চরচা প্রতিবেদক

বাংলাদেশে বজ্রপাতজনিত মৃত্যু ও ক্ষয়ক্ষতি কমাতে কেবল বৈজ্ঞানিক পূর্বাভাসই যথেষ্ট নয়, বরং স্থানীয় জনপদ বা কমিউনিটিকে সরাসরি সম্পৃক্ত করে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা গড়ে তোলা জরুরি। রোববার রাজধানীর গুলশানে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর (বিএমডি) আয়োজিত এক গবেষণা ফলাফল উপস্থাপন অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞরা এই অভিমত ব্যক্ত করেন।
‘কমিউনিটির সাথে বিজ্ঞানের সেতুবন্ধন: বাংলাদেশে একটি কমিউনিটি-ভিত্তিক বজ্রপাতের পূর্ব সতর্কীকরণ ব্যবস্থা তৈরি করা’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আশরাফ উদ্দিন। সভাপতিত্ব করেন বিএমডির পরিচালক মো. মোমেনুল ইসলাম।
গবেষণায় দেখা গেছে, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে দেশে বজ্রপাতে প্রায় দুই হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বিশেষ করে সুনামগঞ্জসহ হাওরাঞ্চলের কৃষক ও জেলেরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মুখে রয়েছেন। গবেষণার তথ্যমতে, প্রায় ৭৭ শতাংশ উত্তরদাতা সতর্কবার্তার সময়সীমা সম্পর্কে জানেন না এবং ৯৬ শতাংশ মানুষ কখনো বজ্রপাত-সংক্রান্ত মহড়ায় অংশ নেননি। এর ফলে নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা আরও বেশি অনিরাপদ হয়ে পড়ছেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সচিব মো. আশরাফ উদ্দিন জানান, বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ৩০০ জন মানুষ বজ্রপাতে প্রাণ হারান। দীর্ঘদিন এটি অবহেলিত থাকলেও এখন বৈজ্ঞানিক পূর্বাভাসকে জীবনরক্ষাকারী পদক্ষেপে রূপান্তর করতে আন্তঃসংস্থাগত সমন্বয় জরুরি। বিএমডির পরিচালক মো. মোমেনুল ইসলাম জানান, পূর্বাভাস যেন সাধারণ মানুষের কাছে সহজবোধ্য হয়, সেজন্য প্রযুক্তি ও অংশীদারিত্বের উন্নয়নে তারা কাজ করছেন।
প্যানেল আলোচনায় উঠে আসে, বজ্রপাতের পূর্বাভাস দেওয়ার সময় খুব কম (এক ঘণ্টার কম) হওয়ায় এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে শক্তিশালী যোগাযোগ মাধ্যম না থাকায় সাধারণ মানুষ দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারেন না। এছাড়া আশ্রয়কেন্দ্রের অভাব ও অর্থনৈতিক কারণে কৃষক-জেলেরা ঝড়ের মধ্যেও কাজ চালিয়ে যান।
বিশেষজ্ঞরা কেবল মোবাইল অ্যাপ নয় বরং স্থানীয় লাউডস্পিকার, সাইরেন, রেডিও এবং স্কুলভিত্তিক সতর্কতা ব্যবস্থা চালুর ওপর গুরুত্ব দেন। ২০১৬ সালে বজ্রপাতকে জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা করা হলেও এর প্রস্তুতিতে এখনো বড় ঘাটতি রয়েছে। এই ঘাটতি মেটাতে বৈজ্ঞানিক তথ্যের সাথে স্থানীয় জ্ঞানের সমন্বয় ঘটিয়ে ‘কমিউনিটি-ভিত্তিক আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা’ গড়ে তোলার জোরালো আহ্বান জানানো হয়।

বাংলাদেশে বজ্রপাতজনিত মৃত্যু ও ক্ষয়ক্ষতি কমাতে কেবল বৈজ্ঞানিক পূর্বাভাসই যথেষ্ট নয়, বরং স্থানীয় জনপদ বা কমিউনিটিকে সরাসরি সম্পৃক্ত করে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা গড়ে তোলা জরুরি। রোববার রাজধানীর গুলশানে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর (বিএমডি) আয়োজিত এক গবেষণা ফলাফল উপস্থাপন অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞরা এই অভিমত ব্যক্ত করেন।
‘কমিউনিটির সাথে বিজ্ঞানের সেতুবন্ধন: বাংলাদেশে একটি কমিউনিটি-ভিত্তিক বজ্রপাতের পূর্ব সতর্কীকরণ ব্যবস্থা তৈরি করা’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আশরাফ উদ্দিন। সভাপতিত্ব করেন বিএমডির পরিচালক মো. মোমেনুল ইসলাম।
গবেষণায় দেখা গেছে, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে দেশে বজ্রপাতে প্রায় দুই হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বিশেষ করে সুনামগঞ্জসহ হাওরাঞ্চলের কৃষক ও জেলেরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মুখে রয়েছেন। গবেষণার তথ্যমতে, প্রায় ৭৭ শতাংশ উত্তরদাতা সতর্কবার্তার সময়সীমা সম্পর্কে জানেন না এবং ৯৬ শতাংশ মানুষ কখনো বজ্রপাত-সংক্রান্ত মহড়ায় অংশ নেননি। এর ফলে নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা আরও বেশি অনিরাপদ হয়ে পড়ছেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সচিব মো. আশরাফ উদ্দিন জানান, বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ৩০০ জন মানুষ বজ্রপাতে প্রাণ হারান। দীর্ঘদিন এটি অবহেলিত থাকলেও এখন বৈজ্ঞানিক পূর্বাভাসকে জীবনরক্ষাকারী পদক্ষেপে রূপান্তর করতে আন্তঃসংস্থাগত সমন্বয় জরুরি। বিএমডির পরিচালক মো. মোমেনুল ইসলাম জানান, পূর্বাভাস যেন সাধারণ মানুষের কাছে সহজবোধ্য হয়, সেজন্য প্রযুক্তি ও অংশীদারিত্বের উন্নয়নে তারা কাজ করছেন।
প্যানেল আলোচনায় উঠে আসে, বজ্রপাতের পূর্বাভাস দেওয়ার সময় খুব কম (এক ঘণ্টার কম) হওয়ায় এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে শক্তিশালী যোগাযোগ মাধ্যম না থাকায় সাধারণ মানুষ দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারেন না। এছাড়া আশ্রয়কেন্দ্রের অভাব ও অর্থনৈতিক কারণে কৃষক-জেলেরা ঝড়ের মধ্যেও কাজ চালিয়ে যান।
বিশেষজ্ঞরা কেবল মোবাইল অ্যাপ নয় বরং স্থানীয় লাউডস্পিকার, সাইরেন, রেডিও এবং স্কুলভিত্তিক সতর্কতা ব্যবস্থা চালুর ওপর গুরুত্ব দেন। ২০১৬ সালে বজ্রপাতকে জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা করা হলেও এর প্রস্তুতিতে এখনো বড় ঘাটতি রয়েছে। এই ঘাটতি মেটাতে বৈজ্ঞানিক তথ্যের সাথে স্থানীয় জ্ঞানের সমন্বয় ঘটিয়ে ‘কমিউনিটি-ভিত্তিক আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা’ গড়ে তোলার জোরালো আহ্বান জানানো হয়।

‘কমিউনিটির সাথে বিজ্ঞানের সেতুবন্ধন: বাংলাদেশে একটি কমিউনিটি-ভিত্তিক বজ্রপাতের পূর্ব সতর্কীকরণ ব্যবস্থা তৈরি করা’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আশরাফ উদ্দিন। সভাপতিত্ব করেন বিএমডির পরিচালক মো. মোমেনুল ইসলাম।