চরচা প্রতিবেদক

অন্তর্বর্তী সরকার শুরু থেকেই মব ভায়োলেন্স প্রতিরোধে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নোয়াব সভাপতি এ কে আজাদ। তিনি বলেছেন, গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলা প্রমাণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো অপরাধ দমনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।
মব ভায়োলেন্স, গণমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে সোমবার সকালে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের পদ্মা হলে সম্পাদক পরিষদ ও নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) উদ্যোগে যৌথ প্রতিবাদ সভায় এসব কথা বলেন এ কে আজাদ। এরপর নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউতে মানববন্ধন করা হয়।
নোয়াব সভাপতি বলেন, “এসব হামলা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। শুরু থেকেই মব ভায়োলেন্স প্রতিরোধে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতার যে ধারাবাহিকতা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, সর্বশেষ ঘটনা তার আরেকটি ভয়াবহ উদাহরণ। গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলা প্রমাণ করে যে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো অপরাধ দমনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।”
সভায় ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম বলেন, “তারা শুধু ডেইলি স্টার নয়, ডেইলি স্টারের সাংবাদিকদের মারতে চেয়েছে।”
সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নূরুল কবির বলেন, “যাদের সাথেই মতের অমিল হবে, তাদেরই জ্বালিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যেই প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে আগুন দেওয়া হয়েছে। মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য আমরা সব জায়গা থেকে লড়াই করেছি, তা অব্যাহত থাকবে।”
সিপিডির ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য প্রশ্ন তোলেন, “বাউলের ওপর আঘাত কেন? ছায়ানট ও উদীচীর ওপর আক্রমণ কেন?” শুরুতেই এসব প্রতিরোধ না করায় আজকের এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “প্রথম আলো ডেইলি স্টার নয়; গণতন্ত্রের ওপর আঘাত করা হয়েছে। জুলাই যুদ্ধের উপর আঘাত হয়েছে। শুধু প্রতিবাদ মানববন্ধন নয়, সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই অপশক্তিকে রুখে দিতে হবে।”
এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “যে বাংলাদেশ আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম, সে বাংলাদেশের দিকে আমরা যাচ্ছি না।”
প্রতিবাদ সভায় সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, গণমাধ্যম প্রতিনিধি ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। বক্তারা অবিলম্বে মব ভায়োলেন্স বন্ধ, হামলার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং গণমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান।

অন্তর্বর্তী সরকার শুরু থেকেই মব ভায়োলেন্স প্রতিরোধে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নোয়াব সভাপতি এ কে আজাদ। তিনি বলেছেন, গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলা প্রমাণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো অপরাধ দমনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।
মব ভায়োলেন্স, গণমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে সোমবার সকালে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের পদ্মা হলে সম্পাদক পরিষদ ও নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) উদ্যোগে যৌথ প্রতিবাদ সভায় এসব কথা বলেন এ কে আজাদ। এরপর নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউতে মানববন্ধন করা হয়।
নোয়াব সভাপতি বলেন, “এসব হামলা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। শুরু থেকেই মব ভায়োলেন্স প্রতিরোধে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতার যে ধারাবাহিকতা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, সর্বশেষ ঘটনা তার আরেকটি ভয়াবহ উদাহরণ। গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলা প্রমাণ করে যে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো অপরাধ দমনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।”
সভায় ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম বলেন, “তারা শুধু ডেইলি স্টার নয়, ডেইলি স্টারের সাংবাদিকদের মারতে চেয়েছে।”
সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নূরুল কবির বলেন, “যাদের সাথেই মতের অমিল হবে, তাদেরই জ্বালিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যেই প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে আগুন দেওয়া হয়েছে। মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য আমরা সব জায়গা থেকে লড়াই করেছি, তা অব্যাহত থাকবে।”
সিপিডির ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য প্রশ্ন তোলেন, “বাউলের ওপর আঘাত কেন? ছায়ানট ও উদীচীর ওপর আক্রমণ কেন?” শুরুতেই এসব প্রতিরোধ না করায় আজকের এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “প্রথম আলো ডেইলি স্টার নয়; গণতন্ত্রের ওপর আঘাত করা হয়েছে। জুলাই যুদ্ধের উপর আঘাত হয়েছে। শুধু প্রতিবাদ মানববন্ধন নয়, সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই অপশক্তিকে রুখে দিতে হবে।”
এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “যে বাংলাদেশ আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম, সে বাংলাদেশের দিকে আমরা যাচ্ছি না।”
প্রতিবাদ সভায় সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, গণমাধ্যম প্রতিনিধি ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। বক্তারা অবিলম্বে মব ভায়োলেন্স বন্ধ, হামলার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং গণমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান।