হুমা সিদ্দিকী

সম্প্রতি ঢাকায় ছাত্রনেতা শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ড, এর কয়েকদিন পর খুলনায় মোতালেব শিকদারকে হত্যাচেষ্টার ঘটনা আবারও বাংলাদেশকে আগের সেই বিপজ্জনক পরিস্থিতির দিতে ঠেলে দিচ্ছে। আবারও দেশটিতে আতঙ্ক-জল্পনা সৃষ্টি ও রাজনৈতিক ভাঙনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এমন অনিশ্চয়তার সময়ে সহিংসতার প্রভাব স্বভাবতই অন্যদিকে মোড় নিয়ে নেয়।
এসব ঘটনায় কারা লাভবান হচ্ছে? কারা নজর রাখছেন? এসব ঘটনায় যেসব ন্যারেটিভ সামনে আসছে, সেগুলো কাদের মদদপুষ্ট? এই প্রশ্নগুলো খুবই প্রাসঙ্গিক। কিন্তু প্রায়ই ভুল পদ্ধতিতে এসব প্রশ্ন তোলা হয়।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক হামলাগুলো ব্যাখা করতে হলে বাইরের কোনো পরিকল্পনার প্রয়োজন নেই। বাংলাদেশ একটি নাজুক রাজনৈতিক রুপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে এখানে নেতৃত্ব প্রশ্নের মুখে, প্রতিষ্ঠানগুলো চাপের মুখে আর রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দীরা নিজেদের সক্ষমতার পরীক্ষা দিচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব থেকেই সহিংসতার সূত্রপাত হতে পারে। শুধু বাংলাদেশে নয়, সারাবিশ্বের ইতিহাসেই এমন অনেক উদাহরণ আছে, যেখানে বাইরের কোনো সংযোগ আছে কিনা সেটি ঘটনা ঘটার সময় নয় বরং পরে প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে।
আধুনিক ভূরাজনীতিতে ঘটনা ঘটিয়ে প্রভাব বিস্তার খুব একটা হয় না। এর পরিবর্তে ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়ে প্রভাব বিস্তার করা হয়। সাধারণত প্রতিটি সহিংসতার ঘটনার পর রাজনৈতিক পরিবেশে পরিবর্তন আসে। তীব্র আকার ধারণ করে আবেগ, পরস্পরের প্রতি আস্থা দূর্বল হতে থাকে। এই সুযোগে কোনো অসম্পূর্ণ তথ্য থাকলে সেই জায়গাটা দখল করে গুজব। আর তখনই পরোক্ষ প্রভাব কার্যকর হতে থাকে। কিন্তু কোনো ঘটনা ঘটিয়ে এই প্রভাব বিস্তার করা হয় না, বরং এসব ঘটনার ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়ে এরপর প্রভাবের শুরু।
বাংলাদেশ প্রশ্নে পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরেই এই নীতি অনুসরণ করে আসছে। কারণ সরাসরি হস্তক্ষেপে বেশকিছু ঝুঁকি থাকে। যেমন, ঘটনার দায় নিতে হতে পারে, কূটনৈতিক সম্পর্ক ভাঙন ও উত্তেজনার ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। পক্ষান্তরে পরোক্ষভাবে প্রভাব বিস্তারে দায় নিতে হয়না। দায়িত্ব না নিয়েই প্রাসঙ্গিক থাকা যায়। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক হত্যা ও হত্যাচেষ্টায় ঠিক এমন একটি পরিবেশ তৈরি হয়েছে, যেখানে এই কৌশল সবচেয়ে কার্যকর।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বই রাস্তা আরও পরিষ্কার করে দিয়েছে। জাতীয় পরিচয়, ধর্মনিরপেক্ষতা, ১৯৭১ সালের যুদ্ধে কাদের অবদান কেমন–এসব নিয়ে বিতর্ক বরাবরই বিদ্যমান ছিল। চাপের মুখে এসব আরও স্পষ্ট হয়ে উঠে। সহিংসতা একে আরও বেশি উস্কে দেয়। এই সময়গুলোতে রাজনৈতিক মতভেদ পরিণত হয় ক্ষোভে, ফলে আলোচনার সুযোগ নষ্ট হয়।
এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে আপনা-আপনিই কিছু ন্যারেটিভ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এরমধ্যে রয়েছে, ইতিহাসের অসম্পূর্ণ নিষ্পত্তি, জবাবদিহিতাই অস্থিরতার কারণ কি না, কিংবা বৃহত্তর আদর্শিক বা ধর্মীয় পরিচয়ের আহ্বান।
এমন না যে এসব বিষয় বাইরে থেকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ঢুকানো হচ্ছে বা হয়েছে। এগুলো আগে থেকেই ছিল বা আছে। পরিবর্তন হচ্ছে তীব্রতা ও বিস্তারের গতিতে।
পাকিস্তান এখানে তীব্রতা বাড়ানোর ভূমিকা পালন করে। কোনো দিকনর্দেশনা না দিয়ে সহানুভূতির সুরে বলা কথা, মতাদর্শগতভাবে মিল রাখা বক্তব্য, প্রবাসী আলোচনাসভা ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলো এমন ন্যারেটিভকে জোরদার করে, যা পাকিস্তানের রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক ও সামঞ্জস্যপূর্ণ।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এসবের তেমন কোনো প্রমাণও থাকে না। এক্ষেত্রে অনুসরণ করার মতো কোনো নির্দেশনা খুঁজে পাওয়া যায়না, আবার উন্মোচন করার মতো কোনো যোগসূত্রও থাকে না। কোনো অভিযোগ উঠলেও প্রমাণের অভাবই হয়ে ওঠে প্রতিরক্ষার হাতিয়ার। উপেক্ষা করা হলেও ন্যারেটিভগুলো ছড়িয়ে পড়ে। উভয়ক্ষেত্রেই গ্রহণযোগ্য অস্বীকৃতি বজায় থাকে।
এই কৌশলের কার্যকারিতা নির্ভর করে মূলত ধৈর্যের ওপর। পাকিস্তানের দরকার নেই বাংলাদেশে কোনো সংকট তৈরি করার। তারা বরং সংকট তৈরি হওয়ার জন্য অপেক্ষা করে।
অভ্যন্তরীণ অস্থিরতাই অনেক সময় এমন সংকট তৈরি করে, যা বাইরে থেকে করা সম্ভব নয়। একবার এমন সুযোগ হয়ে গেলে, সামান্য চেষ্টাতেই প্রভাব বিস্তার করা সম্ভব। বাংলাদেশকে বাইরে থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে–দেশটির জন্য এর চেয়েও বড় ঝুঁকি হলো ভেতরের দুর্বলতাই দেশটিকে এমন ন্যারেটিভের জন্য সুযোগ করে দিচ্ছে।
প্রতিটি অমীমাংসিত হামলা বিশ্বাস ও আস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। তদন্তে বিলম্ব হলে নানা জল্পনা-কল্পনা তৈরির সুযোগ হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা বাস্তবতা থেকে দূরে সরে যায়, জবাবদিহিতা পরিণত হয় অভিযোগে।
এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সহজ নয়। একদিকে, অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া বাইরের ন্যারেটিভকে আরও জোরালো করতে পারে। আবার নীরবতা সেগুলোকে স্থায়ীও করতে পারে। কঠিন হলেও সবচেয়ে কার্যকর প্রতিরোধ হলো এসব হামলার ঘটনার বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত, দৃশ্যমান আইনপ্রয়োগ এবং সব পক্ষের রাজনৈতিক সংযম। আত্মবিশ্বাসই পরোক্ষ প্রভাবের সবচেয়ে বড় শত্রু।
এ ছাড়াও সমস্যার ভুল ব্যাখ্যাও এড়িয়ে চলা জরুরি। পরোক্ষ প্রভাবকে সরাসরি আগ্রাসন হিসেবে দেখলে মূল সমাধান না করেই উত্তেজনা বাড়তে পারে। আবার একে পুরোপুরি উপেক্ষা করলে তথ্য অরক্ষিত থেকে যায়। আজকের দিনে কীভাবে নীরবে প্রভাব বিস্তার করা যায়, তা বোঝাটা জরুরি।
লেখক: হুমা সিদ্দিকী, ভারতীয় সাংবাদিক
লেখাটি স্ট্রেটনিউজ গ্লোবালে প্রকাশিত নিবন্ধ থেকে অনুবাদ করে প্রকাশিত

সম্প্রতি ঢাকায় ছাত্রনেতা শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ড, এর কয়েকদিন পর খুলনায় মোতালেব শিকদারকে হত্যাচেষ্টার ঘটনা আবারও বাংলাদেশকে আগের সেই বিপজ্জনক পরিস্থিতির দিতে ঠেলে দিচ্ছে। আবারও দেশটিতে আতঙ্ক-জল্পনা সৃষ্টি ও রাজনৈতিক ভাঙনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এমন অনিশ্চয়তার সময়ে সহিংসতার প্রভাব স্বভাবতই অন্যদিকে মোড় নিয়ে নেয়।
এসব ঘটনায় কারা লাভবান হচ্ছে? কারা নজর রাখছেন? এসব ঘটনায় যেসব ন্যারেটিভ সামনে আসছে, সেগুলো কাদের মদদপুষ্ট? এই প্রশ্নগুলো খুবই প্রাসঙ্গিক। কিন্তু প্রায়ই ভুল পদ্ধতিতে এসব প্রশ্ন তোলা হয়।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক হামলাগুলো ব্যাখা করতে হলে বাইরের কোনো পরিকল্পনার প্রয়োজন নেই। বাংলাদেশ একটি নাজুক রাজনৈতিক রুপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে এখানে নেতৃত্ব প্রশ্নের মুখে, প্রতিষ্ঠানগুলো চাপের মুখে আর রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দীরা নিজেদের সক্ষমতার পরীক্ষা দিচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব থেকেই সহিংসতার সূত্রপাত হতে পারে। শুধু বাংলাদেশে নয়, সারাবিশ্বের ইতিহাসেই এমন অনেক উদাহরণ আছে, যেখানে বাইরের কোনো সংযোগ আছে কিনা সেটি ঘটনা ঘটার সময় নয় বরং পরে প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে।
আধুনিক ভূরাজনীতিতে ঘটনা ঘটিয়ে প্রভাব বিস্তার খুব একটা হয় না। এর পরিবর্তে ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়ে প্রভাব বিস্তার করা হয়। সাধারণত প্রতিটি সহিংসতার ঘটনার পর রাজনৈতিক পরিবেশে পরিবর্তন আসে। তীব্র আকার ধারণ করে আবেগ, পরস্পরের প্রতি আস্থা দূর্বল হতে থাকে। এই সুযোগে কোনো অসম্পূর্ণ তথ্য থাকলে সেই জায়গাটা দখল করে গুজব। আর তখনই পরোক্ষ প্রভাব কার্যকর হতে থাকে। কিন্তু কোনো ঘটনা ঘটিয়ে এই প্রভাব বিস্তার করা হয় না, বরং এসব ঘটনার ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়ে এরপর প্রভাবের শুরু।
বাংলাদেশ প্রশ্নে পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরেই এই নীতি অনুসরণ করে আসছে। কারণ সরাসরি হস্তক্ষেপে বেশকিছু ঝুঁকি থাকে। যেমন, ঘটনার দায় নিতে হতে পারে, কূটনৈতিক সম্পর্ক ভাঙন ও উত্তেজনার ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। পক্ষান্তরে পরোক্ষভাবে প্রভাব বিস্তারে দায় নিতে হয়না। দায়িত্ব না নিয়েই প্রাসঙ্গিক থাকা যায়। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক হত্যা ও হত্যাচেষ্টায় ঠিক এমন একটি পরিবেশ তৈরি হয়েছে, যেখানে এই কৌশল সবচেয়ে কার্যকর।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বই রাস্তা আরও পরিষ্কার করে দিয়েছে। জাতীয় পরিচয়, ধর্মনিরপেক্ষতা, ১৯৭১ সালের যুদ্ধে কাদের অবদান কেমন–এসব নিয়ে বিতর্ক বরাবরই বিদ্যমান ছিল। চাপের মুখে এসব আরও স্পষ্ট হয়ে উঠে। সহিংসতা একে আরও বেশি উস্কে দেয়। এই সময়গুলোতে রাজনৈতিক মতভেদ পরিণত হয় ক্ষোভে, ফলে আলোচনার সুযোগ নষ্ট হয়।
এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে আপনা-আপনিই কিছু ন্যারেটিভ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এরমধ্যে রয়েছে, ইতিহাসের অসম্পূর্ণ নিষ্পত্তি, জবাবদিহিতাই অস্থিরতার কারণ কি না, কিংবা বৃহত্তর আদর্শিক বা ধর্মীয় পরিচয়ের আহ্বান।
এমন না যে এসব বিষয় বাইরে থেকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ঢুকানো হচ্ছে বা হয়েছে। এগুলো আগে থেকেই ছিল বা আছে। পরিবর্তন হচ্ছে তীব্রতা ও বিস্তারের গতিতে।
পাকিস্তান এখানে তীব্রতা বাড়ানোর ভূমিকা পালন করে। কোনো দিকনর্দেশনা না দিয়ে সহানুভূতির সুরে বলা কথা, মতাদর্শগতভাবে মিল রাখা বক্তব্য, প্রবাসী আলোচনাসভা ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলো এমন ন্যারেটিভকে জোরদার করে, যা পাকিস্তানের রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক ও সামঞ্জস্যপূর্ণ।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এসবের তেমন কোনো প্রমাণও থাকে না। এক্ষেত্রে অনুসরণ করার মতো কোনো নির্দেশনা খুঁজে পাওয়া যায়না, আবার উন্মোচন করার মতো কোনো যোগসূত্রও থাকে না। কোনো অভিযোগ উঠলেও প্রমাণের অভাবই হয়ে ওঠে প্রতিরক্ষার হাতিয়ার। উপেক্ষা করা হলেও ন্যারেটিভগুলো ছড়িয়ে পড়ে। উভয়ক্ষেত্রেই গ্রহণযোগ্য অস্বীকৃতি বজায় থাকে।
এই কৌশলের কার্যকারিতা নির্ভর করে মূলত ধৈর্যের ওপর। পাকিস্তানের দরকার নেই বাংলাদেশে কোনো সংকট তৈরি করার। তারা বরং সংকট তৈরি হওয়ার জন্য অপেক্ষা করে।
অভ্যন্তরীণ অস্থিরতাই অনেক সময় এমন সংকট তৈরি করে, যা বাইরে থেকে করা সম্ভব নয়। একবার এমন সুযোগ হয়ে গেলে, সামান্য চেষ্টাতেই প্রভাব বিস্তার করা সম্ভব। বাংলাদেশকে বাইরে থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে–দেশটির জন্য এর চেয়েও বড় ঝুঁকি হলো ভেতরের দুর্বলতাই দেশটিকে এমন ন্যারেটিভের জন্য সুযোগ করে দিচ্ছে।
প্রতিটি অমীমাংসিত হামলা বিশ্বাস ও আস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। তদন্তে বিলম্ব হলে নানা জল্পনা-কল্পনা তৈরির সুযোগ হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা বাস্তবতা থেকে দূরে সরে যায়, জবাবদিহিতা পরিণত হয় অভিযোগে।
এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সহজ নয়। একদিকে, অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া বাইরের ন্যারেটিভকে আরও জোরালো করতে পারে। আবার নীরবতা সেগুলোকে স্থায়ীও করতে পারে। কঠিন হলেও সবচেয়ে কার্যকর প্রতিরোধ হলো এসব হামলার ঘটনার বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত, দৃশ্যমান আইনপ্রয়োগ এবং সব পক্ষের রাজনৈতিক সংযম। আত্মবিশ্বাসই পরোক্ষ প্রভাবের সবচেয়ে বড় শত্রু।
এ ছাড়াও সমস্যার ভুল ব্যাখ্যাও এড়িয়ে চলা জরুরি। পরোক্ষ প্রভাবকে সরাসরি আগ্রাসন হিসেবে দেখলে মূল সমাধান না করেই উত্তেজনা বাড়তে পারে। আবার একে পুরোপুরি উপেক্ষা করলে তথ্য অরক্ষিত থেকে যায়। আজকের দিনে কীভাবে নীরবে প্রভাব বিস্তার করা যায়, তা বোঝাটা জরুরি।
লেখক: হুমা সিদ্দিকী, ভারতীয় সাংবাদিক
লেখাটি স্ট্রেটনিউজ গ্লোবালে প্রকাশিত নিবন্ধ থেকে অনুবাদ করে প্রকাশিত