নীতিগত দুর্বলতার শিকার বাংলাদেশে ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা: টিআইবি

চরচা প্রতিবেদক
চরচা প্রতিবেদক
নীতিগত দুর্বলতার শিকার বাংলাদেশে ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা: টিআইবি
টিআইবির লোগো

বাংলাদেশে ইলেকট্রনিক বর্জ্য (ই-বর্জ্য) ব্যবস্থাপনা নীতিগত দুর্বলতা ও প্রায়োগিক অরাজকতার শিকার বলে মনে করছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

আজ মঙ্গলবার টিআইবির ধানমণ্ডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “বাংলাদেশে ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বর্তমানে আইনি ও নীতিগত ঘাটতি এবং প্রায়োগিক অরাজকতায় নিমজ্জিত। আমদানি নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও জবাবদিহিহীন অনিয়মের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ বিষাক্ত ই-বর্জ্য দেশে প্রবেশ করছে। একইসঙ্গে বাসেল কনভেনশন উপেক্ষা করে ই-বর্জ্যের উপাদান বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে, যা পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট তদারকি সংস্থাগুলোর পেশাগত ব্যর্থতা ও দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচায়ক।”

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, দেশে ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি থেকে উৎপন্ন বিষাক্ত ই-বর্জ্যের পরিমাণ আশঙ্কাজনক হারে বাড়লেও এর সঠিক ব্যবস্থাপনায় নীতিনির্ধারণী স্থবিরতা ও সুশাসনের মারাত্মক ঘাটতি রয়েছে। বর্তমানে দেশে উৎপাদিত প্রায় ৯৭ শতাংশ ই-বর্জ্য কোনো ধরনের প্রশাসনিক তদারকি ছাড়াই পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর উপায়ে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে প্রক্রিয়াজাত হচ্ছে। বিপরীতে, মাত্র ৩ শতাংশ ই-বর্জ্য প্রাতিষ্ঠানিক পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণের আওতায় আসছে।

ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, “ভাঙারিওয়ালা ও ই-বর্জ্য পুনঃব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিবেশগত ছাড়পত্র ও নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় নিয়মবহির্ভূত আর্থিক লেনদেন, অবৈধভাবে নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ই-বর্জ্য রপ্তানি এবং নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ই-বর্জ্য আমদানি এসব অনিয়ম অত্যন্ত উদ্বেগজনক।

বিগত সরকারের আমলে নির্বাচন কমিশনের ক্রয়কৃত ইভিএম মেশিনগুলোর সঠিক ব্যবস্থাপনা নির্ধারণ না করায় বড় ধরনের ই-বর্জ্য ঝুঁকি তৈরি হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন ইফতেখারুজ্জামান।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা অধ্যাপক সুমাইয়া খায়ের এবং রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি বিভাগের পরিচালক মুহাম্মদ বদিউজ্জামান।

সম্পর্কিত