‘শ্যুটার’ ফয়সালের একাধিক সহযোগিকে আটকের দাবি র‍্যাবের

সামদানী হক নাজুম, ঢাকা
সামদানী হক নাজুম, ঢাকা
‘শ্যুটার’ ফয়সালের একাধিক সহযোগিকে আটকের দাবি র‍্যাবের
শনিবার গণমাধ্যমে সিসিটিভির ফুটেজের একই ব্যক্তির দুটি ছবি পাঠিয়ে তার ব্যাপারে তথ্য দিতে সবাইকে অনুরোধ জানায় ডিএমপি। ছবি: সিসিটিভি ফুটেজ

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির মাথায় গুলি করা ‘শ্যুটার’ ফয়সাল করিম মাসুদের একাধিক সহযোগীকে আটকের দাবি করেছে র‍্যাব। র‍্যাব বলছে, মামলার পর তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হবে।

র‍্যাবের দায়িত্বশীল একটি সূত্র চরচাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। সূত্র জানিয়েছে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে হামলার শিকার হন হাদি। আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুর ২টা ২১ মিনিটে রাজধানীর পল্টন এলাকার বক্স কালভার্ট রোডে হামলার শিকার হন ওসমান হাদি। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হাদির শারীরিক অবস্থা অন্তত আশঙ্কাজনক।

শুক্রবার তার ওপর গুলি চালানোর পরপরই ঘটনাস্থল ও আশপাশের সিসি টিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। ফুটেজ বিশ্লেষণ করে হামলাকারীদের ব্যবহার করা হোন্ডা হর্নেট সিরিজের মোটরসাইকেলটি চিহ্নিত হয়। একই সঙ্গে হামলাকারী এবং মোটরসাইকেল চালকের পরিধেয় পোশাকের রং, ধরন সম্পর্কে ধারণা পায় পুলিশ। পরে রাতে ইনকিলাব মঞ্চের কালচারাল সেন্টারের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে শ্যুটারের স্পষ্ট ছবি মেলে। তারপর ডিএমপির অপরাধী ডেটাবেইজ থেকে ফয়সালের পরিচয় নিশ্চিত হয় পুলিশ।

ফয়সাল ও মোটরসাইকেলে থাকা অপর ব্যক্তিকে ধরতে শুক্রবার থেকেই কাজ শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এরই মধ্যে দেশের সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

ডিএমপির অপরাধ বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার এস.এন. মো. নজরুল ইসলাম চরচাকে বলেন, “ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনাটি দেশের মানুষকে অনেক বড় ধাক্কা দিয়েছে। আমরাও সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত কাজ চালাচ্ছি। জড়িতরা এরই মধ্যে শনাক্ত, আশা করছি খুব দ্রুত তারা গ্রেপ্তার হবে।”

এদিকে, পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, হামলার আগ পর্যন্ত হাদির সঙ্গে অন্তত তিন দিন প্রচার কার্যক্রমে ফয়সালকে দেখা যায়। গত ৯ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৮টার পর কালচারাল সেন্টারে হাদির প্রচারের পরিকল্পনা মিটিংয়ে অংশ নেয় ফয়সাল। ওই দিনই তিনি হাদির সকল নির্বাচনী পোস্টার-ব্যানার তৈরির খরচসহ অনুসাঙ্গিক খরচ বহনের প্রস্তাব দেন। হাদির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে এটিকে ফয়সালের কৌশল হিসেবে মনে করছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।

সম্পর্কিত