জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে জনগণের রায় নিতে সংসদ নির্বাচনের দিনই গণভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

শফিকুর রহমান বলেন, “এটি কোনো দলের আন্দোলন নয়, এটি জনতার আন্দোলন। বিজয় হবে জনগণের।”জনগণের দাবিকে উপেক্ষা করলে সামনে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা আসবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

“সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্যে কেউ কেউ জুলাই জাতীয় সনদের বাইরে কোনো কোনো বিষয়ে সরকারি সিদ্ধান্ত ঘোষণার প্রসঙ্গে যে সব বক্তব্য দিচ্ছেন তা বিভ্রান্তিকর এবং ঐকমত্যের ভিত্তিতে গৃহীত সিদ্ধান্ত আগ্রাহ্য করার সামিল।”

১৩ নভেম্বর নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ লকডাউন বা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করলে কঠোর অবস্থান নেওয়া হবে বলেও সতর্ক করেন তিনি।

যেকোনো সিদ্ধান্ত পাসের ব্যাপারে ফখরুল বলেন, “যেটাতে রাজি হব, সেটা বাস্তবায়িত হবে। যেটাতে রাজি হব না, সেটা পার্লামেন্টে যাবে। সেখানে তর্ক-বিতর্ক হবে, এরপর তা পাস হবে।”

নাহিদ ইসলাম বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ পরিবর্তনের জন্য মুখিয়ে আছে। সিস্টেমে পরিবর্তন না এলে ব্যর্থ হবে গনঅভ্যুত্থান, ঐক্যমত কমিশন, নির্বাচনসহ জনমানুষের প্রত্যাশা।”

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া ও গণভোটের আয়োজন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই দুই বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অনৈক্যের বিষয়ে সরকার উদ্বিগ্ন বলেও জানান প্রধান উপদেষ্টা।

নাহিদ ইসলাম অভিযোগ করেন, “একদল সংস্কার আর আরেক দল নির্বাচন পিছিয়ে দিতে চায়। সব দল ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। নোট অব ডিসেন্ট থাকলে গণভোট লাগে না।”