চরচা প্রতিবেদক

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া মারা গেছেন। আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টার সময় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদার বলেন, ভোর ৬টায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া মারা যান। তার মাল্টি অর্গান ক্রাইসিস ছিল, তার জন্য বেশ কয়েকদিন ধরেই লাইফ সাপোর্টসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা চলছিল। আজ ভোরে একটি ম্যাসিভ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়, যে কারণে তিনি মারা যান।
বাংলাদেশের প্রথম এবং বিশ্বের দ্বিতীয় মুসলিম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১৯৯১ সালে বাংলাদেশের শাসনভার গ্রহণ করা খালেদা জিয়ার জন্ম ১৯৪৬ সালে। বেড়ে উঠেছেন দিনাজপুরে। জন্ম বর্তমান ভারতের জলপাইগুড়িতে হলেও তাঁর পৈতৃক বাড়ি ফেনী জেলার ফুলগাজীতে। তবে তাঁর শৈশব ও কৈশোর কেটেছে দিনাজপুরের মুদিপাড়া গ্রামে। সেখানেই পড়াশোনা।
এস্কান্দার মজুমদার ও তৈয়বা মজুমদারের মেয়ে খালেদা জিয়া তিন বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে তৃতীয়। পারিবারিক নাম খালেদা খানম পুতুল। তবে তৎকালীন ক্যাপ্টেন জিয়াউর রহমানের সঙ্গে বিয়ের পর তাঁর পরিচয় হয় খালেদা জিয়া। এ নামই তার একমাত্র পরিচয় হয়ে ওঠে। প্রায় চার দশকের রাজনীতিক জীবনে তিনি হয়ে ওঠেন দেশের অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল বিএনপির আইকন। আজ সেই আইকনকে হারাল দলটি।
খালেদা জিয়ার দুই ছেলে। বড় ছেলে তারেক রহমান বর্তমানে দেশেই রয়েছেন, ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো মারা গেছেন।
১৯৮১ সালের ৩০ মে জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পরই বিএনপির রাজনীতিতে আসেন খালেদা জিয়া। ১৯৮২ সালের ২ জানুয়ারি তিনি বিএনপির প্রাথমিক সদস্য হন। ১৯৮৩ সালের মার্চে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারপারসন এবং এর পরের বছর ১২ জানুয়ারি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। একই বছরের ১ মে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দলের চেয়ারপারসন নির্বাচিত হন।
এ পর্যন্ত তিন দফায় প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন খালেদা জিয়া। এরশাদ সরকারের পতনের পর ১৯৯১ সালে হওয়া সাধারণ নির্বাচনের পর বিএনপি সরকার গঠন করলে খালেদা জিয়া প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন। এর পর ১৯৯৬ সালে স্বল্পস্থায়ী সংসদেও তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সর্বশেষ ২০০১ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি।
ওয়ান-ইলেভেনের পর মঈন-ফখরুদ্দীন সরকার ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তাকে কারাবন্দী করে। ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কারাভোগ করেন তিনি। সে সময় উচ্চ আদালতের নির্দেশে তিনি মুক্ত হন। কিন্তু পরে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালে তার সাজা হয়। ওই বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় তাকে নির্বাহী নির্দেশে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হয়। কয়েক মেয়াদে এ মুক্তির মেয়াদও বাড়ানো হয়। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর খালেদা জিয়া পুরোপুরি মুক্তি পান।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া মারা গেছেন। আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টার সময় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদার বলেন, ভোর ৬টায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া মারা যান। তার মাল্টি অর্গান ক্রাইসিস ছিল, তার জন্য বেশ কয়েকদিন ধরেই লাইফ সাপোর্টসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা চলছিল। আজ ভোরে একটি ম্যাসিভ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়, যে কারণে তিনি মারা যান।
বাংলাদেশের প্রথম এবং বিশ্বের দ্বিতীয় মুসলিম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১৯৯১ সালে বাংলাদেশের শাসনভার গ্রহণ করা খালেদা জিয়ার জন্ম ১৯৪৬ সালে। বেড়ে উঠেছেন দিনাজপুরে। জন্ম বর্তমান ভারতের জলপাইগুড়িতে হলেও তাঁর পৈতৃক বাড়ি ফেনী জেলার ফুলগাজীতে। তবে তাঁর শৈশব ও কৈশোর কেটেছে দিনাজপুরের মুদিপাড়া গ্রামে। সেখানেই পড়াশোনা।
এস্কান্দার মজুমদার ও তৈয়বা মজুমদারের মেয়ে খালেদা জিয়া তিন বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে তৃতীয়। পারিবারিক নাম খালেদা খানম পুতুল। তবে তৎকালীন ক্যাপ্টেন জিয়াউর রহমানের সঙ্গে বিয়ের পর তাঁর পরিচয় হয় খালেদা জিয়া। এ নামই তার একমাত্র পরিচয় হয়ে ওঠে। প্রায় চার দশকের রাজনীতিক জীবনে তিনি হয়ে ওঠেন দেশের অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল বিএনপির আইকন। আজ সেই আইকনকে হারাল দলটি।
খালেদা জিয়ার দুই ছেলে। বড় ছেলে তারেক রহমান বর্তমানে দেশেই রয়েছেন, ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো মারা গেছেন।
১৯৮১ সালের ৩০ মে জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পরই বিএনপির রাজনীতিতে আসেন খালেদা জিয়া। ১৯৮২ সালের ২ জানুয়ারি তিনি বিএনপির প্রাথমিক সদস্য হন। ১৯৮৩ সালের মার্চে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারপারসন এবং এর পরের বছর ১২ জানুয়ারি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। একই বছরের ১ মে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দলের চেয়ারপারসন নির্বাচিত হন।
এ পর্যন্ত তিন দফায় প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন খালেদা জিয়া। এরশাদ সরকারের পতনের পর ১৯৯১ সালে হওয়া সাধারণ নির্বাচনের পর বিএনপি সরকার গঠন করলে খালেদা জিয়া প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন। এর পর ১৯৯৬ সালে স্বল্পস্থায়ী সংসদেও তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সর্বশেষ ২০০১ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি।
ওয়ান-ইলেভেনের পর মঈন-ফখরুদ্দীন সরকার ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তাকে কারাবন্দী করে। ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কারাভোগ করেন তিনি। সে সময় উচ্চ আদালতের নির্দেশে তিনি মুক্ত হন। কিন্তু পরে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালে তার সাজা হয়। ওই বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় তাকে নির্বাহী নির্দেশে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হয়। কয়েক মেয়াদে এ মুক্তির মেয়াদও বাড়ানো হয়। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর খালেদা জিয়া পুরোপুরি মুক্তি পান।

ফেসবুক পোস্টে তারেক লেখেন, ‘‘দেশের জন্য তিনি হারিয়েছেন স্বামী, হারিয়েছেন সন্তান। তাই এই দেশ, এই দেশের মানুষই ছিল তার পরিবার, তার সত্তা, তার অস্তিত্ব। তিনি রেখে গেছেন জনসেবা, ত্যাগ ও সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় ইতিহাস, যা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পরিক্রমায় চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।”