চরচা প্রতিবেদক

শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। একইসঙ্গে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
হাদির মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত হওয়ার পর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বৃহস্পতিবার এ ঘোষণা দেন প্রধান উপদেষ্টা।
ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের অকুতোভয় যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি আর আমাদের মাঝে নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। কিছুক্ষণ আগে সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান আমাকে টেলিফোন এ হৃদয়বিদারক সংবাদটি জানিয়েছেন। ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদবিরোধী অমর সংগ্রামের এ সৈনিককে মহান রাব্বুল আলামিন শহীদ হিসেবে কবুল করুন–এই দোয়া করি। শরিফ ওসমান হাদির এই অকাল মৃত্যুতে আমি গভীর দুঃখ ও শোক প্রকাশ করছি। তার প্রয়ান দেশের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক পরিসরে এক অপূরণীয় ক্ষতি। আমি তার রূহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত স্ত্রী, পরিবারের সদস্যবৃন্দ, স্বজন ও সহকর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।”
প্রধান উপদেষ্টা জানান, ওসমান হাদির স্ত্রী ও তার একমাত্র সন্তানের দায়িত্ব সরকার গ্রহণ করবে।
এ পর্যায়ে আগামী শনিবার একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “এ উপলক্ষে শনিবার দেশের সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সরকারি, বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।”
একইসঙ্গে আগামীকাল শুক্রবার বাদ জুমা দেশের প্রতিটি মসজিদে ‘শহীদ ওসমান হাদির রূহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হবে’ জানিয়ে তিনি বলেন, “আপনারা তাতে শরিক হোন। অন্যান্য ধর্মের উপাসনালয়গুলোতেও আয়োজন হবে বিশেষ প্রার্থনার।”
হাদির চিকিৎসায় সহায়তার জন্য সিঙ্গাপুর সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “তারা হাদির চিকিৎসায় অত্যন্ত আন্তরিকতা ও পেশাদারত্ব দেখিয়েছেন। বিশেষ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান, যিনি একইসঙ্গে একজন চিকিৎসকও, তার প্রতিও (কৃতজ্ঞতা)। তিনি নিজে হাদির পরিচর্যা করেছেন এবং আমাকে নিয়মিত চিকিৎসা সম্পর্কে খোঁজখবর দিয়েছেন।”
এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সকল অপরাধীকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। এ বিষয়ে কোনো ধরনের শৈথিল্য দেখানো হবে না।” তিনি বলেন, “বিপ্লবী রক্তে উজ্জীবিত এই তরুণ নেতা ওসমান হাদি ছিলেন প্রতিবাদের অনন্য প্রতীক। তার কর্মের মধ্য দিয়ে তিনি শুধু প্রতিবাদ নয়, দেশপ্রেম, ধৈর্য ও দৃঢ়তার অনন্য দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন।”
এ পরিস্থিতিতে সবাইকে সংযত থাকার আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “আমি দেশের সকল নাগরিকের প্রতি আন্তরিক আহ্বান জানাচ্ছি—আপনারা ধৈর্য ও সংযম বজায় রাখুন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে পেশাদারিত্বের সঙ্গে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করার সুযোগ দিন। রাষ্ট্র আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
ড. ইউনূস বলেন, “আমি আবারও স্পষ্টভাবে বলতে চাই, ওসমান হাদি ছিলেন পরাজিত শক্তি ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাসীদের শত্রু। তার কণ্ঠ স্তব্ধ করে বিপ্লবীদের ভয় দেখানোর অপচেষ্টা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ করে দেওয়া হবে। ভয়, সন্ত্রাস কিংবা রক্তপাতের মাধ্যমে এ দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না।”
হাদি গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলেন উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমরা এখন গণতান্ত্রিক উত্তরণের চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত হয়েছি। শহীদ হাদি ছিলেন এই প্রক্রিয়ার অবিচ্ছেদ্য অংশ। তার একান্ত ইচ্ছা ছিল আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের পরবর্তী ধাপে সক্রিয় ভূমিকা রাখা। অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, তার এই মহতী ইচ্ছা অপূর্ণ রয়ে গেল। তার স্বপ্ন বাস্তবায়নের দায় আজ সমগ্র জাতির কাঁধে ন্যস্ত। আগামী দিনগুলোতে আমাদের সবাইকে ধৈর্য, সংযম, সাহস ও দূরদর্শিতার সঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে, যাতে নির্বাচন ও গণতন্ত্রের শত্রু ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাসী অপশক্তিকে চূড়ান্তভাবে পরাজিত করা যায়।”
সবাইকে ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “এই শোকের মুহূর্তে আসুন, আমরা শহিদ শরিফ ওসমান হাদির আদর্শ ও ত্যাগকে শক্তিতে পরিণত করি। ধৈর্য ধারণ করি, অপপ্রচার ও গুজবে কান না দিই এবং যেকোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থাকি। যারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চান, তাদের ফাঁদে পা না দিয়ে আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার পথে অবিচল পদক্ষেপে এগিয়ে যাই। এটাই হবে শহীদ হাদির প্রতি আমাদের প্রকৃত শ্রদ্ধা।”

শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। একইসঙ্গে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
হাদির মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত হওয়ার পর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বৃহস্পতিবার এ ঘোষণা দেন প্রধান উপদেষ্টা।
ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের অকুতোভয় যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি আর আমাদের মাঝে নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। কিছুক্ষণ আগে সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান আমাকে টেলিফোন এ হৃদয়বিদারক সংবাদটি জানিয়েছেন। ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদবিরোধী অমর সংগ্রামের এ সৈনিককে মহান রাব্বুল আলামিন শহীদ হিসেবে কবুল করুন–এই দোয়া করি। শরিফ ওসমান হাদির এই অকাল মৃত্যুতে আমি গভীর দুঃখ ও শোক প্রকাশ করছি। তার প্রয়ান দেশের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক পরিসরে এক অপূরণীয় ক্ষতি। আমি তার রূহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত স্ত্রী, পরিবারের সদস্যবৃন্দ, স্বজন ও সহকর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।”
প্রধান উপদেষ্টা জানান, ওসমান হাদির স্ত্রী ও তার একমাত্র সন্তানের দায়িত্ব সরকার গ্রহণ করবে।
এ পর্যায়ে আগামী শনিবার একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “এ উপলক্ষে শনিবার দেশের সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সরকারি, বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।”
একইসঙ্গে আগামীকাল শুক্রবার বাদ জুমা দেশের প্রতিটি মসজিদে ‘শহীদ ওসমান হাদির রূহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হবে’ জানিয়ে তিনি বলেন, “আপনারা তাতে শরিক হোন। অন্যান্য ধর্মের উপাসনালয়গুলোতেও আয়োজন হবে বিশেষ প্রার্থনার।”
হাদির চিকিৎসায় সহায়তার জন্য সিঙ্গাপুর সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “তারা হাদির চিকিৎসায় অত্যন্ত আন্তরিকতা ও পেশাদারত্ব দেখিয়েছেন। বিশেষ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান, যিনি একইসঙ্গে একজন চিকিৎসকও, তার প্রতিও (কৃতজ্ঞতা)। তিনি নিজে হাদির পরিচর্যা করেছেন এবং আমাকে নিয়মিত চিকিৎসা সম্পর্কে খোঁজখবর দিয়েছেন।”
এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সকল অপরাধীকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। এ বিষয়ে কোনো ধরনের শৈথিল্য দেখানো হবে না।” তিনি বলেন, “বিপ্লবী রক্তে উজ্জীবিত এই তরুণ নেতা ওসমান হাদি ছিলেন প্রতিবাদের অনন্য প্রতীক। তার কর্মের মধ্য দিয়ে তিনি শুধু প্রতিবাদ নয়, দেশপ্রেম, ধৈর্য ও দৃঢ়তার অনন্য দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন।”
এ পরিস্থিতিতে সবাইকে সংযত থাকার আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “আমি দেশের সকল নাগরিকের প্রতি আন্তরিক আহ্বান জানাচ্ছি—আপনারা ধৈর্য ও সংযম বজায় রাখুন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে পেশাদারিত্বের সঙ্গে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করার সুযোগ দিন। রাষ্ট্র আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
ড. ইউনূস বলেন, “আমি আবারও স্পষ্টভাবে বলতে চাই, ওসমান হাদি ছিলেন পরাজিত শক্তি ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাসীদের শত্রু। তার কণ্ঠ স্তব্ধ করে বিপ্লবীদের ভয় দেখানোর অপচেষ্টা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ করে দেওয়া হবে। ভয়, সন্ত্রাস কিংবা রক্তপাতের মাধ্যমে এ দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না।”
হাদি গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলেন উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমরা এখন গণতান্ত্রিক উত্তরণের চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত হয়েছি। শহীদ হাদি ছিলেন এই প্রক্রিয়ার অবিচ্ছেদ্য অংশ। তার একান্ত ইচ্ছা ছিল আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের পরবর্তী ধাপে সক্রিয় ভূমিকা রাখা। অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, তার এই মহতী ইচ্ছা অপূর্ণ রয়ে গেল। তার স্বপ্ন বাস্তবায়নের দায় আজ সমগ্র জাতির কাঁধে ন্যস্ত। আগামী দিনগুলোতে আমাদের সবাইকে ধৈর্য, সংযম, সাহস ও দূরদর্শিতার সঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে, যাতে নির্বাচন ও গণতন্ত্রের শত্রু ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাসী অপশক্তিকে চূড়ান্তভাবে পরাজিত করা যায়।”
সবাইকে ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “এই শোকের মুহূর্তে আসুন, আমরা শহিদ শরিফ ওসমান হাদির আদর্শ ও ত্যাগকে শক্তিতে পরিণত করি। ধৈর্য ধারণ করি, অপপ্রচার ও গুজবে কান না দিই এবং যেকোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থাকি। যারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চান, তাদের ফাঁদে পা না দিয়ে আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার পথে অবিচল পদক্ষেপে এগিয়ে যাই। এটাই হবে শহীদ হাদির প্রতি আমাদের প্রকৃত শ্রদ্ধা।”

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। শনাক্ত করা সেই মোটরসাইকেলের মালিক আব্দুল হান্নানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে তথ্য উদ্ধারের জন্য ৩ দিনের রিমান্ডও মঞ্জুর করেন আদালত। এখন দেখা যাচ্ছে হা

হামলাকারীদের ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনার প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকার ভারতের সহযোগিতাও চেয়েছে। রোববার ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করে সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তার ও প্রত্যর্পণে সহায়তা চাওয়ার কথা জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।