চবিতে সহ-উপাচার্যকে ‘টিক্কা খান’ বলে ছাত্রদলের স্লোগান

চবিতে সহ-উপাচার্যকে ‘টিক্কা খান’ বলে ছাত্রদলের স্লোগান
চবিতে বিজয় দিবস প্রোগ্রামে ছাত্রদলের হট্টগোল। ছবি: চরচা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খানের উপস্থিতিকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল অনুষ্ঠান বয়কট করেছে। তারা সেখানে হট্টগোলও করেছেন। এ সময় উপস্থিত শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মী ও শিক্ষকরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন।

আজ মঙ্গলবার সকালে এই ঘটনা ঘটে। এ সময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ‘দালাল ভুয়া ভুয়া’,‘জাকাত লাগলে জাকাত নে, দায়িত্ব ছাইড়া দে’, ‘রাজাকারের ঠিকানা, ক্যাম্পাসে হবে না’, ‘২৫ শামীম খান, ৭১ টিক্কা খান’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।

এর আগে, সকাল ১০টায় স্বাধীনতা স্মারক ভাস্কর্যে শহীদদের প্রতি পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে বিজয় দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। পরে স্মারক ভাস্কর্য চত্বর থেকে একটি বিজয় মিছিল বের হয়ে অগ্রণী ব্যাংক হয়ে কলা ও মানববিদ্যা অনুষদ (পুরা) প্রদক্ষিণ করে চবি জারুলতলায় গিয়ে শেষ হয়।প্রোগ্রামে অতিথিদের বক্তব্য চলাকালে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা অনুষ্ঠান বয়কট করে।

এ বিষয়ে চাকসুর জিএস সাঈদ বিন হাবিব বলেন, “বিভিন্ন গ্রুপ ষড়যন্ত্র করছে। আমরা ভেবেছিলাম সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ একটি ক্যাম্পাস হবে। কিন্তু একটি পক্ষ নির্বাচিত চাকসু প্রতিনিধিদের নিয়ে কটূক্তি করছে। আমরা প্রতিকার চাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ স্থিতিশীল রাখতে সবাইকে সংযত হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি এবং প্রশাসনের কাছে যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি। এরকম পরিস্থিতি যদি চলতে থাকে আমরা শিক্ষার্থীদের নিয়ে চাকসুর প্রতিনিধিরা তা প্রতিহত করব।”

চাকসুর এজিএস ও শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আয়ুবুর রহমান তৌফিক বলেন, “দেশ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী হিসেবে আমি এবং বিভিন্ন হল সংসদের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা এই প্রোগ্রাম বয়কট করেছি। মুক্তিযুদ্ধ, ২৪-এর গণঅভ্যুত্থান ও ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি সম্মান বজায় রাখাই ছিল আমাদের অঙ্গীকার। কিন্তু উপ-উপাচার্যের বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা করা হয়েছে। নৈতিকভাবে তার এই পদে থাকার কোনো অধিকার নেই। এই অনুষ্ঠানের কারণে আমাদের অর্জিত বিজয়কেই অবমাননা করা হচ্ছে বলে মনে হয়েছে।”

সম্পর্কিত