কীভাবে হবে গণভোট, যা বলল ঐকমত্য কমিশন

চরচা প্রতিবেদক
চরচা প্রতিবেদক
কীভাবে হবে গণভোট, যা বলল ঐকমত্য কমিশন
ঐকমত্য কমিশনের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: ঐকমত্য কমিশন

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন বা তার আগে গণভোট আয়োজনের সুপারিশ করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

আজ মঙ্গলবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ।

এই গণভোট কীভাবে হবে সেই বিবরণ দিয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি বলেন, “সরকার একটি আদেশ করবেন। সেই আদেশের অধীনে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। গণভোটে একটি মাত্র প্রশ্ন থাকবে। তবে ওই আদেশের তফসিলে যে ৪৮টি বিষয় আছে, সেগুলো অন্তর্বর্তী সরকার বিল আকারে প্রস্তুত করেও জনগণের সামনে উপস্থাপন করতে পারেন। যখন বিল হিসেবে উপস্থাপিত হবে এবং গণভোটের মধ্য দিয়ে জনগণের সম্মতি লাভ করা যায়, তাহলে ওই বিলটি সংবিধান সংস্কার পরিষদের কাজে সহযোগিতা করবে।”

আলী রীয়াজ বলেন, “সংবিধান সংস্কারের জন্য যে পরিষদ তৈরি হবে, সেই পরিষদ জুলাই জাতীয় সনদের স্পিরিটকে ধারণ করে সংবিধানের প্রয়োজনীয় সংশোধন সংযোজন পরিবর্জন পরিবর্তন করতে পারবেন। তবে এই বিল যেহেতু জনগণের দ্বারা অনুমোদিত হয়, তাহলে এটা তাদের সাহায্য করবে।"

সংবিধান সংশোধনের যে বিষয়গুলোতে জনগণ গণভোটের মাধ্যমে সম্মতি দেবে, সংবিধান সংস্কার পরিষদ যদি ২৭০ দিনের মধ্যে সেগুলো বাস্তবায়নের বিষয়ে তাদের দায়িত্ব সম্পাদন করতে না পারে, তাহলে গণভোটে পাস হওয়া বিলটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানের সংশ্লিষ্ট অনুচ্ছেদগুলোকে প্রতিস্থাপন করবে।

২৭০ দিন দায়িত্ব পালনের পর সংবিধান সংস্কার পরিষদ তার কার্যক্রম সমাপ্ত করবে। জাতীয় সংসদের সদস্যরাই সংবিধান সংস্কার পরিষদের সদস্য হবেন।

আলী রীয়াজ বলেন, “আমরা প্রস্তাব করেছি, জাতীয় সংসদের সদস্যরা জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে এবং সংবিধান সংস্কার পরিষদের সদস্য হিসেবে আলাদাভাবে শপথ গ্রহণ করবেন। সংবিধান সংস্কার পরিষদ তার নিজস্ব রুলস অব প্রসিডিউর তৈরি করবে ।’’

তিনি বলেন, ‘‘জাতীয় সংসদের যিনি স্পিকার হবেন, তিনি সংবিধান পরিষদের সভাপতিত্ব করবেন। তার অনুপস্থিতিতে ডেপুটি স্পিকার ওই পরিষদের সভায় সভাপতিত্ব করবেন। তাদের উভয়ের অনুপস্থিতিতে সংস্কার পরিষদে গঠিত সভাপতি প্যানেল থেকে সভাপতিত্ব করবেন। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস যে সংবিধান সংস্কার পরিষদ তাদের দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবেন এবং কোনো অবস্থাতেই এমন পরিস্থিতির সূচনা হবে না যে সরকারের দেওয়া বিলগুলোকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাস্তবায়িত করতে হবে। আমরা এটা আস্থা রাখতে চাই।’’

সম্পর্কিত