ভূমিকায় আসতে গেলে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা থাকাটা যৌক্তিক।”
তবে নির্বাচন বিশেষজ্ঞ আব্দুল আলীমের মতে বিচারিক ক্ষমতার অভিন্ন ব্যবহার রোধে তা বেসরকারি প্রশাসনের হাতে থাকাই ভাল। তিনি বলেন, “সেনাবাহিনী সহায়ক ভূমিকা পালন করে এবং তাদের সঙ্গে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট অথবা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট থাকেন। ফলে অনিয়ম ও ভায়োলেশন ঠেকাতে যদি তারা যথাযথভাবে কাজ করেন, তাহলে আর সেনাবাহিনীর এ ধরনের ক্ষমতার দরকার হবে না।”
আব্দুল আলীম আরও বলেন, “সবার কাছে যদি ম্যাজিস্ট্রেট পাওয়ার থাকে তখন সেটা অন্যভাবে ব্যবহৃত হতে পারে। কাজেই এটা একজনের কাছে থাকা ভালো। অন্যরা তাকে সহায়তা করবে।”

ভোটের মাঠে সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা কী হবে, বিচারিক ক্ষমতা থাকবে কি না তা নিয়ে চলছে আলোচনা। নির্বাচন সংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করে সশস্ত্র বাহিনীকে আবারও ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী’র সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত করায় এই আলোচনা শুরু হয়।
এদিকে, সংজ্ঞা পরিবর্তনের ফলে নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) আর সরকারের মুখাপেক্ষী হতে হবে না। সাংবিধানিক সংস্থাটি এখন নিজের সিদ্ধান্তেই ব্যবস্থা নিতে পারবে।
তবে ভোটের মাঠে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন হলে তাদের ভূমিকা কী হবে তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ চরচাকে বলেছেন, ‘‘আরপিওতে যেভাবে উল্লেখ করা রয়েছে সেভাবেই সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হবে।”
আরপিওতে যে পরিবর্তন
২০০১ সালে প্রথমবারের মতো নির্বাচনে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনী যুক্ত হয়। এর ফলে ভোটকেন্দ্র ও এর চারপাশে ৪০০ গজের মধ্যে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মতই আইন প্রয়োগের সুযোগ মেলে সেনা, বিমান ও নৌবাহিনীর সদস্যদের। যদিও আইন প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার থাকে বেসামরিক প্রশাসনের অধীনেই থাকে।
২০০৯ সালে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞা থেকে সশস্ত্র বাহিনীকে বাদ দেওয়া হয়।
গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর গঠিত নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন সশস্ত্র বাহিনীকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হিসেবে ফিরিয়ে আনার সুপারিশ করে। এর আলোকে বর্তমান এ এম এম নাসির উদ্দিন নেতৃত্বাধীন কমিশন আরপিও সংশোধনের সুপারিশ করে। গত ২৩ অক্টোবর যা অনুমোদন করে উপদেষ্টা পরিষদ।
সংশোধনের ফলে ভোটে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির মতই স্ট্রাইকিং বা মোবাইল ফোর্স হিসেবে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করতে পারবে ইসি। স্ট্রাইকিং ফোর্সের অন্তর্ভুক্ত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা বেসামরিক প্রশাসন তথা রিটার্নিং কর্মকর্তার অধীনে দায়িত্ব পালন করবেন। মোবাইল ফোর্সের ক্ষেত্রে নির্বাচনী এলাকায় টহলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে দায়িত্ব পালন করবেন তারা।

নির্বাচন বিশেষজ্ঞ আব্দুল আলীম চরচাকে বলেন, “সশস্ত্র বাহিনীর ওপর আস্থার বিষয়টি বিভিন্ন পরিসংখ্যানেও এসেছে। আরপিও সংশোধনের পুলিশের ক্ষেত্রে যেসব বিধান প্রযোজ্য হয় সশস্ত্র বাহিনীর ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য হবে।”
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আট দিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের প্রস্তাব এসেছে নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি বৈঠকে।
সবশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও আট দিনের জন্য মাঠে নেমেছিল সশস্ত্র বাহিনী। তবে যাতায়াতের জন্য আরও পাঁচ দিন সময় নিয়েছিল। একাদশ সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে ছিল ১০ দিন।
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে, রোজার আগে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন হবে। তার আগে ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণা করবে ইসি।
সশস্ত্র বাহিনীর প্রস্তাব ‘বিচারিক ক্ষমতা’
গত ২১ অক্টোবর এক সভায় সংসদ নির্বাচনে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যরা বিচারিক (ম্যাজিস্ট্রেসি) ক্ষমতা নিয়ে দায়িত্ব পালনের প্রস্তাব করেন। ইসির সঙ্গে ওই বৈঠকে তাদের প্রস্তাব ছিল, ভোটের মাঠে বিচারিক ক্ষমতা থাকলে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হবে এবং দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
সশস্ত্র বাহিনী যাতে সরাসরি ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে পারে সেজন্য আইন ও বিধিমালায় প্রয়োজনীয় সংশোধনীরও অনুরোধ করেন। যদিও এ বিষয়ে ইসি কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।
সংশোধিত আরপিও উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদনের আগে অনুষ্ঠিত ওই সভায় ইসি নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদেরকে মোতায়েন পরিকল্পনায় তুলে ধরে। যেখানে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ‘ইন এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ার’ অনুযায়ী দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে সশস্ত্র বাহিনী হতে স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছিল বলে উল্লেখ করা হয়।
ইসি বলছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সংজ্ঞায় যুক্ত করায় সশস্ত্র বাহিনীকে আর আলাদাভাবে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। অতীতের মতো এবারও নির্বাচনে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য সশস্ত্র বাহিনীকে নির্বাচনী দায়িত্বে মোতায়েন করা হবে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর কয়েক দফায় সেই ক্ষমতার মেয়াদ বাড়ানো হয়।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের (বিআইপিএসএস) প্রেসিডেন্ট মেজর জেনারেল (অব.) আ ন ম মনিরুজ্জামান চরচাকে বলেন, ‘‘আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যে ঘাটতি আছে, তা পূরণ করতে হবে সেনাবাহিনী দিয়ে। কাজেই সেই ভূমিকায় আসতে গেলে তাদের ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা থাকতে হবে।’’
গত ২০ অক্টোবর রাজধানীর নির্বাচন ভবনে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক প্রাক-প্রস্তুতিমূলক বৈঠক শেষে জানানো হয়, আগামী নির্বাচনে ৯০ হাজার থেকে এক লাখ সেনাসদস্য মোতায়েন করা হবে। ওই বৈঠকেই সশস্ত্র বাহিনীর বিচারিক ক্ষমতার বিষয়টি উঠে আসে। এছাড়া আগে যেখানে ভোটের মাঠে পাঁচ দিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা ছিল, বৈঠকে সেটি বাড়িয়ে আট দিন রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়।

বিচারিক ক্ষমতা নিয়ে ভিন্নমত
সশস্ত্র বাহিনীকে নির্বাচনে বিচারিক ক্ষমতা প্রয়োগের এখতিয়ার দেওয়া নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মতভিন্নতা রয়েছে। বিদ্যমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু ভোট আয়োজনে সশস্ত্র বাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ার পক্ষে কেউ। আবার অনেকে ক্ষমতার অপপ্রয়োগ বা বিরূপ প্রয়োগ নিয়ন্ত্রণে সশস্ত্র বাহিনীকে বেসামরিক প্রশাসনের অধীনেই থাকার পক্ষে মত রয়েছে।
আ ন ম মনিরুজ্জামানের মতে, “পুলিশের জনবল ও সক্ষমতার কারণে তাদের ভূমিকায় বড় ধরনের ঘাটতি থাকবে। এই ঘাটতি পূরণে সেনাবাহিনীকে ভূমিকায় আসতে হচ্ছে এবং আসাটা যৌক্তিক। কাজেই সেই ভূমিকায় আসতে গেলে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা থাকাটা যৌক্তিক।”
তবে নির্বাচন বিশেষজ্ঞ আব্দুল আলীমের মতে বিচারিক ক্ষমতার অভিন্ন ব্যবহার রোধে তা বেসরকারি প্রশাসনের হাতে থাকাই ভাল। তিনি বলেন, “সেনাবাহিনী সহায়ক ভূমিকা পালন করে এবং তাদের সঙ্গে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট অথবা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট থাকেন। ফলে অনিয়ম ও ভায়োলেশন ঠেকাতে যদি তারা যথাযথভাবে কাজ করেন, তাহলে আর সেনাবাহিনীর এ ধরনের ক্ষমতার দরকার হবে না।”
আব্দুল আলীম আরও বলেন, “সবার কাছে যদি ম্যাজিস্ট্রেট পাওয়ার থাকে তখন সেটা অন্যভাবে ব্যবহৃত হতে পারে। কাজেই এটা একজনের কাছে থাকা ভালো। অন্যরা তাকে সহায়তা করবে।”

বস্তিগুলোতে আগুন লাগার মূল কারণ হচ্ছে সম্পূর্ণ অপরিকল্পিত বৈদ্যুতিক সংযোগ, নিয়ম না মেনে সিলিন্ডার বা লাইন গ্যাসের অনিরাপদ ব্যবহার, বিড়ি-সিগারেট, মশার কয়েল ও খোলা বাতির ব্যবহার, উন্মুক্ত চুলা ও হিটারের মতো ঝুঁকিপূর্ণ বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার। উদাসীনতা ও অসাবধানতা এই ঝুঁকি আরও বাড়ায়

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় কারাগারে গিয়ে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের সঙ্গে কথা বলেছেন তার আইনজীবী মোরশেদ হোসেন। তিনি বলেন, “কারাগারে সাধন চন্দ্র মজুমদারের সঙ্গে যখন কথা হয়, তখন তিনি কেবল সাবেক শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদের মৃত্যুর প্রসঙ্গে কথা বলতে থাকেন। নুরুল মজিদের মৃত্যু অন্য নেতাদের ভীষণ চিন্ত