আসন্ন ভোটে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র ২৮ হাজারের বেশি

চরচা প্রতিবেদক
চরচা প্রতিবেদক
আসন্ন ভোটে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র ২৮ হাজারের বেশি
চরচা ফাইল ছবি

আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সারা দেশে ২৮ হাজার ৬৬৩টি ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ বলে শনাক্ত করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এর মধ্যে আট হাজার ২২৬টি কেন্দ্রকে ‘অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ’ ধরা হয়েছে।

ভোটের তফসিল ঘোষণার পরপরই নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ২২টি বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন এলাকায় চেকপোস্ট স্থাপন, প্রয়োজনে সীমান্ত ও সি-রুট সিল করা, দেশব্যাপী রেড, ইয়েলো ও গ্রিন-এই তিনটি জোনে ভাগ করে নিরাপত্তা পরিকল্পনা বাস্তবায়নসহ একাধিক কৌশল।

গত ২০ অক্টোবর ইসি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও প্রস্তুতিমূলক মতবিনিময় সভায় সেনা, নৌ, বিমান বাহিনীর পাশাপাশি অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় আলোচনার পর গতকাল রোববার ২২ দফা সিদ্ধান্ত অনুমোদন করে কমিশন।

ওই বৈঠকে বলা হয়, নির্বাচন সংক্রান্ত আইনশৃঙ্খলা ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বাহিনীগুলোর মতামত, সুপারিশ ও প্রস্তাব লিখিতভাবে কমিশনে জমা দিতে হবে।

জুলাই সনদ অনুযায়ী গণভোট হলে প্রস্তুতি ও পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনার বিষয়টিও বিবেচনায় রাখতে হবে।

নারী ভোটারদের বিরুদ্ধে সাইবার হয়রানি প্রতিরোধ, সংখ্যালঘু ও জঙ্গি সংশ্লিষ্ট ইস্যু মোকাবিলা, ভয়েস ক্লোন করে চরিত্র হননের প্রচেষ্টা রোধ, মিথ্যা তথ্যের পরিবর্তে দ্রুত সঠিক তথ্য প্রচার, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান, চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার এবং বৈধ অস্ত্র সাময়িকভাবে জমা নেওয়ার মতো উদ্যোগও নেওয়া হবে।

নির্বাচনকে ঘিরে সম্ভাব্য নাশকতা প্রতিরোধ, তফসিল ঘোষণার পর বিদেশি নাগরিকদের তালিকা প্রস্তুত করে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত, নির্বাচনী অর্থব্যবস্থায় কালো টাকার প্রভাব ঠেকাতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, রিটার্নিং অফিসে সংরক্ষিত পোস্টাল ভোটের নিরাপত্তা বৃদ্ধি, দীর্ঘদিন একই জায়গায় থাকা বাহিনীর সদস্যদের বদলি, এবং অধিক ঝুঁকিপূর্ণ, ঝুঁকিপূর্ণ ও সাধারণ ভোটকেন্দ্রের তালিকা যথাসময়ে কমিশনে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া নির্বাচন অফিসগুলোর নিরাপত্তা জোরদারেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেনের তৈরি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বিভিন্ন বাহিনীর পরামর্শের ভিত্তিতে বিজিবি সীমান্তের প্রতিটি বর্ডার আউটপোস্টে (বিওপি) অন্তত ২০ জন সদস্য মোতায়েন রাখবে, আর কক্সবাজার অঞ্চলের বিওপিগুলোতে থাকবে ২৫ জন করে সদস্য।

সম্পর্কিত