সংস্কার কমিশন অনেক কাজ সেরে ফেলেছে, হালকা বোধ করছি: সিইসি

চরচা প্রতিবেদক
চরচা প্রতিবেদক
সংস্কার কমিশন অনেক কাজ সেরে ফেলেছে, হালকা বোধ করছি: সিইসি

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ধারাবাহিক সংলাপ নির্বাচন কমিশনের কাজ অনেকটাই সহজ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন। তিনি বলেন, “রাজনীতিবিদরা অনেকদিন ধরে ঐকমত্য কমিশনে ব্যস্ত আছেন। উনারা বিভিন্ন আলোচনা, বিশেষ করে নির্বাচন নিয়ে, কীভাবে আইন হবে-এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করছেন।...আমাদের সংস্কার কমিশন অনেকটা কাজ সেরে ফেলেছে-এইজন্য আমরা হয়তো একটু হালকা বোধ করছি।”

সোমবার নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সঙ্গে সংলাপের সূচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

সিইসি বলেন, “আমাদের যে ইলেক্টোরাল রিফর্মস কমিশন, তারা আমাদের কাজটা অনেক হালকা করে দিয়েছে। উনারা বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেছেন-মিডিয়ার সঙ্গে করেছেন, সিভিল সোসাইটির সঙ্গে করেছেন, বিভিন্ন পর্যায়ে আলাপ-আলোচনা করে সারা দেশে প্রায় ৬০০ জায়গায় মতবিনিময় করেছেন বলা যায়।”

জুলাই সনদের মাধ্যমে সংবিধান সম্পর্কিত বিষয়গুলো সংস্কারে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের প্রক্রিয়ায় অগ্রগতি হয়েছে। সনদের বৈধতা দিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সঙ্গেই ‘গণভোট’ আয়োজনের পক্ষে মত দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। অধ্যাদেশ জারি করে নির্বাচন কমিশনকেই গণভোট আয়োজনের ক্ষমতা দেওয়ার সুপারিশ করেছে কোনো কোনো রাজনৈতিক দল।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, “রাজনীতিবিদরা ঐকমত্য কমিশনে। তাদের দাওয়াত দিলে একটা দলের পক্ষ কেউ একজন আসবে, কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ যারা-তাদেরকে পাব কি না সেটা নিয়ে আমাদের মধ্যে সন্দেহ ছিল। এজন্য আমরা রাজনীতিবিদদের সঙ্গে আলোচনাটা আরেকটু শেষের দিকে করব বলে ভাবছি।”

গণমাধ্যমের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আজকের সংলাপ শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিকতা নয়। আপনাদের মতামত নিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। মিসইউনফরমেশন, ডিসইনফেমেশন এড্রেস করার জন্য আপনাদের গুরুত্ব অনেক।”

সিইসি বলেন, “বিশেষজ্ঞদের আলোচনা করে প্রবাসীদের জন্য আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ব্যালটের ব্যবস্থা করছি। ভোটের দায়িত্বে যারা থাকেন প্রায় ১০ লাখ লোক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে, সরকারি চাকরিজীবি, হাজতিদের ভোটের আওতায় আনব। আমরা এবার এটা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছি, আইনে আগেও ছিল। আপনাদের সহযোগিতা ছাড়া সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন করতে পারব না, এটা সাফ কথা।”

ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব কেএম আলী নেওয়াজের সঞ্চালনায় সভায় চার নির্বাচন কমিশনার, ইসির কর্মকর্তা ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

সম্পর্কিত