চরচা ডেস্ক

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার তিনটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করেছে। তবে এতে বিশেষ কোনো নতুন তথ্য বা নাটকীয় অবস্থান প্রকাশ পায়নি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাইব্যুনালের রায় ঘোষণার (১১ নভেম্বর রায়ের দিন ঘোষণা হবে) আগে শেখ হাসিনা কিছু নির্দিষ্ট বার্তা দিতে চেয়েছেন।
আজ ২৯ অক্টোবর বুধবার লন্ডনভিত্তিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও অনলাইন সংবাদমাধ্যম ইন্ডিপেনডেন্ট এবং ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি একযোগে শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে সংবাদ প্রকাশ করে। তবে তিনি ই–মেইলে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার মাধ্যমে এই সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। রয়টার্সের খবরের শিরোনাম করা হয়েছে–আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বাদ পড়ায় ভোটার বর্জনের হুঁশিয়ারি শেখ হাসিনার। এএফপির শিরোনাম–পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী বললেন, বাংলাদেশে নির্বাচন বিভাজনকে আরও গভীর করতে পারে। অন্যদিকে ইন্ডিপেনডেন্ট শিরোনাম করেছে–আন্দোলনকারীদের মৃত্যুর জন্য ক্ষমা চাইতে অস্বীকার করেছেন বাংলাদেশের বিতাড়িত নেতা হাসিনা।
তবে হঠাৎ একই দিনে তিনটি সাক্ষাৎকার প্রকাশ হওয়া নিয়ে অনেকে নানাভাবে বিষয়টি বোঝার চেষ্টা করছেন। ইন্ডিপেনডেন্ট লিখেছে, হাসিনার দাবি, সহিংসতা সৃষ্টি হয়েছিল মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্ত থেকে, সরকারের নির্দেশ থেকে নয়। এএফপিকে বলেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে নিরাপত্তা বাহিনীকে ভিড়ের ওপর গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছি—এই অভিযোগটি মিথ্যা,” যদিও তিনি স্বীকার করেন, “কমান্ড চেইনের মধ্যে নিশ্চয় কিছু ভুল হয়েছিল।” এ থেকে স্পষ্ট– হাসিনা জুলাই–আগস্টের হত্যাকাণ্ড থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, তিনি কখনো বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী শক্তি ব্যবহারের অনুমোদন দেননি এবং ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, মাঠপর্যায়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তারাই স্বাধীনভাবে সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
শেখ হাসিনা এএফপিকে বলেন, “আওয়ামী লীগসহ সব প্রধান রাজনৈতিক দলের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে না।” এতে করে, তিনি কার্যত তার সমর্থকদের নির্বাচনে অংশ না নিতে আহ্বান জানিয়েছেন—যা বোঝায় যে, আওয়ামী লীগ, দুর্বল ও নেতৃত্বহীন অবস্থায় থেকেও বর্তমান রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে বৈধতা দিতে প্রস্তুত নয়। অথচ তার সময়কালের তিনটি নির্বাচন নিয়ে কোনো পাল্টা প্রশ্ন তাকে করা হয়নি।
রয়টার্স লিখেছে, হাসিনা বলেন–এমন কোনো সরকারের অধীনে তিনি বাংলাদেশে ফিরবেন না, যা নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত হবে কিন্তু যেখানে তার দল বাদ থাকবে। হাসিনা স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, তিনি আপাতত ভারতে থাকতেই চান। এতে তিনি দাবি করছেন, তার এখনো রাজনৈতিক ভূমিকা রয়েছে।
তিনটি সাক্ষাৎকারে সম্ভবত সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়—প্রথমবারের মতো তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ হয়তো তার পরিবারের নেতৃত্বের বাইরে গড়া সম্ভব। যদিও তিনি এমন পরিবর্তনের ব্যাপারে সরাসরি কিছু বলেননি। আবার একে সম্পূর্ণভাবে অস্বীকারও করেননি। এতদিন পারিবারিক নেতৃত্বের প্রতীকে সংজ্ঞায়িত থাকা একটি দলকে ঘিরে একে বলা যায় এক সূক্ষ্ম ও লক্ষণীয় পরিবর্তন।

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার তিনটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করেছে। তবে এতে বিশেষ কোনো নতুন তথ্য বা নাটকীয় অবস্থান প্রকাশ পায়নি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাইব্যুনালের রায় ঘোষণার (১১ নভেম্বর রায়ের দিন ঘোষণা হবে) আগে শেখ হাসিনা কিছু নির্দিষ্ট বার্তা দিতে চেয়েছেন।
আজ ২৯ অক্টোবর বুধবার লন্ডনভিত্তিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও অনলাইন সংবাদমাধ্যম ইন্ডিপেনডেন্ট এবং ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি একযোগে শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে সংবাদ প্রকাশ করে। তবে তিনি ই–মেইলে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার মাধ্যমে এই সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। রয়টার্সের খবরের শিরোনাম করা হয়েছে–আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বাদ পড়ায় ভোটার বর্জনের হুঁশিয়ারি শেখ হাসিনার। এএফপির শিরোনাম–পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী বললেন, বাংলাদেশে নির্বাচন বিভাজনকে আরও গভীর করতে পারে। অন্যদিকে ইন্ডিপেনডেন্ট শিরোনাম করেছে–আন্দোলনকারীদের মৃত্যুর জন্য ক্ষমা চাইতে অস্বীকার করেছেন বাংলাদেশের বিতাড়িত নেতা হাসিনা।
তবে হঠাৎ একই দিনে তিনটি সাক্ষাৎকার প্রকাশ হওয়া নিয়ে অনেকে নানাভাবে বিষয়টি বোঝার চেষ্টা করছেন। ইন্ডিপেনডেন্ট লিখেছে, হাসিনার দাবি, সহিংসতা সৃষ্টি হয়েছিল মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্ত থেকে, সরকারের নির্দেশ থেকে নয়। এএফপিকে বলেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে নিরাপত্তা বাহিনীকে ভিড়ের ওপর গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছি—এই অভিযোগটি মিথ্যা,” যদিও তিনি স্বীকার করেন, “কমান্ড চেইনের মধ্যে নিশ্চয় কিছু ভুল হয়েছিল।” এ থেকে স্পষ্ট– হাসিনা জুলাই–আগস্টের হত্যাকাণ্ড থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, তিনি কখনো বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী শক্তি ব্যবহারের অনুমোদন দেননি এবং ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, মাঠপর্যায়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তারাই স্বাধীনভাবে সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
শেখ হাসিনা এএফপিকে বলেন, “আওয়ামী লীগসহ সব প্রধান রাজনৈতিক দলের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে না।” এতে করে, তিনি কার্যত তার সমর্থকদের নির্বাচনে অংশ না নিতে আহ্বান জানিয়েছেন—যা বোঝায় যে, আওয়ামী লীগ, দুর্বল ও নেতৃত্বহীন অবস্থায় থেকেও বর্তমান রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে বৈধতা দিতে প্রস্তুত নয়। অথচ তার সময়কালের তিনটি নির্বাচন নিয়ে কোনো পাল্টা প্রশ্ন তাকে করা হয়নি।
রয়টার্স লিখেছে, হাসিনা বলেন–এমন কোনো সরকারের অধীনে তিনি বাংলাদেশে ফিরবেন না, যা নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত হবে কিন্তু যেখানে তার দল বাদ থাকবে। হাসিনা স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, তিনি আপাতত ভারতে থাকতেই চান। এতে তিনি দাবি করছেন, তার এখনো রাজনৈতিক ভূমিকা রয়েছে।
তিনটি সাক্ষাৎকারে সম্ভবত সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়—প্রথমবারের মতো তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ হয়তো তার পরিবারের নেতৃত্বের বাইরে গড়া সম্ভব। যদিও তিনি এমন পরিবর্তনের ব্যাপারে সরাসরি কিছু বলেননি। আবার একে সম্পূর্ণভাবে অস্বীকারও করেননি। এতদিন পারিবারিক নেতৃত্বের প্রতীকে সংজ্ঞায়িত থাকা একটি দলকে ঘিরে একে বলা যায় এক সূক্ষ্ম ও লক্ষণীয় পরিবর্তন।

প্রতারণার শিকার হয়ে একজন শাহজাহানপুর থানায় মামলা করলে সাইবার পুলিশ সেন্টারের ‘সাইবার ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট টিম’ তদন্ত শুরু করে। প্রাথমিক তদন্তে চক্রটির সদস্য লক্ষ্মীপুর জেলার বাসিন্দা মো. সোহাগ হোসেন কে শনাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে তাকে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়।