চরচা ডেস্ক

সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গ্রেপ্তার সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। বুধবার সংগঠনটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়েছে।
সংগঠনটি বলেছে, মতপ্রকাশের কারণে ব্যক্তিদের নিশানা করতে সন্ত্রাসবিরোধী আইন ব্যবহার করা উদ্বেগজনক প্রবণতার অংশ।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের কর্মকর্তা রিহাব মাহামুর বলেন, ‘‘নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে সমর্থন দেওয়ার অভিযোগে যেভাবে আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা মতপ্রকাশ ও সংগঠনের স্বাধীনতার জন্য গুরুতর হুমকি।’’
রিহাব মাহামুর বলেছেন, ‘‘মানুষের মতামত প্রকাশকে স্তব্ধ করতে সন্ত্রাসবিরোধী আইন অপব্যবহার না করে নির্বাচনের আগে অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত মতপ্রকাশের পরিবেশ নিশ্চিত করা। আন্তর্জাতিক নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সনদের আওতায় বাংলাদেশের যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তা মেনে আনিস আলমগীরকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।’’
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আদালতে আনিস আলমগীর নিজেকে একজন সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দিয়ে বলেছেন, তিনি দুই দশক ধরে ক্ষমতাসীনদের প্রশ্ন করে আসছেন। তার কাজ কারও কাছে মাথা নত করা নয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে আওয়ামী লীগের পক্ষে প্রচারের অভিযোগে সাংবাদিক আনিস আলমগীরসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়। পরে ঢাকার একটি মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চলতি বছরের মে মাসে অন্তর্বর্তী সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইন সংশোধন করে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে। সংশোধনের পর থেকে এই আইন ব্যবহার করে আওয়ামী লীগের সমর্থক হিসেবে চিহ্নিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ তালিকায় সাংবাদিক মনজুরুল আলম পান্নার নামও রয়েছে। আন্তর্জাতিক আইনে মতপ্রকাশ ও সংগঠনের স্বাধীনতা দমনে সন্ত্রাসবিরোধী আইন ব্যবহারকে লঙ্ঘন হিসেবে দেখা হয়।
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। অ্যামনেস্টির মতে, রাজনৈতিক পরিচয় যাই হোক না কেন, সবার মানবাধিকার সুরক্ষিত রাখতে এবং অধিকারসম্মত সমাজের জন্য প্রয়োজনীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গ্রেপ্তার সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। বুধবার সংগঠনটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়েছে।
সংগঠনটি বলেছে, মতপ্রকাশের কারণে ব্যক্তিদের নিশানা করতে সন্ত্রাসবিরোধী আইন ব্যবহার করা উদ্বেগজনক প্রবণতার অংশ।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের কর্মকর্তা রিহাব মাহামুর বলেন, ‘‘নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে সমর্থন দেওয়ার অভিযোগে যেভাবে আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা মতপ্রকাশ ও সংগঠনের স্বাধীনতার জন্য গুরুতর হুমকি।’’
রিহাব মাহামুর বলেছেন, ‘‘মানুষের মতামত প্রকাশকে স্তব্ধ করতে সন্ত্রাসবিরোধী আইন অপব্যবহার না করে নির্বাচনের আগে অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত মতপ্রকাশের পরিবেশ নিশ্চিত করা। আন্তর্জাতিক নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সনদের আওতায় বাংলাদেশের যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তা মেনে আনিস আলমগীরকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।’’
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আদালতে আনিস আলমগীর নিজেকে একজন সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দিয়ে বলেছেন, তিনি দুই দশক ধরে ক্ষমতাসীনদের প্রশ্ন করে আসছেন। তার কাজ কারও কাছে মাথা নত করা নয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে আওয়ামী লীগের পক্ষে প্রচারের অভিযোগে সাংবাদিক আনিস আলমগীরসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়। পরে ঢাকার একটি মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চলতি বছরের মে মাসে অন্তর্বর্তী সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইন সংশোধন করে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে। সংশোধনের পর থেকে এই আইন ব্যবহার করে আওয়ামী লীগের সমর্থক হিসেবে চিহ্নিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ তালিকায় সাংবাদিক মনজুরুল আলম পান্নার নামও রয়েছে। আন্তর্জাতিক আইনে মতপ্রকাশ ও সংগঠনের স্বাধীনতা দমনে সন্ত্রাসবিরোধী আইন ব্যবহারকে লঙ্ঘন হিসেবে দেখা হয়।
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। অ্যামনেস্টির মতে, রাজনৈতিক পরিচয় যাই হোক না কেন, সবার মানবাধিকার সুরক্ষিত রাখতে এবং অধিকারসম্মত সমাজের জন্য প্রয়োজনীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।