প্রথম আলো-ডেইলি স্টারে হামলার ঘটনায় আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর উদ্বেগ

চরচা ডেস্ক
চরচা ডেস্ক
প্রথম আলো-ডেইলি স্টারে হামলার ঘটনায় আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর উদ্বেগ

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর দৈনিক প্রথম আলো-ডেইলি স্টার এবং ছায়ানটে হামলার ঘটনায় আন্তর্জাতিক সংগঠন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টারকে সুপরিকল্পিতভাবে আক্রমণ করা হয়েছে বলেই মত দিয়েছে আন্তর্জাতিক প্রভাবশালী সংস্থাগুলো।

প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস শোক প্রকাশ করলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে।

কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্ট (সিপিজে) বাংলাদেশের প্রধান সংবাদমাধ্যমগুলোর ওপর সহিংস হামলা এবং অগ্নিসংযোগের কঠোর নিন্দা জানিয়েছে। তারা অন্তর্বর্তী সরকারকে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয় নিউজ রুম বা প্রেসের ওপর হামলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার (আরএসএফ) এই হামলাকে বাংলাদেশের সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর ‘ব্ল্যাক ডে’ বা কালো দিন হিসেবে বর্ণনা করেছে। তারা বিশেষভাবে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে ভাঙচুরের ঘটনার তদন্ত দাবি করেছে।

মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সাউথ এশিয়া তাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে দেওয়া বিবৃতিতে জানিয়েছে, একজন অ্যাক্টিভিস্টের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সংবাদমাধ্যম এবং সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, ছায়ানটের ওপর হামলা আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি নির্দেশ করে।

অ্যামনেস্টি তাদের বিবৃতিতে ছায়ানটের অগ্নিকাণ্ডকে অসহিষ্ণুতার চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ বলেছে। সংগঠনটি বিক্ষোভকারীদের শান্ত থাকার পাশাপাশি সহিংসতা থামাতে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করেছে।

রাজনৈতিক অস্থিরতায় বারবার গণমাধ্যমকে লক্ষ্যবন্তু করা হচ্ছে, যা গণতন্ত্রের জন্য হুমকিস্বরূপ বলে উদ্বেগ বলে জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।

ঢাকায় নিযুক্ত পশ্চিমা দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতরা ব্যক্তিগত বা প্রাতিষ্ঠানিক এক্স (টুইটার) হ্যান্ডলের মাধ্যমে এই ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছেন। বিশেষ করে ছায়ানটের মতো ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে আগুন এবং গণমাধ্যম ভবনে হামলাকে তারা ‘অত্যন্ত উদ্বেগজনক’ বলে অভিহিত করেছেন।

সম্পর্কিত