চরচা প্রতিবেদক

স্বামীর সূত্রেই রাজনীতিতে পা রেখেছিলেন খালেদা জিয়া। স্বামীর মৃত্যুর পর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) হাল ধরতেই সক্রিয় রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয়েছিল তার। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে একদিকে যেমন রাজপথের আন্দোলন করেছেন, তেমনি প্রধানমন্ত্রী হয়ে তাকে সামলাতে হয়েছে দেশ চালানোর কাজ।
খালেদা জিয়ার পারিবারিক নাম খালেদা খানম। তার ডাকনাম ছিল পুতুল। তার জন্ম অবিভক্ত ভারতের জলপাইগুড়িতে, ১৯৪৬ সালে। তার আদিবাড়ি ফেনীর ফুলগাজী উপজেলায়। খালেদা জিয়ার বাবার নাম ইস্কান্দর মজুমদার। তার মা বেগম তৈয়বা মজুমদার। তিন বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে খালেদা জিয়া ছিলেন তৃতীয়।
শিক্ষার্থী থাকাকালীন তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন জিয়াউর রহমানের সঙ্গে বিয়ে হয় পুতুলের। মুক্তিযুদ্ধের উত্তাল সময় পার হয়ে আসে স্বাধীনতা। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে নানা ঘটনার পরিক্রমায় রাষ্ট্রক্ষমতায় আসেন জিয়াউর রহমান, হয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি। এরপর ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বিএনপি। এর কয়েক বছর পরই ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে কিছু বিপথগামী সেনাসদস্যের হাতে নিহত হন জিয়াউর রহমান।
স্বামী নিহত হওয়ার আগপর্যন্ত সংসার–সন্তান নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হতো খালেদা জিয়াকে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন ১৯৮২ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে। ১৯৮৩ সালের মার্চে তিনি বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হন। তিনি প্রথম পার্টির চেয়ারপারসন নির্বাচিত হন ১৯৮৪ সালের ১০ মে। খালেদা জিয়া বিএনপিকে নিয়ে ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ৭ দলীয় ঐক্যজোটের মাধ্যমে এরশাদ বিরোধী আন্দোলন শুরু করেছিলেন।
১৯৯১ সালের সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়ে তার দল ক্ষমতায় আসে। ওই বছরই সংসদীয় সরকার পদ্ধতি প্রবর্তন হওয়ার পর বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হন খালেদা জিয়া। এরপর ১৯৯৬ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের পর এক মাসের জন্য ৬ষ্ঠ সংসদের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি। সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হেরে যায় বিএনপি। ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি জয়ী হয়ে সরকার গঠন করলে আবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়ার দুই ছেলে। বড় ছেলে তারেক রহমান ১৭ বছরের নির্বাসন শেষে দেশে ফিরেছেন। খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়াতে মারা যান। বড় ছেলে দেশে ফিরলেও সুস্থ মায়ের সঙ্গে দেখা হয়নি তার।

স্বামীর সূত্রেই রাজনীতিতে পা রেখেছিলেন খালেদা জিয়া। স্বামীর মৃত্যুর পর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) হাল ধরতেই সক্রিয় রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয়েছিল তার। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে একদিকে যেমন রাজপথের আন্দোলন করেছেন, তেমনি প্রধানমন্ত্রী হয়ে তাকে সামলাতে হয়েছে দেশ চালানোর কাজ।
খালেদা জিয়ার পারিবারিক নাম খালেদা খানম। তার ডাকনাম ছিল পুতুল। তার জন্ম অবিভক্ত ভারতের জলপাইগুড়িতে, ১৯৪৬ সালে। তার আদিবাড়ি ফেনীর ফুলগাজী উপজেলায়। খালেদা জিয়ার বাবার নাম ইস্কান্দর মজুমদার। তার মা বেগম তৈয়বা মজুমদার। তিন বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে খালেদা জিয়া ছিলেন তৃতীয়।
শিক্ষার্থী থাকাকালীন তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন জিয়াউর রহমানের সঙ্গে বিয়ে হয় পুতুলের। মুক্তিযুদ্ধের উত্তাল সময় পার হয়ে আসে স্বাধীনতা। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে নানা ঘটনার পরিক্রমায় রাষ্ট্রক্ষমতায় আসেন জিয়াউর রহমান, হয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি। এরপর ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বিএনপি। এর কয়েক বছর পরই ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে কিছু বিপথগামী সেনাসদস্যের হাতে নিহত হন জিয়াউর রহমান।
স্বামী নিহত হওয়ার আগপর্যন্ত সংসার–সন্তান নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হতো খালেদা জিয়াকে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন ১৯৮২ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে। ১৯৮৩ সালের মার্চে তিনি বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হন। তিনি প্রথম পার্টির চেয়ারপারসন নির্বাচিত হন ১৯৮৪ সালের ১০ মে। খালেদা জিয়া বিএনপিকে নিয়ে ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ৭ দলীয় ঐক্যজোটের মাধ্যমে এরশাদ বিরোধী আন্দোলন শুরু করেছিলেন।
১৯৯১ সালের সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়ে তার দল ক্ষমতায় আসে। ওই বছরই সংসদীয় সরকার পদ্ধতি প্রবর্তন হওয়ার পর বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হন খালেদা জিয়া। এরপর ১৯৯৬ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের পর এক মাসের জন্য ৬ষ্ঠ সংসদের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি। সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হেরে যায় বিএনপি। ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি জয়ী হয়ে সরকার গঠন করলে আবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়ার দুই ছেলে। বড় ছেলে তারেক রহমান ১৭ বছরের নির্বাসন শেষে দেশে ফিরেছেন। খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়াতে মারা যান। বড় ছেলে দেশে ফিরলেও সুস্থ মায়ের সঙ্গে দেখা হয়নি তার।