চরচা ডেস্ক

ব্যস্ত জীবন, কাজের চাপ আর চারপাশের অস্থিরতায় আমাদের মন যখন বিষণ্ণতায় ভরে ওঠে, তখন এক চিলতে প্রশান্তি এনে দিতে পারে গান। আদিমকাল থেকেই মানুষ মনের ভাব প্রকাশে গানের আশ্রয় নিয়েছে। কিন্তু এটি কেবল বিনোদন নয়, একটি শক্তিশালী থেরাপিও। বিজ্ঞান বলছে, সুর ও তালের মিশ্রণ আমাদের মস্তিষ্কে এমন এক প্রভাব ফেলে যা মুহূর্তেই অস্থিরতা কমিয়ে মনে প্রশান্তি আনতে পারে।
মস্তিষ্কে গানের প্রভাব
আমরা যখন আমাদের পছন্দের কোনো গান শুনি, তখন মস্তিষ্কে ডোপামিন নামক এক ধরণের 'ফিল গুড' হরমোন নিঃসৃত হয়। এটি আমাদের আনন্দের অনুভূতি দেয় এবং দুশ্চিন্তা কমিয়ে ফেলে। এ ছাড়া গান শোনার ফলে স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের মাত্রা কমে যায়। ফলে দীর্ঘক্ষণ কাজ বা মানসিক চাপের পর গান শুনলে শরীর ও মন দ্রুত শিথিল হয়ে আসে।
হৃদস্পন্দন ও শ্বাস-প্রশ্বাসের সমন্বয়
মানসিক অস্থিরতা বা উদ্বেগের সময় আমাদের হৃদস্পন্দন বেড়ে যায় এবং শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, ধীরলয়ের গান বা যন্ত্রসংগীত শুনলে তা শরীরের 'প্যারাসিম্প্যাথেটিক নার্ভাস সিস্টেম'কে সক্রিয় করে। এটি হৃদস্পন্দনকে স্বাভাবিক করতে এবং রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। বিশেষ করে ক্ল্যাসিকাল বা মেডিটেশন মিউজিক এক্ষেত্রে জাদুর মতো কাজ করে।
বর্তমান মুহূর্তে ফেরা
মানসিক অস্থিরতার অন্যতম কারণ হলো অতীত বা ভবিষ্যৎ নিয়ে অহেতুক চিন্তা। গান আমাদের মনোযোগ বর্তমান মুহূর্তে বা সুরের ছন্দে নিবদ্ধ করতে সাহায্য করে। একে বলা হয় 'কগনিটিভ ডিস্ট্রাকশন'। যখন আমরা গানের কথা বা সুরের ওপর মনোযোগ দেই, তখন মস্তিষ্কের নেতিবাচক চিন্তার লুপগুলো ভেঙে যায়। ফলে অস্থিরতা কমে গিয়ে মনে এক ধরণের স্থিতিশীলতা আসে।

আবেগ মুক্তি বা ক্যাথারসিস
অনেক সময় আমরা মনের ভেতরের কষ্ট বা অস্থিরতা প্রকাশ করতে পারি না। গান আমাদের অবদমিত আবেগগুলোকে বাইরে নিয়ে আসতে সাহায্য করে। ব্যথাতুর মনে কষ্টের গান শুনলে অনেক সময় কান্না পায়, যা আসলে এক ধরণের আবেগীয় মুক্তি বা ক্যাথারসিস। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মন হালকা হয় এবং অস্থিরতা দূর হয়।
ঘুমের মানোন্নয়ন
অস্থিরতার একটি বড় লক্ষণ হলো অনিদ্রা। ঘুমের আগে হালকা সুরের গান শুনলে মস্তিষ্ক ঘুমের জন্য প্রস্তুত হয়। এটি মনকে শান্ত করে দুশ্চিন্তা থেকে দূরে রাখে, ফলে গভীর ও নিরবচ্ছিন্ন ঘুম নিশ্চিত হয়।
গান হলো আত্মার খোরাক। প্রতিদিন অন্তত ১৫-২০ মিনিট নিজের পছন্দের গান শোনার অভ্যাস মানসিক স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে পারে। তবে অস্থিরতা কমাতে উচ্চশব্দের গানের চেয়ে ধীরলয়ের ক্ল্যাসিকাল মিউজিক বেছে নেওয়া বেশি কার্যকর। তাই মন খারাপ বা অস্থির সময়ে নিজেকে গুটিয়ে না রেখে সুরের ভেলায় ভাসিয়ে দিন; দেখবেন জীবনটা অনেক বেশি সহজ ও ছন্দময় মনে হচ্ছে।
তথ্যসূত্র: হেলথলাইন, সাইকোলজি টুডে

ব্যস্ত জীবন, কাজের চাপ আর চারপাশের অস্থিরতায় আমাদের মন যখন বিষণ্ণতায় ভরে ওঠে, তখন এক চিলতে প্রশান্তি এনে দিতে পারে গান। আদিমকাল থেকেই মানুষ মনের ভাব প্রকাশে গানের আশ্রয় নিয়েছে। কিন্তু এটি কেবল বিনোদন নয়, একটি শক্তিশালী থেরাপিও। বিজ্ঞান বলছে, সুর ও তালের মিশ্রণ আমাদের মস্তিষ্কে এমন এক প্রভাব ফেলে যা মুহূর্তেই অস্থিরতা কমিয়ে মনে প্রশান্তি আনতে পারে।
মস্তিষ্কে গানের প্রভাব
আমরা যখন আমাদের পছন্দের কোনো গান শুনি, তখন মস্তিষ্কে ডোপামিন নামক এক ধরণের 'ফিল গুড' হরমোন নিঃসৃত হয়। এটি আমাদের আনন্দের অনুভূতি দেয় এবং দুশ্চিন্তা কমিয়ে ফেলে। এ ছাড়া গান শোনার ফলে স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের মাত্রা কমে যায়। ফলে দীর্ঘক্ষণ কাজ বা মানসিক চাপের পর গান শুনলে শরীর ও মন দ্রুত শিথিল হয়ে আসে।
হৃদস্পন্দন ও শ্বাস-প্রশ্বাসের সমন্বয়
মানসিক অস্থিরতা বা উদ্বেগের সময় আমাদের হৃদস্পন্দন বেড়ে যায় এবং শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, ধীরলয়ের গান বা যন্ত্রসংগীত শুনলে তা শরীরের 'প্যারাসিম্প্যাথেটিক নার্ভাস সিস্টেম'কে সক্রিয় করে। এটি হৃদস্পন্দনকে স্বাভাবিক করতে এবং রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। বিশেষ করে ক্ল্যাসিকাল বা মেডিটেশন মিউজিক এক্ষেত্রে জাদুর মতো কাজ করে।
বর্তমান মুহূর্তে ফেরা
মানসিক অস্থিরতার অন্যতম কারণ হলো অতীত বা ভবিষ্যৎ নিয়ে অহেতুক চিন্তা। গান আমাদের মনোযোগ বর্তমান মুহূর্তে বা সুরের ছন্দে নিবদ্ধ করতে সাহায্য করে। একে বলা হয় 'কগনিটিভ ডিস্ট্রাকশন'। যখন আমরা গানের কথা বা সুরের ওপর মনোযোগ দেই, তখন মস্তিষ্কের নেতিবাচক চিন্তার লুপগুলো ভেঙে যায়। ফলে অস্থিরতা কমে গিয়ে মনে এক ধরণের স্থিতিশীলতা আসে।

আবেগ মুক্তি বা ক্যাথারসিস
অনেক সময় আমরা মনের ভেতরের কষ্ট বা অস্থিরতা প্রকাশ করতে পারি না। গান আমাদের অবদমিত আবেগগুলোকে বাইরে নিয়ে আসতে সাহায্য করে। ব্যথাতুর মনে কষ্টের গান শুনলে অনেক সময় কান্না পায়, যা আসলে এক ধরণের আবেগীয় মুক্তি বা ক্যাথারসিস। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মন হালকা হয় এবং অস্থিরতা দূর হয়।
ঘুমের মানোন্নয়ন
অস্থিরতার একটি বড় লক্ষণ হলো অনিদ্রা। ঘুমের আগে হালকা সুরের গান শুনলে মস্তিষ্ক ঘুমের জন্য প্রস্তুত হয়। এটি মনকে শান্ত করে দুশ্চিন্তা থেকে দূরে রাখে, ফলে গভীর ও নিরবচ্ছিন্ন ঘুম নিশ্চিত হয়।
গান হলো আত্মার খোরাক। প্রতিদিন অন্তত ১৫-২০ মিনিট নিজের পছন্দের গান শোনার অভ্যাস মানসিক স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে পারে। তবে অস্থিরতা কমাতে উচ্চশব্দের গানের চেয়ে ধীরলয়ের ক্ল্যাসিকাল মিউজিক বেছে নেওয়া বেশি কার্যকর। তাই মন খারাপ বা অস্থির সময়ে নিজেকে গুটিয়ে না রেখে সুরের ভেলায় ভাসিয়ে দিন; দেখবেন জীবনটা অনেক বেশি সহজ ও ছন্দময় মনে হচ্ছে।
তথ্যসূত্র: হেলথলাইন, সাইকোলজি টুডে