কেরানীগঞ্জের সেই মাদ্রাসা থেকে ৪০০ লিটার রাসায়নিক উদ্ধার

চরচা প্রতিবেদক
চরচা প্রতিবেদক
কেরানীগঞ্জের সেই মাদ্রাসা থেকে ৪০০ লিটার রাসায়নিক উদ্ধার
উদ্ধার হওয়া রাসায়নিক। ছবি: পুলিশ

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে একটি মাদ্রাসা ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় ৪০০ লিটার রাসায়নিক ও ককটেল সদৃশ বস্তু উদ্ধারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।

আজ শনিবার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, “বিস্ফোরণের পরপরই আমরা অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটকে অবহিত করি। পাশাপাশি সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট ঘটনাস্থলকে ক্রাইম সিন হিসেবে চিহ্নিত করে।”

বিস্ফোরণের কারণ সম্পর্কে পুলিশ সুপার বলেন, “ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে, তবে এখনো লিখিত মতামত দেয়নি। ঘটনাস্থলে ব্যাপক রাসায়নিক মজুদ এবং ককটেল সদৃশ বিস্ফোরক পাওয়া গেছে।”

পুলিশ সুপার মিজানুর আরও বলেন, “বিস্ফোরণের পর আলামিন তার স্ত্রী ও সন্তানদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। কিন্তু সেখানে স্ত্রী ও সন্তানদের রেখে তিনি আত্মগোপনে চলে যান।”

পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে একটি মনিটর, বিভিন্ন ধরনের তরল রাসায়নিক এবং চারটি ককটেল সদৃশ বস্তু উদ্ধার করেছে বলে জানান মিজানুর রহমান।

পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সাল থেকে মাদ্রাসাটি শেখ আলামিন ও তার স্ত্রী আসিয়া পরিচালনা করছিলেন। ভবনের চারটি কক্ষের মধ্যে দুটি মাদ্রাসার কাজে ব্যবহৃত হতো এবং বাকি দুটি কক্ষে তারা পরিবার বসবাস করতেন।

ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজন নারীকে গ্রপ্তার করা হয়েছে। মূল সন্দেহভাজন শেখ আলামিন পলাতক রয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, আলামিনের স্ত্রী আসিয়া ও তার বড় ভাইয়ের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরে গতকাল ঢাকার বাসাবো এলাকা থেকে আসমানি খাতুন নামে আরেক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গত শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় উন্মুল কুরআন ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচজন আহত হন।

সম্পর্কিত