পেহেলগাম হামলা: পাকিস্তানি জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়বার বিরুদ্ধে চার্জশিট

চরচা ডেস্ক
চরচা ডেস্ক
পেহেলগাম হামলা: পাকিস্তানি জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়বার বিরুদ্ধে চার্জশিট
পেহেলগাম এলাকা। ছবি: রয়টার্স

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পর্যটন শহর পেহেলগামে চলতি বছর এপ্রিলে সংঘটিত ভয়াবহ হামলার ঘটনায় পাকিস্তানভিত্তিক দুই জঙ্গিগোষ্ঠী ও ছয়জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ)। এ হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাদের অধিকাংশই ছিলেন পর্যটক। ঘটনার পর ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে চলে যায়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

এনআইএ জানিয়েছে, জাতিসংঘ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বা (এলইটি) এবং তাদের সহযোগী সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) হামলার পরিকল্পনা, সহায়তা ও বাস্তবায়নে জড়িত ছিল। ১ হাজার ৫৯৭ পৃষ্ঠার চার্জশিটটি গতকাল সোমবার জম্মুর একটি বিশেষ আদালতে দাখিল করা হয়। এতে ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, যাদের মধ্যে তিনজনকে হামলার কয়েক দিনের মধ্যেই নিরাপত্তা বাহিনী হত্যা করে।

এনআইএ’র অভিযোগ অনুযায়ী, পাকিস্তানে অবস্থানরত জঙ্গি হ্যান্ডলার সাজিদ জাট এবং আরও দুজন, যারা বর্তমানে এনআইএ হেফাজতে আছেন, হামলার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদে তারা হামলায় অংশ নেওয়া তিনজন সশস্ত্র জঙ্গির পরিচয় নিশ্চিত করেছেন এবং তারা পাকিস্তানি নাগরিক ও লস্কর-ই-তৈয়বার সঙ্গে যুক্ত বলেও স্বীকার করেছেন।

হামলার দিন ২২ এপ্রিল পেহেলগামে পর্যটকদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এতে ২৫ জন হিন্দু পুরুষ পর্যটক নিহত হন। আহতদের সহায়তায় এগিয়ে আসা এক স্থানীয় মুসলিম ঘোড়া-চালকও প্রাণ হারান। ২০১৯ সালের পর এটি ছিল কাশ্মীরে অন্যতম প্রাণঘাতী হামলা।

হামলার পর ভারত পাকিস্তানকে দায়ী করলেও ইসলামাবাদ শুরু থেকেই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। ঘটনার রেশ ধরে ভারত ১৯৬০ সালের সিন্ধু পানি চুক্তি বাতিল করে এবং পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান ১৯৭২ সালের সিমলা চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেয়। এর পরপরই দুই দেশের মধ্যে চার দিন ধরে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটে, যা শেষ পর্যন্ত যুদ্ধবিরতিতে গিয়ে থামে।

এনআইএ জানিয়েছে, প্রায় আট মাসের তদন্তে হামলার ষড়যন্ত্রের সূত্র পাকিস্তানে পাওয়া গেছে এবং এ বিষয়ে তদন্ত এখনো চলমান।

সম্পর্কিত